এইচএসসি ২০২৫ সালের পরীক্ষার্থীদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর একটি হলো পদার্থবিজ্ঞান ১ম পত্র। এই বিষয়টি তুলনামূলকভাবে কঠিন হলেও, সঠিক প্রস্তুতি ও গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলোর উপর নজর দিলে ভালো রেজাল্ট অর্জন করা সম্ভব। তাই আজকের এই লেখায় দেওয়া হলো এইচএসসি পদার্থবিজ্ঞান ১ম পত্র সাজেশন ২০২৫।
এইচএসসি পদার্থবিজ্ঞান ১ম পত্র সাজেশন ২০২৫
ভেক্টর জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
১. অবস্থান ভেক্টর কাকে বলে?
উত্তর: প্রসঙ্গ কাঠামোর মূল বিন্দুর সাপেক্ষে কোনো বিন্দুর অবস্থান যে ভেক্টরের সাহায্যে নির্ণয়
বা নির্দেশ করা হয়, তাকে অবস্থান ভেক্টর বলে।
২. ভেক্টর বিভাজন কী?
উত্তর: একটি ভেক্টর রাশিকে দুই বা ততোধিক ভেক্টরে বিভক্ত করার প্রক্রিয়াকে বলে ভেক্টর বিভাজন।
৩. নাল ভেক্টরের সংজ্ঞা দাও ।
উত্তর: যে ভেক্টরের মান শূন্য বা যার কোনো নির্দিষ্ট দিক থাকে না, তাকে নাল বা শূন্য ভেক্টর বলে। এর পাদবিন্দু ও শীর্ষবিন্দু একই হয়।
৪. একক ভেক্টর কাকে বলে?
উত্তর: যে ভেক্টরের মান এক একক তাকে একক ভেক্টর বলে।
৫. আয়ত একক ভেক্টর কাকে বলে?
উত্তর: ভেক্টর ও ত্রিমাত্রিক কার্তেসীয় স্থানাঙ্ক ব্যবস্থায় তিনটি ধনাত্মক X, Y ও Z অক্ষ বরাবর যে তিনটি একক ভেক্টর বিবেচনা করা হয়, তা আয়ত একক ভেক্টর।
৬. সরণ ভেক্টর কী?
উত্তর: রৈখিক বা সরল পথে কোনো নির্দিষ্ট বস্তুকণার অতিক্রান্ত দূরত্ব প্রকাশক ভেক্টরকে সরণ ভেক্টর বলে এবং এর দিক হয় আদিবিন্দু হতে শেষবিন্দুর দিকে
৭. বিপ্রতীপ ভেক্টর কাকে বলে?
উত্তর: দুটি সমান্তরাল ভেক্টরের মান একটি অপরটির গুণাত্মক বিপরীত/বিপ্রতীপ হলে তাদের বিপ্রতীপ ভেক্টর বলে
৮. সীমাবদ্ধ ভেক্টর কী?
উত্তর: যে ভেক্টরের আদি বিন্দু নির্দিষ্ট অর্থাৎ, যে ভেক্টরের আদি বিন্দু সরানো যায় না তা সীমাবদ্ধ ভেক্টর।
১. স্বাধীন ভেক্টর কী?
উত্তর: কোনো ভেক্টর রাশির পাদবিন্দু কোথায় হবে তা যদি ইচ্ছেমতো পছন্দ করা যায়, তবে সেই ভেক্টরকে স্বাধীন ভেক্টর বলে।
১০. ভেক্টর ক্ষেত্রের ডাইভারজেন্স কাকে বলে?
উত্তর: ভেক্টর ক্ষেত্রের ডাইভারজেন্স হলো একটি স্কেলার মান, যা ভেক্টর ক্ষেত্রের নির্দিষ্ট বিন্দুতে ফ্লাক্সের মান নির্দেশ করে।
১১. গ্রেডিয়েন্ট কাকে বলে?
উত্তর: গ্রেডিয়েন্ট হলো একটি ভেক্টরক্ষেত্র যা অদিক রাশির সর্বাধিক বৃদ্ধির হার প্রকাশ করে। ১২. কার্লের সংজ্ঞা দাও ।
উত্তর: কার্ল হল একটি ভেক্টর রাশি, যার মাধ্যমে কোনো ভেক্টর ক্ষেত্রের নির্দিষ্ট বিন্দুতে ঘূর্ণনের
মান ও দিক জানা যায়।
১৩. ডট গুণন কী?
