ডিগ্রি ২য় বর্ষ বাংলা জাতীয় ভাষা সাজেশন ২০২৪ (উত্তর সহ Pdf)

ডিগ্রি ২য় বর্ষ বাংলা জাতীয় ভাষা সাজেশন ২০২৪ নিয়ে হাজির হলাম বন্ধুরা। তোমরা যারা ডিগ্রি ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী তাদের জন্য বাংলা জাতীয় ভাষা সাজেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আজকে আমি তোমাদের জন্য ডিগ্রি ২য় বর্ষ বাংলা জাতীয় ভাষা সাজেশন নিয়ে হাজির হয়েছি।

এক নজরে বিষয় ও বিষয় কোড:

  • ডিগ্রি ২য় বর্ষ বাংলা জাতীয় ভাষা
  • বিষয়: বাংলা জাতীয় ভাষা (আবশ্যিক)
  • বিষয়কোড : ১৩১০০১

ডিগ্রি ২য় বর্ষ বাংলা জাতীয় ভাষা সাজেশন ২০২৪ ক-বিভাগ (অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন)

১. ’ঐকতান’ শব্দের অর্থ কী?

উত্তর: ’ঐকতান’ শব্দের অর্থ সম্মিলিত সুর।

২. ‘বার বার ফিরে আসে’ কবিতাটি শামসুর রাহমানের কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?

উত্তর: দুঃসময়ের মুখোমুখি কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।

৩. “নিষাদ কি কোনদিন পক্ষিণীর গোত্র ভুল করে?”- এটি কোন কবিতার চরণ ?

উত্তর: সোনালী ক্যাবিন : ৫।

৪. টেকচাঁদী বাঙ্গালা কী?

উত্তর: আলালী ভাষা ।

৫. বাংলার নবজাগরণের প্রভাত নক্ষত্র কে?

উত্তর: কাজী আব্দুল ওয়াদুদ।

৬. ‘রাজবন্দীর জবানবন্দী’ প্রবন্ধে লেখককে কোন অভিযোগে

অভিযুক্ত করা হয়েছে?

উত্তর: অসত্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার কারণে ব্রিটিশ সরকার তাকে রাজদ্রোহী করে কারাগারে পাঠান

৭. ‘একরাত্রি’ গল্পের নায়ক কী হতে চেয়েছিল?

উত্তর: এনট্রান্স স্কুলের সেকেন্ড মাস্টার।

৮. ক্ষেন্তি কী রোগে মৃত্যুবরণ করে?

উত্তর: বসন্ত রোগে মৃত্যুবরণ করে।

৯. কলিমন কে?

উত্তর: রজব আলীর স্ত্রী কলিমন।

১০. ‘গুরুচণ্ডালী দোষ’ কী?

উত্তর: সাধু ও চলিত ভাষার মিশ্রণ ।

১১. ‘আঁই ন যাইয়্যুম’—আঞ্চলিক ভাষারীতির বাক্যটির প্রমিত বাংলা রূপ লেখ।

উত্তর: আমি যাব না ।

১২. শুদ্ধ বানান লেখ : উচ্ছাস, স্বাক্ষরতা।

উত্তর: উচ্ছ্বাস, সাক্ষরতা।

অথবা,

শুদ্ধ বানান লেখ : আকাংখা, শ্বাশত।

উত্তর: আকাঙক্ষা, শাশ্বত।

অথবা,

শুদ্ধ বানান লেখ : অধ্যায়ণ, উপরোক্ত

উত্তর: অধ্যয়ন, উপর্যুক্ত।

১৩. ‘ক্ষণপ্রভা’ শব্দের অর্থ কী?

উত্তর: বিদুৎ, বিজলি

১৪. ‘বনলতা সেন’ কবিতার কবি কত বছর ধরে পথ হাঁটছেন?

উত্তর: হাজার বছর ধরে।

১৫. ডহুকের সুরে কীসের ইঙ্গিত থাকে?

