বাংলা ভাষার ইতিহাস ও ব্যবহারিক বাংলা সাজেশন অনার্স ১ম বর্ষ

বাংলা ভাষার ইতিহাস ও ব্যবহারিক বাংলা সাজেশন অনার্স ১ম বর্ষ Honours 1st Year Bangla Language History and Practical Bangla Suggestion নিয়ে হাজির হলাম বন্ধুরা। তোমরা যারা অনার্স ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী তাদের জন্য বাংলা ভাষার ইতিহাস ও ব্যবহারিক বাংলা সাজেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই পোস্টে দেওয়া হয়েছে ক-বিভাগ, খ-বিভাগ ও গ-বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নাবলী, সাজেশন ও প্রস্তুতির টিপস।

এক নজরে বিষয়  বিষয় কোডঃ

  • অনার্স ১ বর্ষ বাংলা সাজেশন
  • বিষয়ঃ বাংলা ভাষার ইতিহাস ও ব্যবহারিক বাংলা
  • বিষয় কোডঃ ২১১০০৩

বাংলা ভাষার ইতিহাস ও ব্যবহারিক বাংলা সাজেশন ক বিভাগ (অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন)

০১। ভাষার ক্ষুদ্রতম উপাদান কী?

উত্তরঃ ভাষার ক্ষুদ্রতম উপাদান বা মূল একক ধ্বনি

০২। কেন্তুম শাখা কয় ভাগে বিভ

উত্তরঃ কেন্তুম শাখা পাঁচ ভাগে বিভক্ত।

০৩। ‘শতম’ কাকে বলে?

উত্তরঃ যেসব মূল ভাষার ‘ক’ ধ্বনি ‘শ’ ধ্বনিতে পরিবর্তিত হয়, সেগুলোকে “শতম’ বলে।

০৪। কেন্তুম কাকে বলে?

উত্তরঃ যেসব ভাষার মূল ভাষায় ‘ক’ ধ্বনি উচ্চারিত হয় তাকে কেন্তুম বলে।

০৫। সংস্কৃত ভাষা কোন স্তরের ভাষা?

উত্তরঃ সংস্কৃত ভাষা শতম স্তরের ভাষা।

০৬। বাংলা ভাষা ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষার কোন শাখা থেকে জন্মলাভ করেছে?

উত্তরঃ বাংলা ভাষা ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষার শতম শাখা থেকে জন্মলাভ করে।

০৭। ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাবংশের কোন শাখাকে আর্য শাখা বলে?

উত্তরঃ ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাবংশের ইন্দো- ভারতীয় শাখাকে আর্য শাখা বলে ।

০৮। ইন্দো-ইরানিয়ান শাখার ভাষাগোষ্ঠীর আনুমানিক উৎপত্তি কত বছর আগে?

উত্তরঃ ইন্দো-ইরানিয়ান শাখার ভাষাগোষ্ঠীর অনুমানিক উৎপত্তি ২০০০ বছর আগে।

০৯। বাংলা ভাষার উৎপত্তিবিষয়ক বিভিন্ন মত বাংলা ভাষার প্রথম ব্যাকরণ গ্রন্থ কে লেখেন?

উত্তরঃ বাংলা ভাষার প্রথম ব্যাকরণ গ্রন্থ লেখেন রেভারেন্ড জেমস্ কিথ

১০। ODBL গ্রন্থের রচয়িতা কে?

উত্তরঃ ODBL গ্রন্থের রচয়িতা হলেন ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়।

১১। ODBL এর পূর্ণরূপ লেখ।

উত্তরঃ ODBL এর পূর্ণ The Origin and Development of the Bengali Language

১২। ‘বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত’ গ্রন্থটির রচয়িতার নাম কি?

উত্তরঃ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ।

১৩। ‘তুলনামূলক ও ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান’ গ্রন্থের লেখক কে?

উত্তরঃ ‘তুলনামূলক ও ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞা গ্রন্থের লেখক ড. হুমায়ূন আজাদ।

১৪। ‘ভাষার ইতিবৃত্ত’ গ্রন্থটি কার লেখা?

উত্তরঃ ‘ভাষার ইতিবৃত্ত’ গ্রন্থটি ড. সুকুমার সেনের লেখা

১৫। কোন ভাষা বাংলা ভাষার মূল উৎস?

উত্তরঃ বৈদিক ভাষা বা আর্যভাষা বাংলা ভাষার মূল উৎস

১৬। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে বাংলা ভাষার উৎপত্তি কোন প্রাকৃত থেকে?