উত্তর:দুটি ভেক্টর রাশির গুণনে গুণফল একটি স্কেলার রাশি হলে এই গুণনকে স্কেলার বা ডট গুণন বলে।
১৪. সমান ভেক্টর কী?
উত্তর: একই দিকে ক্রিয়ারত দুটি সমজাতীয় ভেক্টরের মান সমান হলে, তাদেরকে সমভেক্টর বা সমান ভেক্টর বলে।
নিউটনিয়ান বলবিদ্যা জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
১. ঘাত বল কী?
উত্তর: খুব অল্প সময়ের জন্য খুব বড় মানের যে বল কোনো বস্তুর উপর প্রযুক্ত হয় তাকে ঘাত
বল বলে।
২. বলের ঘাত কাকে বলে?
উত্তর: কোনো বস্তুর ওপর প্রযুক্ত বল ও বলের ক্রিয়াকালের গুণফল হলো বলের ঘাত।
৩. জড়তার ভ্রামক কাকে বলে?
উত্তর: কোনো দৃঢ় বস্তুর সমগ্র ভর যদি একটি নির্দিষ্ট বিন্দুতে কেন্দ্রীভূত করা যায় যাতে করে একটি নির্দিষ্ট অক্ষের সাপেক্ষে ঐ কেন্দ্রীভূত বস্তুকণার জড়তার ভ্রামক, ঐ নির্দিষ্ট অক্ষের সাপেক্ষে সমগ্র দৃঢ় বস্তুর জড়তার ভ্রামকের সমান হয়, তাহলে ঐ নির্দিষ্ট অক্ষ থেকে কেন্দ্রীভূত বস্তুকণার লম্ব দূরত্বকে চক্রগতির ব্যাসার্ধ বলে ।
৪. চক্রগতির ব্যাসার্ধ কী?
উত্তর: কোনো দৃঢ় বস্তুর সমগ্র ভর যদি একটি নির্দিষ্ট বিন্দুতে কেন্দ্রীভূত করা যায় যাতে করে একটি নির্দিষ্ট অক্ষের সাপেক্ষে ঐ কেন্দ্রীভূত বস্তুকণার জড়তার ভ্রামক, ঐ নির্দিষ্ট অক্ষের সাপেক্ষে সমগ্র দৃঢ় বস্তুর জড়তার ভ্রামকের সমান হয়, তাহলে ঐ নির্দিষ্ট অক্ষ থেকে কেন্দ্রীভূত বস্তুকণার লম্ব দূরত্বকে চক্রগতির ব্যাসার্ধ বলে।
৫. টর্ক কী
উত্তর: অক্ষের সাপেক্ষে ঘূর্ণনরত বস্তুর উপর যে বিন্দুতে বল ক্রিয়াশীল ঐ বিন্দুর অবস্থান ভেক্টর ও প্রযুক্ত বলের ভেক্টর গুণফলকে টর্ক বলে। কোনো নির্দিষ্ট অক্ষের চারদিকে ঘূর্ণন করতে সক্ষম এমন বস্তুতে ত্বরণ সৃষ্টিতে প্রযুক্ত দ্বন্দ্বের ভ্রামককে টর্ক বা ভ্রামক বলে।
৬. কৌণিক ভরবেগ কাকে বলে?
উত্তর: কোনো নির্দিষ্ট অক্ষের সাপেক্ষে ঘূর্ণনরত কোনো বস্তুকণার ব্যাসার্ধ ভেক্টর ও রৈখিক ভরবেগের ভেক্টর গুণফলকে কৌণিক ভরবেগ বলে। ঘূর্ণায়মান বস্তুর ঘূর্ণন অক্ষের সাপেক্ষে ঘূর্ণন জড়তা ও কৌণিক বেগের গুণফলকে ঐ অক্ষের সাপেক্ষে ঘূর্ণায়মান বস্তুর কৌণিক
ভরবেগ বলে।
৭. কেন্দ্রমুখী বল কাকে বলে?
উত্তর: যে বলের ক্রিয়ায় কোনো বস্তু সমদ্রুতিতে বৃত্তপথে চলতে থাকে এবং যে বল সবসময় বস্তুর গতিপথের সঙ্গে লম্বভাবে ভেতরের দিকে অর্থাৎ কেন্দ্রাভিমুখে ক্রিয়া করে, তাকে কেন্দ্রমুখী বল বলে।
৮. বল কী?
