ইলেকট্রিক বাইক কী? এর দাম সুবিধা অসুবিধা সমূহ। রিচার্জেবল ব্যাটারির সাথে ইলেকট্রিক মোটরের সমন্বয়ের কারণে ইলেকট্রিক বাইক অন্যান্য বাইক থেকে আলাদা হয়ে থাকে। জ্বালানী তেলের পরিবর্তে এগুলো বিদ্যুতের সাহায্যে চলে। আপনাকে যা করতে হবে তা হলো, একটি নির্দিষ্ট দূরত্বে যাওয়ার জন্য ব্যাটারিটি সম্পুন চার্জ করে নিতে হবে। একটি ইলেকট্রিক বাইক একবার চার্জ করার পর মুলত ৭০ থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে সক্ষম হয়। এটি চার্জ করতে যেকোনো সাধারণ ইলেকট্রিক আউটলেটে প্লাগটি লাগিয়ে দিন এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে ৫ থেকে ৭ ঘণ্টার মধ্যেই তা পুরো চার্জ হয়ে যাবে তবে বিভিন্ন ব্রান্ডের উপর এই সময়ের কিছুটা তারতম্য ঘটতে পারে। যেহেতু বাংলাদেশে জনসংখ্যার ঘনত্ব অনেক বেশি, তাই বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার জন্য একটি ইলেকট্রিক বাইক অনেক বেশি কার্যকর হতে পারে।
Contents
সাধারণ জ্বালানী তৈলে চালিত বাইকের তুলনায় ইলেকট্রিক বাইকের সুবিধাবলী:-
শক্তির উৎসের ভিত্তিতে যখন আপনি যে কোন সাধারণ বাইক এর সাথে ইলেকট্রিক বাইকের তুলনা করবেন, তখন আপনি অন্যান্য বাইকের তুলনায় ইলেকট্রিক বাইকের ক্ষেত্রে স্পষ্টভাবে অনেক সুবিধা দেখতে পাবেন।
এটা দেখতে, আকারে ও দামে একই রকম হলেও, সাধারণ বাইকের তুলনায় ইলেকট্রিক বাইক সহজে তদারকি করা যায়।
ইলেকট্রিক স্কুটার ক্ষেত্রে মেরামত অনেক কম লাগে, আপনাকে শুধু নিশ্চিত হতে হবে যে ব্রেক প্যাড এবং টায়ারগুলোর অবস্থা ভালো রয়েছে কিনা অন্যদিকে সাধারণ বাইকের দূর্ঘটনা থেকে সুরক্ষার জন্য এমন অনেক যন্ত্রাংশ রয়েছে, যা নিয়মিতভাবে আপনাকে মেরামত করতে হবে।
ইলেকট্রিক বাইক কোন কোন তাপ উৎপন্ন করে না তাই পরিবেশ বান্দব।
সাধারণ বাইক অনেক দামী হলে ও মাঝে মধ্যে চরম বিরক্তি সৃষ্টি করে যেমন- যখন তখন ষ্টার্ট বন্ধ হওয়া, তেল মোবিল চেক করা, চেইন মেরামত, চালু অবস্থায় ক্লাস ধরে রাখা, বার বার গিয়ার পরিবর্তন করা ইত্যাদি ইলেকট্রিক বাইক এইসব ঝামেলামুক্ত, সহজ ও ঝুকি কম।
ইলেকট্রিক বাইক খুবই সামান্য শব্দ করে চলে, যা বাংলাদেশের ব্যস্ত রাস্তায় অন্যদের বিরক্তির কারণ হয় না, এসব কারণে ইলেকট্রিক বাইক সাধারণ বাইকের তুলনায় অনেক বেশী পরিবেশ বান্ধব।
সাধারণ বাইক ইলেকট্রিক বাইকের তুলনায় দ্রুত চলে বিধায় প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনার সন্মুখীন হয়।
সাধারণ বাইকের তুলনায় ইলেকট্রিক বাইকের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এর জ্বালানি সাশ্রয়ের ক্ষমতা। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় যখন জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পায়, তখন তার তুলনায় বিদ্যুতের দাম অল্প বেড়ে থাকে।
