মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার যোগ্যতা ও ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টন ২০২৫ অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে। মেডিকেল (এমবিবিএস) ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ১১ই জানুয়ারী ২০২৪ থেকে শুরু হবে এবং ২৩শে জানুয়ারী ২০২৪ পর্যন্ত চলবে। প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করে। এইচএসসি পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর, বেশিরভাগ শিক্ষার্থী এমবিবিএস কোর্স এবং বিডিএস কোর্সের জন্য মেডিকেল ভর্তি বিজ্ঞপ্তির জন্য অপেক্ষা করে থাকে। আজকের এই লেখায় আমি মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার যোগ্যতা ও মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টন নিয়ে আলোচনা করবো।
একনজরে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার গুরুত্বপূর্ন তারিখ সমূহ:
আবেদনের শুরু |
আবেদনের শেষ তারিখ |
প্রবেশপত্র ডাউনলোড |
ভর্তি পরীক্ষার তারিখ | ফেব্রুয়ারি ২০২৫ |
আবেদনের লিংক | dgme.teletalk.com.bd |
এমবিবিএস মেডিকেল ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৪
এমবিবিএস মেডিকেল ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৫ প্রকাশিত হয়েছে। মেডিকেল ভর্তির অফিশিয়াল বিজ্ঞপ্তি এখানে শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে দেওয়া হলো:
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার যোগ্যতা ২০২৪
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার যোগ্যতা ২০২৪ প্রকাশ হয়েছে। আপনি যদি মেডিকেলের প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি যোগ্য কিনা ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য তা আগে যাচাই করে নিন।
- আবেদনকারীকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
- ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীকে ২০২৩ সালে এইচএসসি/’এ’ লেভেল/সমমান ও ২০২১ সালে এসএসসি/’ও’ লেভেল/সমমান অথবা ২০২২ সালে এইচএসসি/’এ’ লেভেল/সমমান ও ২০২০ সনে এসএসসি/’ও’ লেভেল/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
তবে শর্ত থাকে যে, এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় পাশের পূর্ববর্তী ০২ (দুই) বছরের মধ্যে এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় পাশ হতে হবে।
- এসএসসি/ ‘ও’লেভেল/সমমান পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ এবং এইচএসসি/ ‘এ’ লেভেল/সমমান পরীক্ষায় জীববিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নসহ উত্তীর্ণ ছাত্র/ছাত্রীরা আবেদনের যোগ্য বিবেচিত হবেন।
- এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমান দুটি পরীক্ষায় মোট জিপিএ কমপক্ষে ৯.০০ হতে হবে।
- উপজাতীয় ও পার্বত্য জেলার অ-উপজাতীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় মোট জিপিএ কমপক্ষে ৮.০০ হতে হবে। তবে এককভাবে কোনো পরীক্ষায় জিপিএ ৩.৫০ এর কম হলে আবেদনের যোগ্য বলে বিবেচিত হবে না।
- সকলের জন্যে এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় জীববিজ্ঞানে (Biology) ন্যূনতম গ্রেড পয়েন্ট ৪.০ না থাকলে আবেদন বাতিল বলে গণ্য হবে।
সরকারী মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার যোগ্যতা ২০২৪
সরকারী মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার যোগ্যতা ২০২৪ এর ক্ষেত্রে সবখানেই একই যোগ্যতা। অর্থাৎ মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ক্ষেত্রে যে যোগ্যতা চাওয়া হয় সরকারী মেডিকেল কলেজের একই যোগ্যতা চাওয়া হয়।
বাংলাদেশে মোট৩৭টি সরকারী মেডিকেল কলেজ রয়েছে।
- ঢাকা বিভাগে রয়েছে দশ ১০ টি
- চট্টগ্রাম বিভাগের ছয় ৬ টি
- রাজশাহী বিভাগে পাঁচ ৫ টি
- খুলনা বিভাগে পাঁচ ৫ টি
- রংপুর বিভাগে তিন ৩ টি
- সিলেট বিভাগে তিন ৩ টি