উত্তর: যে বাহ্যিক কারণ স্থির বস্তুকে গতিশীল বা গতিশীল বস্তুর গতীয় অবস্থার পরিবর্তন
করতে চায় তাকে বল বলে
১. ভরবেগের সংরক্ষণ সূত্রটি লিখ।
উত্তর:যখন কোনো ব্যবস্থার উপর প্রযুক্ত বাহ্যিক বল শূন্য হয়, তখন ব্যবস্থাটির মোট ভরবেগ সংরক্ষিত থাকে।
১০. মৌলিক বলের সংজ্ঞা দাও?
উত্তর: যে সকল বল অন্য কোনো বল থেকে উৎপন্ন হয় না বরং অন্যান্য বলের এ সকল বলের মাধ্যমে প্রকাশ ঘটে তাকে মৌলিক বল বলে।
১৪. দ্বন্দ কী?
উত্তর: একই কোনো বস্তুর দুই প্রান্তে পরস্পর বিপরীতমুখী যে বলদ্বয় ক্রিয়া করে ঘূর্ণন সৃষ্টি
করে তাদের দ্বন্দু বলে।
কাজ, শক্তি ও ক্ষমতা জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
১. সংরক্ষণশীল বল কাকে বলে?
উত্তর: যে সংস্থা বা সিস্টেমে যান্ত্রিক শক্তি সংরক্ষিত থাকে তা সংরক্ষণশীল সিস্টেম এবং এরূপ সিস্টেমে ক্রিয়াশীল বলকে সংরক্ষণশীল বল বলে। একটি বদ্ধ পথে কোনো বল দ্বারা মোট কৃতকাজের পরিমাণ শূন্য হলে সেই বলকে সংরক্ষণশীল বল বলে
২. অসংরক্ষণশীল বল কাকে বলে?
উত্তর: কোনো বল দ্বারা সৃষ্ট ক্ষেত্রে অবস্থিত একটি বস্তুকে যেকোনো পথে ঘুরিয়ে পুনরায় প্রাথমিক অবস্থানে আনলে যদি ঐ বল দ্বারা কৃতকাজ শূন্য না হয়, তবে তাকে অসংরক্ষণশীল বল বলে।
৩. অশ্বক্ষমতা কী?
উত্তর: অশ্বক্ষমতা ক্ষমতার একটি একক। কোনো যন্ত্র প্রতি সেকেন্ডে 746 J কাজ সম্পন্ন করলে, সেই যন্ত্রের ক্ষমতাকে 1 অশ্বক্ষমতা বলে।
৪. কর্মদক্ষতা কী?
উত্তর: কোনো ব্যবস্থা (system) বা যন্ত্র থেকে প্রাপ্ত মোট কার্যকর শক্তি এবং ব্যবস্থায় বা যন্ত্রে প্রদত্ত মোট শক্তির অনুপাতকে ঐ ব্যবস্থা বা যন্ত্রের কর্মদক্ষতা বলে
৫. কাজ-শক্তি উপপাদ্যটি বিবৃত কর।
উত্তর: কোনো বস্তুর উপর ক্রিয়ারত লব্ধি বল কর্তৃক কৃতকাজ তার গতিশক্তির পরিবর্তনের
সমান।
৬. স্প্রিং ধ্রুবক কাকে বলে?
| উত্তর:স্প্রিং এর একক দৈর্ঘ্য বৃদ্ধির জন্য প্রযুক্ত বলকেই স্প্রিং ধ্রুবক বলে।
৭. যান্ত্রিক শক্তির নিত্যতা কাকে বলে?
উত্তর: কোনো সিস্টেমে কেবল সংরক্ষণশীল বল ক্রিয়া করলে, সিস্টেমের বিভবশক্তি ও গতিশক্তির সমষ্টি ধ্রুব থাকে। একে যান্ত্রিক শক্তির নিত্যতা বলে।
মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
১. মুক্তিবেগ কী?
উত্তর: কোনো বস্তুকে ন্যূনতম যে বেগে ঊর্ধ্বে নিক্ষেপ করলে তা আর পৃথিবী পৃষ্ঠে ফিরে আসে
না তাকে মুক্তি বেগ বলে।
২. মহাকর্ষীয় ক্ষেত্র কী?