উত্তর: ডাহুকের সুরে মুক্তির আহ্বানের ইঙ্গিত থাকে।

১৬. জন ব্রাইট কে?

উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘সভ্যতার সংকট’ প্রবন্ধের মতে জন ব্রাইট একজন ইংরেজ সংসদ-সদস্য।

১৭. ’রাজবন্দীর জবানবন্দী’ কবি কাজী নজরুল ইসলাম কোথায় বসে রচনা করেন?

উত্তর: প্রেসিডেন্সি জেলে বসে।

১৮. প্রকৃত যৌবন বলতে লেখক কী বুঝিয়েছেন?

উত্তর: মনের যৌবন বা মানসিক যৌবনই প্রকৃত যৌবন।

১৯. সুরবালার স্বামীর নাম কী?

উত্তর: রামলোচন বাবু।

২০. ’ আত্মজা’ শব্দের অর্থ কী?

উত্তর: ‘আত্মজা’ শব্দের অর্থ : কন্যা, দুহিতা, তনয়া।

২১. কে নিজের স্বর্গ নিজেই সৃষ্টি কের নেয়?

উত্তর: বিদ্রোহী কবি।

২২. ‘চৈতি হাওয়া’ কবিতায় বউ কথা কও পাখি কোথায় বসে ডাকতো?

উত্তর: ‘চৈতি হাওয়া’ কবিতায় বউ কথা কও পাখি হিজল শাখায় বসে ডাকতো।

২৩. ষ-ত্ব বিধি কাকে বলে?

উত্তর: বাংলা বানানে সংস্কৃত বা তৎসম শব্দের দন্ত্য-স এর পরিবর্তে মূর্ধন্য-ষ-এর ঠিক ব্যবহারের নিয়মকে ষ-ত্ব বিধান বলে।

২৪. ‘আত্ম-বিলাপ’ কবিতায় মধুসূদন দত্ত কিসের ছলনায় ভুলেছেন?

উত্তর: আশার ছলনায় ভুলেছেন।

২৫. ‘চৈতী হাওয়া’ কবিতায় কবি কার স্মৃতিচারণ করেছেন?

উত্তর: মানস প্রিয়ার স্মৃতিচারণ করেছেন।

২৬. ‘ঐকতান’ শব্দের অর্থ কী?

উত্তর: সম্মিলিত সুর ।

২৭. আঙ্গিক বিচারে ‘সোনালী কাবিন-৫’ কোন ধরনের কবিতা?

উত্তর: আঙ্গিক বিচারে ‘সোনালী কাবিন-৫’ সনেট ধর্মী কবিতা ।

২৮. ‘বিষয় অনুসারেই রচনার ভাষার উচ্চতা বা সামান্যতা নির্ধারিত হওয়া উচিত।’-উক্তিটি কার?

উত্তর: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ে এর।

২৯. হরপ্রসাদ শাস্ত্রীয় ‘তৈল’ প্রবন্ধ অনুসারে কার মহিলা অতি অপরূপ?

উত্তর: তৈলের মহিমা অপরূপ ।

৩০. ‘সভ্যতার সংকট’ প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ ভারতবর্ষের দুর্গতির জন্য কাদের দায়ী করেছেন?

উত্তর: ভারতবর্ষের দুর্গতির জন্য সভ্য সমাজরূপী ইংরেজরা দায়ী ।

৩১. ‘বাংলার জাগরণ’ প্রবন্ধে কাকে মানবপ্রেমিক ও স্বদেশপ্রেমিক বলা হয়েছে?

উত্তর: স্বামী বিবেকানন্দকে।

৩২. ‘একরাত্রি’ গল্পের নায়িকার নাম কী?

উত্তর: ‘একরাত্রি’ গল্পের নায়িকা সুরবালা।

৩৩.‘পত্র’ শব্দটির আভিধানিক অর্থ কী?

উত্তর: ‘পত্র’ শব্দটির আভিধানিক অর্থ ‘পাতা’।

৩৪. হুজুর কেবলার প্রধান খলিফা কে?

