আমার দেখা নয়া চীন pdf download। ‘আমার দেখা নয়াচীন’ গ্রন্থের লেখক স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কীর্তি, আত্মত্যাগ ও গৌরবগাঁথা সম্পর্কে পুরো বিশ্বের বিদগ্ধজন বিদিত। তাঁর রচিত ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’ গ্রন্থ দুটিতে তাঁর জীবনের সেইসব কঠোর সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের কথা তিনি উল্লেখ করেছেন। এ বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারির একুশে বইমেলাতে মুজিব শতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রকাশিত হয়েছে লেখকের লেখা ‘আমার দেখা নয়াচীন’ বইটি। তবে সবচেয়ে চমকপ্রদ ব্যাপার এই যে, এ বছর একুশে বইমেলাতে বঙ্গবন্ধুর লেখা এই বইটি ত্রিশ হাজারের অধিক বিক্রয় হয়ে সর্বোচ্চ বই বিক্রয়ের রেকর্ড গড়েছে।
- বই: আমার দেখা নয়া চীন
- লেখক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
- ক্যাটাগরি: ভ্রমণ বিষয়ক স্মৃতি
- ভাষা: বাংলা
- ফরম্যাট: Free Download (ফ্রি ডাউনলোড)
- প্রকাশনী: বাংলা একাডেমি
- প্রকাশকাল: ২০২০
- মোট পেজ: ২০০ টি
- ফাইল সাইজ: এম্বি
আমার দেখা নয়া চীন pdf বইয়ের প্রথম কিছু অংশ পড়ুন।
সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, তাদের জীবনযাত্রা, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ মৌলিক চাহিদাগুলাে মিটাবার জন্য চীন সরকার বিপ্লবের পর কীভাবে উন্নতি করেছে এবং পরিবর্তন এনেছে মানুষের আচরণে তাও জানা যায়। তিনি শুধু সম্মেলনেই অংশগ্রহণ করেন নাই তিনি এই দেশকে খুব গভীরভাবে দেখেছেন। কৃষকের বাড়ি, শ্রমিকের বাড়ি, তাদের কর্মসংস্থান, জীবনমান সবই তিনি দেখেছেন। ছােট ছােট শিশু ও ছাত্রছাত্রীদের গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন। শিশু বয়স থেকেই দেশপ্রেম ও কর্তব্যবােধ জাগ্রত করার যে প্রচেষ্টা ও কর্মপন্থা তাও অবলােকন করেছেন । তিনি মুক্তমন নিয়ে যেমন ভ্রমণ করেছেন আবার তীক্ষ দৃষ্টি দিয়ে পর্যবেক্ষণ করেছেন। প্রতিটি বিষয় গভীর দৃষ্টি দিয়ে দেখেছেন।
লেখক পরিচিতি:
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি ও বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু একজন আদর্শ দেশনেতা ও রাজনীতিবিদই নন, তাঁর ছিলো উল্লেখযোগ্য সাহিত্য প্রতিভা। বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে পরিণত করতে যিনি সবচেয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, যার ফলে তাঁকে অভিহিত করা হয়ে থাকে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি হিসেবে। মহান এই ব্যক্তির জন্ম ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে। তাঁর শৈশব কেটেছে গোপালগঞ্জেই, যার ফলে শিক্ষাজীবনের সূত্রপাতও সেখানে। ১৯৪২ সালে গোপালগঞ্জ মিশনারি স্কুল থেকে তিনি ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন। স্কুল-কলেজের লেখাপড়া শেষ করে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন, কিন্তু ছাত্র রাজনীতি ও বিভিন্ন ছাত্র আন্দোলনের সাথে গভীরভাবে জড়িয়ে যাওয়ায় তিনি আর পড়ালেখা শেষ করতে পারেননি। পাকিস্তান আমলে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষার্থে তিনি নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেন, যার ফলে সরকারের রোষানলে পড়েন। রাজনৈতিক কারণে তিনি দিনের পর দিন জেল খেটেছেন। এমনকি স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরুর প্রারম্ভে তাঁকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানে নিয়ে গিয়ে জেলে আটকে রাখা হয়। এরপর দেশ স্বাধীন হলে দেশে ফিরে এসে তিনি দেশের শাসনভার গ্রহণ করেন এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। এতকিছুর পরও বঙ্গবন্ধু সাহিত্যকর্মে অংশ নিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর বই ২টি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর বই সমূহ মূলত আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ। ‘কারাগারের রোজনামচা’ ও ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ এই দুটি বই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর বই সমগ্র এর অন্তর্ভুক্ত। এই দুটি বই-ই প্রকাশিত হয়েছে তাঁর মৃত্যুর পর, তাঁর কন্যা শেখ হাসিনার উদ্যোগে। বঙ্গবন্ধু নিজে তেমন বই রচনা না করলেও তাঁকে নিয়ে রচিত হয়েছে অসংখ্য বই। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা বই এর মধ্যে শেখ হাসিনার লেখা ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’, পীর হাবিবুর রহমানের ‘পোয়েট অব পলিটিক্স’, ফারুক চৌধুরীর ‘স্মরণে বঙ্গবন্ধু’, এম আর আখতার মুকুলের ‘মুজিবের রক্ত লাল’, শেখ শাহাদাতের ‘বিপ্লবী নেতা শেখ মুজিব’ ইত্যাদি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা কতিপয় সেনাসদস্যের হাতে নিজ বাসভবনে সপরিবারে নিহত হন।
আমার দেখা নয়া চীন বইটি সম্পর্কে পাঠকদের মন্তব্য।
Meherabul Islam Shovon বলেছেন: “আমার দেখা নয়াচীন” জাতির পিতার লেখা ৩য় গ্রন্থ। এটি স্মৃতিনির্ভর ভ্রমণকাহিনী। গ্রন্থটি ১৯৫২ সালে “গণচীনে অনুষ্ঠিত Peace Conference এ যোগদান এবং চীনে ভ্রমণের” উপর লেখা।
গ্রন্থটি অত্যন্ত প্রাঞ্জল ভাষায় লেখা।
গ্রন্থটি পাঠ করলে সেসময়কার দেশের এবং বিশ্বের রাজনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে এবং গণচীন কিভাবে উন্নতির শিখরে উন্নিত হচ্ছে সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়।
এছাড়া, “মানিক মিয়া” সাহেবের ভোজন রসিকতা সম্পর্কেও কিছুটা ধারণা পাওয়া যায়।
এককথায়, গ্রন্থটি সুখপাঠ্য।
Pulak বলেছেন: এমন একজন লেখক, যার সম্পর্কে কমেন্ট করার যোগ্যতাও আমরা রাখি না ❤
Md Hasan al mamun বলেছেন: তিনি নিজেকে লেখক হিসাবে দাবী করেন নাই। বরং বারবার বলেছেন অনেক পরিবেশের বর্ণনা তিনি দিতে পারেন নাই কারণ তিনি লেখক নন।
কারণটা বোধ হয় এই, লেখকরা প্রকৃতিকে নিয়ে খুব ভাবেন তাই এত সময়/যত্ন নিয়ে প্রকৃতির গল্প বলেন। শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন মানুষের নেতা। তাই তিনি মানুষ নিয়ে ভাবতেন; মানুষ তাকে ভাবাবিত করতো। এই বইটা তাই চীনের গল্প নয়। গল্পটা চীনের মানুষের, তৎকালীন পাকিস্তানের মানুষের। অথবা আরো সহজভাবে বললে হয়তো বলা যায়, গল্পটা বিভিন্ন রকম মানুষের।
Md. Aminul Islam বলেছেন: আজকের চীন কেমন করে আজকের এ অবস্থানে এল সেটা জানার জন্য একটি ফিল্ড বুক এই বই। রাজনীতিবিদ হয়েও অর্থনীতিকের দৃষ্টিকোণ থেকে তিনি দেখেছেন চীনের মানুষ, সমাজ, পরিবর্তনের অদম্য স্পৃহা এবং তাদের দেশপ্রেম ও উন্নত জাতি হওয়ার জন্য ত্যাগ ও প্রাণান্ত প্রচেষ্টা। চীন সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যাবে, অনেক ভুল ধারণা ভেঙ্গে যাবে এবং নিজের দেশকে উন্নত করে গড়ে তোলার স্পৃহা পাওয়া যাবে বংগবন্ধুর চীন সফরের স্মৃতিকথাভিত্তিক এই বই পড়ে। সমসাময়িক ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে চীনের অবস্থান, বাংলাদেশ কী শিখতে পারে, পশ্চিমা অন্ধ অনুকরণ নয়, বরং নিজ দেশের সংস্কৃতি ও মানুষের বিশ্বাস, কৃষ্টিকে লালন করেও এগিয়ে যাওয়া যায়, উন্নত দেশ হওয়া যায়।
Kamruzzamn বলেছেন: চীনের উন্নয়নের কারণ বুঝতে বইটি সহায়ক !
আমার দেখা নয়া চীন বইটি pdf download করুন নিচের লিংক থেকে।
প্রিয় পাঠক আমার দেখা নয়া চীন বইটি pdf download করতে আমরা কখনোই আপনাদের উৎসাহীত করছি না। আমাদের অনুরোধ থাকবে আমার দেখা নয়া চীন বইটি আপনার নিকটস্থ লাইব্রেরী অথবা অনলাইন বইয়ের দোকান থেকে হার্ডকপি ক্রয় করুন এতে করে সম্মানিত লেখকগন তাদের লেখার প্রতি আরো উৎসাহিত হবেন।
আর হ্যা বন্ধুরা আপনারা চাইলেই বইটি এই অনলাইন শপ গুলো থেকে খুব সহজেই ক্রয় করতে পারবেন।
রকমারি: https://www.rokomari.com/book/195529/amar-dekha-noyachin