উত্তর: কোনো বস্তুর আশেপাশে যে অঞ্চলব্যাপী এর মহাকর্ষীয় প্রভাব বজায় থাকে, অর্থাৎ অন্য কোনো বস্তু রাখা হলে সেটি আকর্ষণ বল লাভ করে, তাকে বস্তুর ঐ মহাকর্ষীয় ক্ষেত্র বলে। ৩. মহাকর্ষীয় বিভব কী?
উত্তর: অসীম দূরত্ব হতে একক ভরের কোনো বস্তুকে মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রের কোনো বিন্দুতে আনতে যে পরিমাণ কাজ সাধিত হয় তাকে উক্ত বিন্দুর মহাকর্ষ বিভব বলে।
৪. মহাকর্ষ ধ্রুবক কাকে বলে?
উত্তর: একক ভরের দুইটি বস্তুকণা একক দূরত্বে যে বলে পরস্পরকে আকর্ষণ করে, তাকে মহাকর্ষীয় ধ্রুবক বলে।
৫. মহাকর্ষীয় প্রাবল্য কাকে বলে?
উত্তর: মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রের যেকোনো বিন্দুতে একটি একক ভরের বস্তু স্থাপন করলে ঐ ভরের উপর যে বল ক্রিয়া করে তাকে ঐ বিন্দুতে মহাকর্ষীয় প্রাবল্য বলা হয়।
৬. কেপলারের উপবৃত্ত সূত্রটি লিখ ।
উত্তর: প্রতিটি গ্রহ সূর্যকে উপবৃত্তের একটি ফোকাসে রেখে উপবৃত্তাকার পথে প্রদক্ষিণ করছে। ৭. গ্রহের গতি সংক্রান্ত কেপলারের ২য় সূত্রটি লিখ।
উত্তর: গ্রহ এবং সূর্যের সংযোজক সরলরেখা সমান সময়ে সমান ক্ষেত্রফল অতিক্রম করে। ৮. কেপলারের সময়ের সূত্রটি লিখ।
উত্তর: প্রতিটি গ্রহের পর্যায়কালের বর্গ সূর্য হতে তার গড় দূরত্বের ঘনফলের সমানুপাতিক। ১. অভিকর্ষ কেন্দ্র কাকে বলে?
উত্তর: একটি বস্তুকে যেভাবেই রাখা হোক না কেন বস্তুর ভেতরে অবস্থিত যে বিন্দুর মধ্য দিয়ে মোট ওজন ক্রিয়া করে, সেই বিন্দুকে বস্তুর অভিকর্ষ কেন্দ্র বলে।
১০. ভূ-স্থির উপগ্রহ কাকে বলে??
উত্তর: কোনো কৃত্রিম উপগ্রহের আবর্তনকাল নিজ অক্ষের চারদিকে ঘূর্ণায়মান পৃথিবীর আবর্তনকালের সমান হলে পৃথিবীসাপেক্ষে উপগ্রহটি স্থির থাকবে। এ ধরনের উপগ্রহকে ভূ- স্থির উপগ্রহ বলে
পদার্থের গাঠনিক ধর্ম জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
১. স্থিতিস্থাপক সীমা বলতে কী বুঝ ?
উত্তর: প্রযুক্ত বলের যে সর্বোচ্চ মান পর্যন্ত কোনো বস্তু স্থিতিস্থাপক বস্তুর ন্যায় আচরণ করে অর্থাৎ যে বল প্রয়োগে কোনো বস্তুর বিকৃতি ঘটিয়ে বল অপসারণ করলে বস্তুটি পূর্বাস্থা ফিরে পায় তাকে স্থিতিস্থাপক সীমা বলে
২. স্থিতিস্থাপকতা কী?
উত্তর: বল প্রয়োগে কোনো বস্তুর দৈর্ঘ্য, আকার বা আয়তনের পরিবর্তন ঘটানো হলে বল অপসারণ করা মাত্রই বস্তুটি পূর্বাবস্থায় ফিরে আসার ধর্মকে স্থিতিস্থাপকতা বলে।
৩. পীড়ন কাকে বলে?