উত্তর: সুফি বদরুদ্দীন

৩৫. ‘নয়নচারা’ গল্পে উল্লিখিত নদীটির নাম কী?

উত্তর: নয়নচারা গ্রামের উল্লিখিত নদীটির নাম ময়ূরাক্ষী।

৩৬. ‘আত্ম-বিলাপ’ কবিতায় কবি কাকে পামর বলেছেন?

উত্তর: আত্ম-বিলাপ কবিতায় কবি নিজেকে পামর বলেছেন।

৩৭. ‘সভ্যতার সংকট’ প্রবন্ধে লেখকের মতে কার ক্ষমতা চিরকাল নিরাপদ নয়?

উত্তর: ‘সভ্যতার সংকট’ প্রবন্ধে লেখকের মতে প্ৰবল প্রতাপশালী ক্ষমতা চিরকাল নিরাপদ নয় ।

৩৮. প্রমথ চৌধুরীর মতে বার্ধক্য বা জড়তা কী?

উত্তর: পুরাতনকে আঁকড়ে থাকাকে বার্ধক্য বলেছেন।

৩৯. ‘চৈতী হাওয়া’ কবিতায় পান করার নেশায় কী দুলছে?

উত্তর: ‘চৈতী হাওয়া’ কবিতায় মৌমাছিদের কৃষ্ণা বউ মহুয়া মউ পান করার নেশায় দুলছে।

৪০. হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর প্রকৃত নাম কী?

উত্তর: শরৎনাথ ভট্টাচার্য।

৪১. ‘পুঁইমাচা’ গল্পে কোন কোন ব্রাহ্মণের নাম আছে?

উত্তর: সুরেশ কাকা এবং তিনুর বাবা ।

৪২. মোতাহের হোসেন চৌধুরী কোন সাহিত্য গোষ্ঠীর সঙ্গে প্রত্যক্ষবাবে জড়িত ছিলেন?

উত্তর: ‘শিখা’ গোষ্ঠীর সাথে যুক্ত ছিলেন।

৪৩. ‘প্রাগৈতিহাসিক’ গল্পে বর্ণিত পেহলাদ বাদগীর বাড়ি কোথায়?

উত্তর: চিতলপুরে।

৪৪. ‘আত্মজা ও একটি করবী গাছ’ গল্পের সুহাস কে?

উত্তর: আত্মজা ও একটি করবী গাছ’ গল্পের অপ্রধান চরিত্র- ভীতু। জৈবিক কাম-বাসনা তাড়িত নষ্ট চরিত্রের প্রতিনিধি সুহাস ।

৪৫. ‘সুন্দর হাতের লেখা’ কথাটির শুদ্ধরূপ কী?

উত্তর: শুদ্ধরূপ : হাতের সুন্দর লেখা।

৪৬. অনুবাদ সাধারণত কয় প্রকার? কী কী?

উত্তর: দুই প্রকার। আক্ষরিক অনুবাদ, ভাবানুবাদ।

৪৭. ‘চৈতী হাওয়া’ কবিতায় কবি কার খোঁপায় ফুল গুঁজে দিতেন?

উত্তর: চাঁপা ফুল ।

৪৮. ‘বনলতা সেন’ কবিতায় শ্রাবস্তীর পরিচয় কী?

উত্তর: প্রাচীন ভারতের এক অপরূপ নগরী শ্রাবস্তী, দেউল ও ভাস্কর্যের জন্য এ নগরী বিখ্যাত ছিল ।

৪৯. ‘ডাহুক’ কবিতায় ডাহুকের ডাককে কবি কিসের সাথে তুলনা করেছেন?

উত্তর: কবি ডাহুকের ডাককে অনন্তলোকের ডাকের সাথে • তুলনা করেছেন ।

৫০. ‘সভ্যতার সংকট’ প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ প্রশংসার বিষয় নয় বলে কোন বিষয়কে বুঝিয়েছেন?