সাধারণ বাইকের প্রতি কিমি জ্বালানি খরচ ২.৫ টাকা অন্যদিকে ইলেকট্রিক বাইকের প্রতি কিমি জ্বালানি খরচ ০.১৫ টাকা। এই অতিরিক্ত খরচের টাকায় আরো ১টি বাইক কেনা যায়।
উদাহারণ সরূপ: আপনি ১,১৫,০০০ টাকায় একটি ইলেকট্রিক বাইক কিনলেন তা সর্বোচ্চ ৪৫,০০০ কিমিঃ চলার পর ব্যাটারী খারাপ হলে সর্বোচ্চ ২০,০০০ টাকা দিয়ে ব্যাটারি কিনে তা আবারো ৪৫,০০০ কিমিঃ চলার জন্যে উপযোগী হবে তাতে প্রতি ৪৫,০০০ কিলিঃ (০.১৫ টাকা/কি.লিঃ) বিদ্যুৎ খরচ ৬,৭৫০/-অন্যদিকে সাধারণ বাইকের (২.৫ টাকা/কি.লিঃ) জ্বালানি তেলের খরচ ১,১২,৫০০ টাকা এ খরচে আপনি অনায়াসে আরও একটি নতুন ইলেকট্রিক বাইক (১,১২,৫০০-৬,৭৫০) = ১,০৫,৭৫০ টাকায় কেনা সম্ভব।
- এক হিসেবে ৪৫,০০০ কি.মি. চলার ক্ষেত্রে নতুন বাইকের মূল্যসহ কি.মি: প্রতি খরচ মাত্র ২.৭০ টাকা (১,১৫০০০+ ৬৭৫০=১,২১,৭৫০÷৪৫০০০) অন্যদিকে সাধারণ বাইকের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র তেলের খরচ ৪ টাকা/কি.মি.
- ইলেকট্রিক বাইক এর পুনরায় বিক্রয় ভ্যালু না থাকলেও এর উপকারীতা বলে শেষ করা যাবে না। তাই উন্নত বিশ্বে এর ব্যবহার অনেক বেশী হচ্ছে।
বর্তমানে বাংলাদেশে এখন ইলেকট্রিক বাইক পাওয়া যাচ্ছে। এখানে আমরা ইউজার রেটিং এর উপর ভিত্তি করে কিছু ই-বাইক, ইলেকট্রিক স্কুটার, এবং ই-মোপেড বাছাই করেছি যা বর্তমানে বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে।
এখানে আপনাদের জন্য বাংলাদেশে তৈরি হিরো ইলেকট্রিক বাইকের দাম, গ্রীন টাইগার, টিভিএস, আকিজ ইলেকট্রিক, এক্সপ্লোইট ইলেকট্রিক বাইক এবং স্কুটারের দাম দেখাবো।









ইলেকট্রিক বাইক নিয়ে কিছু প্রশ্নসমূহ
বাংলাদেশের বাজারে বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ইলেকট্রিক বাইক কোনটি?
বাংলাদেশে বর্তমানে বাজেটের মধ্যে সেরা ইলেকট্রিক স্কুটার কোনটি?
বাংলাদেশের বাজারে বর্তমানে সবচেয়ে সহজ নিয়ন্ত্রণযোগ্য ইলেকট্রিক স্কুটার কোনটি?
বাংলাদেশে বর্তমানে সেরা ফীচারযুক্ত ইলেকট্রিক বাইকের নাম বলুন কি?
উপরে উল্লিখিত মোটরসাইকেল এবং স্কুটার মডেলগুলি বাজারের জনপ্রিয়তা, কর্মক্ষমতা, ব্র্যান্ড ভ্যালু, বিক্রয়োত্তর পরিষেবা ইত্যাদি বিবেচনা করে সাজানো হয়েছে।
বাংলাদেশে এই ইলেকট্রিক বাইকগুলি সচরাচর পাওয়া যায় তাই আমরা বিভিন্ন দামের মধ্যের মডেলগুলি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করেছি। তাই ইলেকট্রিক বাইক সম্পর্কে আরও তথ্যের জন্য তাদের শোরুম এবং ইন্টারনেট থেকে আরো বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।