উত্তর: বাইরে থেকে বল প্রয়োগের ফলে কোনো বস্তুর আকার বা দৈর্ঘ্য বা আয়তনের পরিবর্তন ঘটলে স্থিতিস্থাপকতার জন্য বস্তুর ভেতর থেকে এই বলকে বাধাদানকারী একটি বলের উদ্ভব হয়। বস্তুর একক ক্ষেত্রফলের উপর লম্বভাবে উদ্ভুত এই বিকৃতি প্রতিরোধকারী বলকে পীড়ন বলে।
৪. বিকৃতি কী?
উত্তর: বল প্রয়োগে বস্তুর একক মাত্রায় যে পরিবর্তন ঘটে তাকে বিকৃতি বলে
৫. অসহ পীড়ন কী?
উত্তর: কোনো বস্তুর প্রস্থচ্ছেদের বা তলের প্রতি একক ক্ষেত্রফলে প্রযুক্ত অসহ ভরকে অসহ পীড়ন বলে।
৬. স্থিতিস্থাপক ক্লান্তি কাকে বলে?
উত্তর: কোনো তারের উপর ক্রমাগত পীড়নের হ্রাস-বৃদ্ধি করলে বস্তুর স্থিতিস্থাপকতা হ্রাস পায়।
এর ফলে বস্তুটি স্থিতিস্থাপক সীমার মধ্যেই ছিড়ে যেতে পারে। বস্তুর এই অবস্থাকে স্থিতিস্থাপক ক্লান্তি বলে।
৭. পয়সনের অনুপাত কী?
উত্তর: স্থিতিস্থাপক সীমার মধ্যে বস্তুর পার্শ্ব বিকৃতি ও দৈর্ঘ্য বিকৃতির অনুপাত একটি ধ্রুব সংখ্যা। এ ধ্রুব সংখ্যাকে বস্তুর উপাদানের পয়সনের অনুপাত বলে ।
পর্যাবৃত্তিক গতি জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
১. পর্যাবৃত্ত গতি কী?
উত্তর: কোনো গতিশীল বস্তুকণার গতি যদি এমন হয় যে, এটি তার গতিপথে কোনো নির্দিষ্ট বিন্দুকে নির্দিষ্ট সময় পরপর একই দিক থেকে অতিক্রম করে, তাহলে সেই গতিকে পর্যাবৃত্ত গতি বলে।
২. কালিক পর্যায়ক্রম কী?
উত্তর: পর্যায়বৃত্তির পর্যায়কাল যদি একটি নির্দিষ্ট সময় সাপেক্ষে হয়, তবে তাকে কালিক পর্যায়ক্রম বলে।
৩. সরল ছন্দিত গতি কাকে বলে?
উত্তর: স্পন্দনরত কোনো বস্তুকণার গতি যদি এমন হয় যে, এর গতিপথ সরলরৈখিক এবং এর যেকোনো মুহূর্তের ত্বরণ, সাম্যাবস্থান হতে সরণের সমানুপাতিক কিন্তু বিপরীতমুখী, তবে ঐ বস্তুকণার গতিকে সরল ছন্দিত গতি বলে।
৪. বল ধ্রুবকের সংজ্ঞা দাও।
উত্তর: সরলছন্দিত স্পন্দন সম্পন্নকারী কোনো বস্তুকণার একক সরণ হলে তা সাম্যাবস্থান অভিমুখী যে বল লাভ করে, তাকে ঐ সিস্টেমের বল ধ্রুবক বলে।
৫. দশা কী?
উত্তর: কোনো বস্তুর প্রস্থচ্ছেদের বা তলের প্রতি একক ক্ষেত্রফলে প্রযুক্ত অসহ ভরকে অসহ পীড়ন বলে ।
৬. সেকেন্ড দোলক কী?
উত্তর: যে দোলকের দোলনকাল দুই সেকেন্ড তাকে সেকেন্ড দোলন বলে।
৭. কৌণিক কম্পাঙ্ক কাকে বলে?
উত্তর: সরলছন্দিত কোনো কণার একক সময়ে যে কৌণিক সরণ ঘটে তাকে কৌণিক কম্পাঙ্ক
বলে।
আদর্শ গ্যাস ও গ্যাসের গতিতত্ত্ব জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
১. আদর্শ গ্যাস কী??
উত্তর: যে সকল গ্যাস গ্যাসের গতিতত্ত্বের মৌলিক স্বীকার্যসমূহ মেনে চলে এবং সকল তাপমাত্রায় ও চাপে বয়েল ও চার্লসের সূত্র যুগ্মভাবে মেনে চলে তাদেরকে আদর্শ গ্যাস বলে ২. বাস্তব গ্যাস কী?