উত্তর: ইংরেজদের মহত্ত্বের প্রতি ভারতীয়দের নির্ভরতাকে প্রশংসার বিষয় নয় বলে বুঝিয়েছেন।

৫১. ‘যৌবনে দাও রাজটিকা’ প্রবন্ধ অবলম্বনে কোন জীবনে ফাল্গুন

চিরকাল বিরাজ করে?

উত্তর: সমগ্র সমাজে ।

৫২. ‘বাংলার জাগরণ’ প্রবন্ধে রাজা রামমোহন রায়কে কিসের সাথে তুলনা করা হয়েছে?

উত্তর: প্রভাত নক্ষত্র বা প্রভাত সূর্য ।

৫৩. ‘সংস্কৃতির-কথা” প্রবন্ধে কারা নারী ও সংস্কৃতিকে পর ভাবে?

উত্তর: বৈরাগীরা

৫৪. ‘পুঁই মাচা’ ছোটগল্পে ক্ষেন্তির মায়ের নাম কী?

উত্তর: অন্নপূর্ণা ।

৫৫. ‘প্রাগৈতিহাসিক’ গল্পের নায়ক কে?

উত্তর: ভিখু ।

৫৬. ‘পথ জানা নাই’ ছোটগল্পে বর্ণিত গ্রামের নাম কী?

উত্তর: মাউলতলা ।

৫৭. ‘আত্মজা ও একটি করবী গাছ’ গল্পের গল্পকারের নাম কী?

উত্তর: হাসান আজিজুল হক।

ডিগ্রি ২য় বর্ষ বাংলা জাতীয় ভাষা সাজেশন ২০২৪ খ-বিভাগ (সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন)

১. মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘আত্মবিলাপ’ কবিতা অবলম্বনে কবির মর্মবেদনার স্বরুপ সংক্ষেপে লেখ।

২. কাজী নজরুল আসলামের ‘চৈতী হাওয়া’ কবিতায় কিভাবে বরহক্লিষ্ট প্রেমিক হ্রদয়ের পরিচয় ফুটে উঠেছে, তা সংক্ষেপে লেখ।

৩. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী তাঁর ‘তৈল’ প্রবন্ধে কী বলতে চেয়েছেন তা সংক্ষেপে লেখ।

৪. “যৌবনে দাও রাজটিকা” প্রবন্ধ অবলম্বনে ‘দেহের যৌবন’ ও ‘মনের যৌবন’ –এর পার্থক্য নির্দেশ কর।

৫. “নয়নচারা গাঁয়ে কি মায়ের বাড়ি?” –কে, কাকে এবং কেন একথা বলেছিল?

৬. “মন্বন্তরে গহুরালি নি:স্ব হইয়াছিল বাহিরে, এবার হইল অন্তরে।” –কী প্রকারে? সংক্ষেপে লেখ।

৭. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘ঐকতান’ কবিতায় তরুন কবিদের প্রতি যে দায়িত্বভার অর্পণ করেছেন সংক্ষেপে তা আলোচনা কর।

৮. ’বার বার ফিরে আসে’ কবিতায় রক্তাপ্লুত শার্ট কোথায় কোথায় ফিরে আসে? সংক্ষেপে লেখ।

৯. ধার্মক আর কালচার্ড মানুষের মাঝে পার্থক্য সংক্ষেপে আলোচনা কর।

১০. এমদাদের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দেও।

১১. ‘প্রাগৈতিহাসিক’ গল্প অবলম্বনে পাঁচী চরিত্র আলোচনা কর।

বানান: 

  • বাংলা বানানে ‘ই’ কার ব্যবহারের চারটি নিয়ম লেখ।
  • বাংলা একাডেমির প্রমিত বাংলা বানানের চারটি নিয়ম লেখ।

বাংলায় অনুবাদ কর:

  • Truthfulness is the greatest of all virtues in a man’s life. It means the quality of speaking the truth. The true happiness and prosperity of a man entirely depend on it. It ennobles one’s character and gives one a high position in society.
  • Our total environment influences our life and our way of living. The main elements of our human environment are men, animals, plants, soil, air and water. There are relationships between these elements . When these relationships are disturebed, life becomes difficult or impoissible.

