নামাজ নিয়ে উক্তি ইসলামিক বাণী ক্যাপশন কিছু কথা

নামাজ নিয়ে উক্তি ইসলামিক বাণী ক্যাপশন কিছু কথা। আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা আজ আমি একজন মুসলিম ব্যক্তির সাফল্যের চাবিকাঠি সম্পর্কে কিছু উক্তি নিয়ে হাজির হয়েছি। নামাজ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে একটি।

একজন মুসলমানকে অবশ্যই নামাজের গুরুত্ব বুঝা উচিত। প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরজ। ধনী, দরিদ্র, অসুস্থ, বাসিন্দা বা ভ্রমণকারী এমনকি যখন যুদ্ধের ময়দানেও মুসলমানদের জন্য নামাজ বাধ্যতামূলক।

নামাজ নিয়ে উক্তি

নামাজ প্রত্যেক পরহেজগার ব্যক্তির কোরবানী স্বরূপ।

ওয়াক্ত মত নামাজ পড়া সর্বশ্রেষ্ঠ আমল

মুসলমান যখন এহতেমামের সাথে পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে থাকে, শয়তান তাকে ভয় করে আর সে যখন নামাজে গাফিলতি করে তখন শয়তানের সাহস বেড়ে যায় এবং তাকে কুপথে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায়।

যে একটি ফরজ আদায় করল আল্লাহর দরবারে তার একটি দোয়া কবুল হল।

নামাজ নিয়ে ইসলামিক বাণী

যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ গুরুত্বের সাথে রুকু সেজদা অজু ইত্যাদি সঠিকভাবে আদায় করে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব, দোজখ হারাম।

যে একটি ফরজ আদায় করল আল্লাহর দরবারে তার একটি দোয়া কবুল হল।

যে নির্জনে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে যা আল্লাহ ও ফেরেশতা ছাড়া আর কেউ জানেনা সে জাহান্নাম থেকে মুক্তির পরোয়ানা পেল।

আরো পড়ুন: জুম্মা মোবারক স্ট্যাটাস

দুই রাকাত নামাজ পরে দোয়া করলে তা নিশ্চয়ই কবুল হয়। তবে সাথে সাথে কবুল হতে পারে বা নামাজির মঙ্গলের জন্য কিছু দেরিও হতে পারে।

নামাজ নিয়ে ইসলামিক ক্যাপশন

জমিনের যে অংশে নামাজ পড়া হয়, সে অংশ অন্য অংশের উপর গর্ব করে থাকে।

ঠিকভাবে অজু করে নম্রতার সাথে যে দুই রাকাত ফরজ বা নফল নামাজ আদায় করে গোনাহের জন্যই ক্ষমা চায় আল্লাহপাক তাকে ক্ষমা করে দেন।

নামাজ হৃদয়ের আলো, যার ইচ্ছা সে যেন নামাজ দ্বারা হৃদয়কে আলোকিত করে।

শরীরে জন্য যেমন মাথা, দ্বীনের জন্য তেমন নামাজ।

নামাজি আল্লাহর দরজায় করাঘাত করে, যে ক্রমাগত করাঘাত করে তার জন্য দরজা খোলাটাই স্বাভাবিক।

মানুষ নামাজে দাড়ালে তার জন্য বেহেশতের দরজা খুলে যায় এবং আল্লাহতায়ালা ও নামাজিদের মধ্যে কোন পর্দা থাকে না।

নামাজ বেহেশতের পুঞ্জি।

আরো পড়ুন: রমজান মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৪

 

সেজদায় রত অবস্থায় আল্লাহর নৈকট্য সবচাইতে বেশি লাভ হয়।

মানুষ যখন সেজদারত অবস্থায় কপাল মাটিতে মিশায় সেই অবস্থায় মানুষকে দেখতে আল্লাহ অধিক ভালবাসেন।

ঠিক ওয়াক্তে নামাজ আদায় করা আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বেশি প্রিয়।

সেজদায় ব্যবহৃত অঙ্গকে আল্লাহপাক দোজখের আগুনের জন্য হারাম করে দিয়েছেন।

নামাজ নিয়ে কিছু কথা

কোন পাপের কারণে কোন নামাজি দোজখে প্রবেশ করলে তার সেজদার অঙ্গ দোজখের আগুন স্পর্শ করবেনা।