- ময়মনসিং বিভাগে তিন ৩ টি
- বরিশাল বিভাগে দুই ২ টি মেডিকেল কলেজ অবস্থিত।
ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার যোগ্যতা
ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার জন্য আলাদা কোন যোগ্যতা প্রকাশ করা হয়নি অর্থাৎ মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার যোগ্যতা এখানে ফলো করা হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তির জন্য মোট আসন সংখ্যা ২৩০ টি। সাধারন আসন সংখ্যা ২২৬ টি এবং মুক্তিযোদ্ধার কোটা বরাদ্দ রয়েছে চার ৪ টি। সব মিলিয়ে মোট ২৩0 টি আসন। ঢাকা মেডিকেল কলেজে এম বি বি এস এ আন্ডার গ্রাজুয়েট এবং পোস্ট গ্যাজুয়েট পাঠক্রম চালু রয়েছে। বর্তমানে আন্ডার গ্র্যাজুয়েট কার্যক্রম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং পোস্ট গ্যাজুয়েট কার্যক্রম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত।
ঢাকা মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থীদের মোট ১১টি বিষয়ে পড়ানো হয়:
- অ্যানাটমি
- ফিজিওলজি
- বায়োকেমিস্ট্রি
- ফরেনসিক মেডিসিন এবং টক্সিকোলজি
- কমিউনিটি মেডিসিন
- প্যাথলজি এবং হেমাটোলজি
- ফার্মাকোলজি এবং থেরাপিউ টিকস
- মাইক্রোবায়োলজি এবং ইমিউনোলজি
- গাইনি ও প্রসূতিবিদ্যা
- সার্জারি
- ঔষধ
প্রাইভেট মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার যোগ্যতা
প্রাইভেট মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার যোগ্যতা নিয়ে আলাদা করে কিছু বলার নেই কারন প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ গুলো সেইমভাবে ভর্তি পরীক্ষার যোগ্যতা দেখে থাকে। বাংলাদেশে মোট ৭৫টি প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ রয়েছে।
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টন
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টন নিচে দেওয়া হলো। মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং পাস মার্ক ৪০ থাকবে।
বিষয় | নম্বর |
জীববিজ্ঞান | ৩০ |
রসায়ন | ২৫ |
পদার্থ | ২০ |
ইংরেজি | ১৫ |
বাংলাদেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ | ১০ |
মোট নম্বর | ১০০ |
- লিখিত পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তর প্রদানের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা হবে।
- লিখিত পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের কম নম্বর প্রাপ্তরা অকৃতকার্য বলে গণ্য হবেন। ভর্তিযোগ্য পরীক্ষার্থীদের মেধা তালিকাসহ ফল প্রকাশ করা হবে।
- এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ মোট ২০০ নম্বর হিসেবে নির্ধারণ করে নিম্নলিখিতভাবে মূল্যায়ন করা হবে।
ক) এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ এর ১৫ গুণ = ৭৫ নম্বর (সর্বোচ্চ)
খ) এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ এর ২৫ গুণ = ১২৫ নম্বর (সর্বোচ্চ)
- পূর্ববর্তী বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের সর্বমোট (Aggregated) নম্বর থেকে ০৫ (পাঁচ) নম্বর বাদ দিয়ে এবং পূর্ববর্তী বছরের সরকারি মেডিকেল কলেজ বা ডেন্টাল কলেজ/ইউনিট এ ভর্তিকৃত ছাত্র/ছাত্রীদের ক্ষেত্রে মোট প্রাপ্ত নম্বর থেকে ১০ (দশ) নম্বর বাদ দিয়ে মেধা তালিকা তৈরি করা হবে।
- অনলাইনে আবেদন পুরণ করার সময় নির্দেশাবলি dgme.gov.bd ও www.dghs.gov.bd ভালোভাবে পড়ে বুঝে নির্দেশনা অনুযায়ী সতর্কতার সাথে পূরণ করতে হবে। পরীক্ষা ফি ১০০০/- (এক হাজার) টাকা শুধু প্রি-পেইড টেলিটকের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।
আরো পড়ুনঃ মেডিকেল কলেজ ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৪-২৫
প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার যোগ্যতা ও মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টন নিয়ে কোন ধরনের জিজ্ঞাসা থাকলে অবশ্য কমেন্টে জানাতে ভুলবে না।