ডিগ্রি ২য় বর্ষ বাংলা জাতীয় ভাষা সাজেশন ২০২৪ গ-বিভাগ (রচনামূলক প্রশ্ন)

১. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ঐকতান’ কবিতার মূলবক্তব্য লেখ।

২. কবির ক্লান্ত পথিকসত্তা কীভাবে শান্তি লাভ করেছিল, ‘বনলতা সেন’ কবিতা অবলম্বনে বর্ণনা কর।

৩. ‘সভ্যতার সংকট’ প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সভ্যতার সংকট এবং তা থেকে উত্তরণ সম্পর্কে যে অভিমত ব্যক্ত করেছেন, তা আলোচনা কর ।

৪. “ধর্ম সাধারণ লোকের কালচার, আর কালচার শিক্ষিত মার্জিত লোকের ধর্ম।”-উক্তিটির আলোকে ধর্ম ও সংস্কৃতির পার্থক্য নির্দেশ করে এ সম্পর্কে প্রবন্ধকারের বক্তব্য বিশ্লেষণ কর। উত্তর সংকেত : প্রশ্ন নং ৪, পৃষ্ঠা-২৭৩।

৫. ‘ভিখু প্রবলভাবে সংগ্রামশীল ও অস্তিত্ববাদী’ মন্তব্যটির আলোকে ‘প্রাগৈতিহাসিক’ গল্পের ভিখু চরিত্র আলোচনা কর ।

৬. ছোটগল্প হিসেবে ‘আত্মজা ও একটি করবীগাছ’ গল্পটির সাফল্য বিচার কর।

৭. দৃষ্টান্তসহ সাধু ও চলিতভাষার পার্থক্য লেখ।

৮. “কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘চৈতী হাওয়া’ কবিতায় বিরহক্লিষ্ট প্রেমিক কবির পরিচয় ফুটে উঠেছে।”— উক্তিটি বিশ্লেষণ কর।

৯. ‘ডাহুক’ কবিতার মূল বিষয়বস্তু আলোচনা কর।

১০. ‘রাজবন্দীর জবানবন্দী’ প্রবন্ধে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্বদেশ প্রেমের যে ছবি ফুটে উঠেছে তা আলোচনা কর।

১১. বাংলার নবজাগরণে রাজা রামমোহন রায়ের অবদান আলোচনা কর।

১২. রবীন্দ্রনাথের ‘একরাত্রি’ গল্পের নামকরণের সার্থকতা আলোচনা কর।

১৩. ‘নয়নচারা’ গল্প অবলম্বনে আমুর চরিত্র বিশ্লেষণ কর।

১৪ . ‘ঐকতান’ কবিতায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাধারণ মানুষের যে জয়গান গেয়েছেন তার পরিচয় দাও।

১৫. “শামসুর রাহমানের ‘বারবার ফিরে আসে’ বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক বিক্ষোভ ও গণআন্দোলনের প্রেরণাদীপ্ত কবিতা।” উক্তিটির আলোকে কবিতাটি বিশ্লেষণ কর।

১৬. ‘যৌবনে দাও রাজটিকা’ প্রবন্ধ অবলম্বনে প্রমথ চৌধুরীর যৌবন বন্ধনার স্বরূপ বিশ্লেষণ কর।

১৭. মোতাহের হোসেন চৌধুরীর ‘সংস্কৃতি কথা’ প্রবন্ধের মূলবক্তব্য লেখ।

১৮. “ভিখু প্রবলভাবে সংগ্রামশীল ও অস্তিত্ববাদী”-মন্তব্যটির আলোকে ‘প্রাগৈতিহাসিক’ গল্পের ভিখু চরিত্র আলোচনা কর।