যখন কোন আসমানী বিপদ অবতীর্ণ হয় তখন মসজিদ আবাদকারীদের উপর থেকে বিপদ সরে যায়।

কোন ব্যক্তি যখন নামাজে দাড়ায় তখন আল্লাহপাক তার দিকে পূর্ণ মনোযোগ দেন।আর যখন সে নামাজ থেকে সরে যায়, তখন আল্লাহও মনোযোগ সরিয়ে নেন।

নামাজ দ্বীন ইসলামের খুটি।
নামাজের দ্বারা শয়তানের মুখ কালো হয়ে যায়।
নামাজ মোমেনের নূর স্বরূপ।
নামাজ শ্রেষ্ঠ জেহাদ।

আল্লাহপাক ঈমান ও নামাজের চেয়ে উত্তম শ্রেষ্ঠত্বের আর কোন বিষয়কে ফরজ করেননি। যদি করতেন তাহলে ফেরেশতারা দিনরাত কেউ রুকু আর কেউ সেজদায় পরে থাকতেন।

ইসলামের নিদর্শন একমাত্র নামাজ। যে ব্যক্তি একাগ্রচিত্তে ওয়াক্ত ও সময়ের প্রতি লক্ষ রেখে নামাজ পরে সে মোমিন।

মানুষের মধ্যে এবং শিরকের মধ্যে নামাজই একমাত্র প্রতিবন্ধক।

নামাজের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় কর, নামাজের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় কর।

রাসুলে পাক (সা:) বলেছেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমার উম্মতের উপর সর্বপ্রথম নামাজ ফরজ করেছেন এবং কেয়ামতের দিন সবার আগে নামাজের হিসাব নেয়া হবে।

( ইবরাহিম দোয়া করেছিল : ) হে আমার প্রভু ! আমাকে সালাত কায়েমকারী বানাও আর আমার বংশধরদের মধ্য থেকেও । ( সূরা ১৪ ইবরাহিম : আয়াত – ৪০ )

আরো পড়ুন: সফলতার উক্তি বাণী 

 

( একদল লোক আছে ) তাদেরকে যদি আমি দেশের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করি , তবে তারা সালাত কায়েম করবে ।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।’ (সূরা ২২ আল হজ্জ : আয়াত ৪১ )

একদল লোক আছে , তাদেরকে ব্যস্ততা এবং ব্যবসা – বানিজ্য আল্লাহর স্মরণ এবং সালাত কায়েম করা থেকে বিরত রাখেনা। ’ (সূরা ২৪ নূর : আয়াত – ২৭)
অর্থ : তোমরা সাহায্য প্রার্থনা করো সবর ( ধৈর্য ) ও সালাতের মাধ্যমে। ’ ( সূরা ২ আল বাকারা : আয়াত – ৪৫)

(লোকমান তার ছেলেকে এই বলে উপদেশ দিয়েছিল) হে আমার পুত্র ! সালাত কায়েম করবে , ভালো কাজের নির্দেশ দেবে , অসৎ ও মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করবে , আর ( এতে বিপদ আপদ আসলে ) ধৈর্য ধরবে। ’ ( সূরা ৩১ লোকমান : আয়াত – ১৭)

নামাজ নিয়ে কিছু কথা

তোমার পরিবার পরিজনকে সালাতের আদেশ করো। এবং এর উপর অটল থাকো। ’ ( সূরা ২০তোয়াহা : ১৩২ )

অবশ্যি সালাত বিরত রাখে অশ্লীল ও মন্দ কাজ থেকে । ’ ( সূরা ২৯ আনকাবূত : আয়াত – ৪৫)

যে কিতাব তোমার প্রতি অহী করা হয়েছে , তা থেকে তিলাওয়াত করো এবং সালাত কায়েম করো। ’ ( সূরা ২৯ আনকাবূত : আয়াত – ৪৫)

সালাত কায়েম করো এবং যাকাত দিয়ে দাও। আর যারা রুকু করে তাদের সাথে রুকু করো (অর্থাৎ জামাতে সালাত আদায় করো)।’ (সূরা ২ আল বাকারা : আয়াত – ৪৩)

আর সালাত কায়েম করো আমাকে স্মরণ করার জন্য। ’ (সূরা ২০ তোয়াহা : আয়াত -১৪)

প্রিয় পাঠক নামাজ নিয়ে উক্তি গুলোতে কোন ধরনের তথ্যগত ভুল থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন যাতে ভুলগুলো ঠিক করা যায়।

Leave a Comment