উত্তর: যেসকল গ্যাস সকল তাপমাত্রা ও চাপে বয়েল, চার্লস এবং অ্যাভোগ্যাড্রো সূত্র মেনে চলে না, তাদেরকে বাস্তব গ্যাস বলে।
৩. শিশিরাঙ্ক কী?
উত্তর: যে তাপমাত্রায় কোনো নির্দিষ্ট আয়তনের বায়ু এর মধ্যে অবস্থিত জলীয়বাষ্প দ্বারা সম্পৃক্ত হয় সেই তাপমাত্রাকে শিশিরাঙ্ক বলে।
৪. আপেক্ষিক আর্দ্রতা কাকে বলে?
উত্তর: কোনো নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় নির্দিষ্ট আয়তনের বায়ুতে উপস্থিত জলীয়বাষ্পের ভর এবং সেই তাপমাত্রায় সেই আয়তনের বায়ুকে সম্পৃক্ত করতে প্রয়োজনীয় জলীয়বাষ্পের ঐ স্থানের আপেক্ষিক আর্দ্রতা বলে ।
৫. পরম আর্দ্রতা কাকে বলে?
উত্তর: কোনো সময় কোনো স্থানের একক আয়তনের বায়ুতে যে পরিমাণ জলীয়বাষ্প থাকে তাকে ঐ স্থানের বায়ুর পরম আর্দ্রতা বলে
৬. পরমশূন্য তাপমাত্রা কী?
উত্তর: যে তাপমাত্রায় স্থির চাপে কোনো নির্দিষ্ট ভরের গ্যাসের আয়তন শূন্য হয় তাকে পরমশূন্য তাপমাত্রা বলে
৭. প্রমাণ চাপ কী?
উত্তর: 45° অক্ষাংশে 273K তাপমাত্রায় উলম্বভাবে অবস্থিত 760mm উচ্চতাবিশিষ্ট শুল্ক ও বিশুদ্ধ পারদ স্তন্ত যে চাপ দেয় তাকে প্রমাণ চাপ বলে।
৮. বয়েলের সূত্রটি বিবৃত কর ।
উত্তর: তাপমাত্রা স্থির থাকলে কোনো নির্দিষ্ট ভরের গ্যাসের আয়তন তার চাপের ব্যস্তানুপাতিক ।
৯. সম্পৃক্ত বাষ্পচাপ কাকে বলে?
উত্তর: কোনো নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় কোনো আবদ্ধ স্থানের বাষ্প সর্বাধিক যে চাপ দিতে পারে তাকে সম্পৃক্ত বাষ্পচাপ বলে।
১০. গড়মুক্ত পথ কাকে বলে?
উত্তর: কোনো অণুর পরপর দুটি সংঘর্ষের মধ্যবর্তী দূরত্বগুলোর গড় নিলে যে দূরত্ব পাওয়া যায় তাকেই গড়মুক্ত পথ বলে
১১. শক্তির সমবিভাজন নীতি কী?
উত্তর: তাপীয় সাম্যাবস্থায় আছে এমন তাপ গতীয় সিস্টেমের মোট শক্তি বিভিন্ন স্বাধীনতার মাত্রার ভেতর সমভাবে বণ্টিত হয় এবং প্রত্যেক স্বাধীনতার মাত্রা পিছু শক্তির পরিমাণ সমান
হয়।
প্রস্তুতির টিপস
- প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ধরে পদার্থবিজ্ঞান পড়ুন
- সূত্র মুখস্থ না করে প্রয়োগ করতে শিখুন
- পূর্ববর্তী বছরের প্রশ্ন অনুশীলন করুন
- গ্রাফ ও সংখ্যাগত সমস্যা বেশি বেশি চর্চা করুন
- প্রয়োজনে শিক্ষক বা সহপাঠীদের সাহায্য নিন
আমাদের দেওয়া এইচএসসি পদার্থবিজ্ঞান ১ম পত্র সাজেশন ২০২৫ অনুসরণ করে নিয়মিত অধ্যয়ন করলে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন সম্ভব। মনে রাখবে, কৌশলী প্রস্তুতি ও অনুশীলনই সফলতার চাবিকাঠি। তোমাদের জন্য দোয়া রইলো।