১৯. ‘হুজুরকেবলা’ গল্প অবলম্বনে পীর সাহেবের চরিত্র বিশ্লেষণ কর।

২০. সংজ্ঞা ও উদাহরণসহ সাধু ও চলিত ভাষারীতির পার্থক্য আলোচনা কর ।

২১. . ‘বাংলার জাগরণ’ প্রবন্ধের মূল বক্তব্য বিশ্লেষণ কর।

২২. ‘চৈতী হাওয়া’ কবিতায় বিধৃত প্রকৃতি চেতনার পরিচয় দাও।

২৩. “যে রচনা সকলে বুঝিতে পারে এবং পড়িবামাত্র যাহার অর্থ বুঝা যায়, অর্থ গৌরব থাকিলে তাহাই সর্বোৎকৃষ্ট রচনা।” বাংলা ভাষার উৎকৃষ্ট রচনারীতি সম্পর্কে বঙ্কিমচন্দ্রের এ উক্তির যথার্থতা বিচার কর।

২৪. ছোটগল্প হিসেবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘একরাত্রি’ গল্পের শিল্পস্বাতন্ত্র্য বিচার কর।

২৫. চৈতী হাওয়া’ কবিতা অবলম্বনে কাজী নজরুল ইসলামের কবি মানসের পরিচয় দাও ।

২৬. সনেট কী? সনেট হিসেবে ‘সোনালী কাবিন : ৫’ কবিতার সার্থকতা মূল্যায়ন কর।

২৭. কাজী আবদুল ওদুদের ‘বাংলা জাগরণ’ প্রবন্ধের মূল বক্তব্য বিশ্লেষণ কর।

২৮. তৈল’ প্রবন্ধ অনুসারে এর অসামান্য মহিমা বর্ণনা কর।

২৯. ‘পথ জানা নাই’ ছোটগল্পে শামসুদ্দীন আবুল কালাম নগর সভ্যতার যে নগ্ন চিত্র তুলে ধরেছেন তা বর্ণনা কর।

৩০. ‘আত্মজা ও একটি করবী গাছ’ গল্পটি এক বৃদ্ধের জীবনের মর্মান্তিক পরিণতি – আলোচনা কর ।

সারমর্ম:

হে দারিদ্র্য, তুমি মোরে করেছ মহান। তুমি মোরে দানিয়াছ খ্রিস্টের সম্মান- কন্টক মুকুট শোভা। দিয়াছ তাপস, অসংকোচ প্রকাশের দুরন্ত সাহস; উদ্ধত উলঙ্গ দৃষ্টি, বাণী ক্ষুরধার। বীণা মোর শাপে তব হলো তরবার। দুঃসহ দহনে তব হে দর্পী তাপস, অম্লান স্বর্গের মোর করিলে বিরস, অকালে শুকালে মোর রূপ-রস-প্রাণ শীর্ণ করপুট ভরি সুন্দরের দান যতবার নিতে যাই -হে বুভুক্ষু, তুমি অগ্রে আসি কর পান। শূন্য মরুভূমি হেরি মোর কল্পলোক।

 

আমরা চলিব পশ্চাতে ফেলি পচা অতীত, গিরি-গুহা ছাড়ি খোলা প্রান্তরে গাহিব গীত, সৃজিব জগৎ বিচিত্রতর, বীর্যবান, চলমান বেগে প্রাণ উচ্ছ্বল

রে নবযুগের স্রষ্টাদল

জোর-কদম চল রে চলা

 

ক্ষমা যথা ক্ষীণ দুর্বলতা

হে রুদ্র, নিষ্ঠুর যেন হতে পারি তথা তোমার আদেশে। যেন রসনায় মম সত্যবাক্য ঝলি উঠে খরখড়গসম তোমার ইঙ্গিতে। যেন রাখি তব মান তোমার বিচারাসনে লয়ে নিজ স্থান।

অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে

তব ঘৃণা যেন তারে তৃণসম দহে।

 

ছোট বালুকার কণা, বিন্দু বিন্দু জল গড়ি তোলে মহাদেশ সাগর অতল। মুহূর্ত নিমেষ কাল, তুচ্ছ পরিমাণ, গড়ে যুগ-যুগান্তর অনন্ত মহান, প্রত্যেক সামান্য ত্রুটি ক্ষুদ্র অপরাধ, ক্রমে টানে পাপ পথে ঘটায় প্রমাদ। প্রতি করুণার দান, স্নেহপূর্ণ বাণী,

এ ধরার স্বর্গসুখ নিত্য দেয় আনি ।

 

নদী কভু পান নাহি করে নিজ জল

তরুগণ নাহি খায় নিজ নিজ ফল;

গাভী কভু নাহি করে নিজ দুগ্ধ পান,

কাষ্ঠ দগ্ধ হয়ে করে পরে অনুদান;

স্বপ করে নিজ রূপে অপরে শোভিত,

বংশী করে নিজ সুরে পরে মোহিত;

শস্য জন্মাইয়া নাহি খায় জল ধরে,

সাধুর ঐশ্বর্য শুধু পরহিত তরে।

 

সারাংশ:

  • নীরব ভাষায় বৃক্ষ আমাদের সার্থকতার গান গেয়ে শোনায়। অনুভূতির কান দিয়ে সে গান শুনতে হবে। তাহলে বুঝতে পারা যাবে জীবনের মানে বৃদ্ধি, ধর্মের মানেও তাই। প্রকৃতির যে ধর্ম মানুষের সে ধর্ম; পার্থক্য কেবল তরুলতা ও জীবজন্তুর উপর তাদের নিজেদের কোন হাত নেই, মানুষের বৃদ্ধির উপরে তার নিজের হাত রয়েছে। আর এখানেই মানুষের মর্যাদা। মানুষের বৃদ্ধি কেবল দৈহিক নয়, আত্মিকও। মানুষকে আত্মা সৃষ্টি করে নিতে হয়, তা তৈরি পাওয়া যায় না। সুখ-দুঃখ-বেদনা উপলব্ধির ফলে অন্তরের যে পরিপক্বতা, তাইতো আত্মা।
  • আধিক্যে সে অসহায় হইয়া পড়ে। মাতৃহৃদয়ের মমতার প্রাবল্যে মানুষ আপনাকে হারাইয়া আপন শক্তির মর্যাদা বুঝতে পারে মাতৃস্নেহের তুলনা নাই, কিন্তু অতি স্নেহ অনেক সময় অমঙ্গল আনয়ন করে। যে স্নেহের উত্তাপে সন্তানের পরিপুষ্টি, তারই না। নিয়ত মাতৃস্নেহের অন্তরালে অবস্থান করিয়া আত্মশক্তির সন্ধান সে পায় না- দুর্বল, অসহায় পক্ষিশাবকের মতে। চিরদিন স্নেহাতিশয্যে আপনাকে সে একান্ত নির্ভরশীল মনে করে। ক্রমে জননীর পরম সম্পদ সন্তান অলস, ভীরু, দুর্বল দিন পরনির্ভরশীল হয়ে মনুষ্যত্ব বিকাশের পথ থেকে দূরে সরিয়া যায়।
  • সত্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধহীন জাতি যতই চেষ্টা করুক তাদের আবেদন-নিবেদনে ফল হয় না। যে জাতির অধিকাংশ ব্যক্তি মিথ্যাচারী, সেখানে দু’চারজন সত্যনিষ্ঠকে বহু বিড়ম্বনা সহ্য করতে হয়, দুর্ভোগ পোহাতে হয়। কিন্তু মানুষ ও জাতি হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়াতে হলে সে কষ্ট সহ্য না করে উপায় নেই।
  • বৃক্ষের দিকে তাকালে জীবনের তাৎপর্য উপলব্ধি সহজ হয়। তাই, বারবার সেদিকে তাকানো প্রয়োজন, মাটির রস টেনে নিয়ে নিজেকে মোটাসোটা করে তোলাতেই বৃক্ষের কাজের সমাপ্তি নয়। তাকে ফুল ফোটাতে হয়, ফল ধরাতে হয়। নইলে তার জীবন অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। তাই বৃক্ষকে সার্থকতার প্রতীক হিসেবে গ্রহণ করার প্রয়োজনীয়তা, সজীবতা ও সার্থকতার এমন জীবন্ত দৃষ্টান্ত আর নেই।
  • সমাজের কাজ কেবল টিকে থাকার সুবিধা দেয়া নয়, মানুষকে বড় করে তোলা, বিকশিত জীবনের জন্য আগ্রহ জাগিয়ে দেয়া। স্বল্পপ্রাণ, স্থূলবুদ্ধি ও জবরদস্তিপ্রিয় মানুষে সংসার পরিপূর্ণ। তাদের কাজ নিজের জীবনকে সার্থক ও সুন্দর করে তোলা নয়, অপরের সার্থকতার পথে অন্তরায় সৃষ্টি করা। প্রেম ও সৌন্দর্যের স্পর্শ লাভ করে নি বলে এরা নিষ্ঠুর ও বিকৃত বুদ্ধি। এদের একমাত্র দেবতা অহংকার । তারই চরণে তারা নিবেদিতপ্রাণ। ব্যক্তিগত অহংকার, পারিবারিক অহংকার, জাতিগত অহংকার- এ সবের নিশান উড়ানোই এদের কাজ। মাঝে মাঝে মানবপ্রেমের কথাও তারা বলে। কিন্তু তাতে নেশা ধরে না, মনে হয় আন্ত রিকতাশূন্য উপলব্ধিহীন বুলি।
  • অতীতকে ভুলে যাও, অতীতের দুশ্চিন্তার ভার অতীতকেই নিতে হবে। অতীতের কথা ভেবে ভেবে অনেক বোকাই মরেছে। আগামীকালের বোঝা, অতীতের বোঝার সঙ্গে মিলে আজকের বোঝা অনেক বড় হয়ে দাঁড়ায়। ভবিষ্যৎকে অতীতের মতো দৃঢ়ভাবে দূরে সরিয়ে দাও। আজই তো ভবিষ্যৎ কাল বলে কিছু নেই। মানুষের মুক্তির দিন তো আজই। ভবিষ্যতের কথা যে ভাবতে বসে সে ভোগে শক্তিহীনতায়, দুশ্চিন্তায় ও স্নায়বিক দুর্বলতায়। এতএব, অতীতের ও ভবিষ্যতের দরজায় আগল লাগাও- আর শুরু কর দৈনিক জীবন নিয়ে বাঁচতে।

ব্যাকরণ:

  • বাংলা একাডেমির প্রমিত বানানের দশটি নিয়ম উদাহরণসহ লেখ।
  • চলিত ভাষার বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা কর।
  • বাংলা বানানে ই-কার ব্যবহারে পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ লিখ।

পত্র:

  • তোমার বোনের বিয়েতে বন্ধুকে নিমন্ত্রণ জানিয়ে একটি পত্র লেখ।
  • তোমার কলেজে কোন বরেণ্য ব্যক্তির আগমন উপলক্ষ্যে একখানি মানপত্র রচনা কর ।
  • তোমার কলেজে বাংলা নববর্ষ উদযাপনের বর্ণনা দিয়ে প্রবাসী বন্ধুর নিকট একটি পত্র লেখ।
  • তোমাদের কলেজে একজন বরেণ্য মুক্তিযোদ্ধার আগমন উপলক্ষে একটি মানপত্র রচনা কর।
  • একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের শূন্য পদে নিয়োগ প্রাপ্তির জন্য একটি আবেদনপত্র লেখ ।

আরো পড়ুন:

শিক্ষার্থী বন্ধুরা বাংলা জাতীয় ভাষা নিয়ে কোন ধরনের প্রশ্ন বা জিজ্ঞাসা থাকলে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবে না।

Leave a Comment