উত্তরঃ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে বাংলা ভাষার উৎপত্তি গৌড়ী প্রাকৃত থেকে

১৭। ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে বাংলা ভাষা কোন মাগধী অপভ্রংশের মধ্য দিয়ে উৎপন্ন?

উত্তরঃ ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে বাংলা ভাষ প্রাকৃত মাগধী থেকে অপভ্রংশের মধ্য দিয়ে উৎপন্ন ।

১৮। ‘প্রাকৃত’ ভাষা কী?

উত্তরঃ সংস্কৃত ভাষার কঠোর বিধিবিধান থেকে অনেকাংশ মুক্ত মধ্য ভারতীয় আর্যভাষার অন্যতম নিদর্শন প্রাকৃত ভাষা। খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দী থেকে এ ভাষার উদ্ভব।

১৯। অপভ্রংশ কী?

উত্তরঃ মধ্যভারতীয় অর্থের যে সর্বজনীন রূপটি অবশিষ্ট লোকসাহিত্যের বাহক হয়ে উঠেছিল তাই অপভ্রংশ। ২০। আদিতে অপভ্রংশ কোন সমাজে ব্যবহৃত হতো?

উত্তরঃ আদিতে অপভ্রংশ ভারতীয় আর্যসমাজে ব্যবহৃত হতো।

২১। গৌড় অপভ্রংশের পূর্ববর্তী ভাষাকে কী বলে?

উত্তরঃ গৌড় অপভ্রংশের পূর্ববর্তী ভাষার নাম ‘গৌড়ী

২২। পৌড় প্রাকৃতের পরবর্তী স্তর কোনটি?

উত্তরঃ গৌড় প্রাকৃতের পরবর্তী স্তর পৌড় অপভ্রংশ।

২৩। ব্যাকরণবিদ মার্কন্ডেয়ার মতে অপভ্রংশ কয়টি?

উত্তরঃ ব্যাকরণবিদ মার্কণ্ডেয়র মতে অপভ্রংশ ২৭টি ।

২৪। ‘বঙ্গীয় শব্দকোষ’ কে প্রণয়ন করেন?

উত্তরঃ সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিত এবং অধ্যাপক বন্দ্যোপাধ্যায় ‘বঙ্গীয় শব্দকোষ’ প্রণয়ন করে।

২৫। ভারতীয় আর্যভাষার প্রাচ্য শাখার অন্তর্গত ভাষাসমূহকে “মাগধী ভাষা’ বলে অভিহিত করেছেন কে?

উত্তরঃ ভারতীয় আর্যভাষার প্রাচ্য শাখার অন্তর্গত ভাষাসমূহকে ‘মাগধী ভাষা’ বলে অভিহিত করেছেন ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়।

২৬। ভারতীয় আর্য ভাষার কোন স্তরে নব্য ভারতীয় আর্য ভাষাগুলো অবস্থিত?

উত্তরঃ ভারতীয় আর্যভাষার মাগধী অপভ্রংশ এবং তৎপরবর্তী অবহরে স্তরে নৰাভারতীয় আর্য ভাষাগুলো অবস্থিত।

২৭। নব্য ভারতীয় আর্যভাষার আধুনিক পর্বের দুটি ভাষার নাম লেখ।

উত্তরঃ নব্যভারতীয় আর্যভাষার অন্তর্গত বা আধুনিক পর্বের দুটি ভাষার নাম ‘বাংলা’ ও ‘আসামী’ ভাষা।

২৮। পালি ভাষায় কারা ধর্মগ্রন্থ রচনা করেন?

উত্তরঃ পালি ভাষায় বৌদ্ধরা ধর্মগ্রন্থ রচনা করেন।

২৯। বাংলা লিপির উৎস কোন লিপি থেকে?

অথবা, কোন লিপি থেকে বাংলা লিপির উদ্ভব হয়েছে?

উত্তরঃ বাংলা লিপির উৎস ‘ব্রাহ্মীলিপি’ থেকে।

৩০। অশোকলিপি কী?

উত্তরঃ সম্রাট অশোকের শাসনামলে ব্যবহৃত ব্রাহ্মীলিপিই অশোকলিপি নামে পরিচিত।

৩১। প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষার আনুমানিক কালসীমা উল্লেখ কর।

উত্তরঃ প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষার আনুমানিক কালসীমা খ্রিস্টপূর্ব ১২০০-৫০০ অব্দ পর্যন্ত।

৩২। কোনটি প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা?

উত্তরঃ বৈদিক ভাষা প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা।

৩৩। পাণিনির ব্যাকরণ গ্রন্থের নাম কী?

উত্তরঃ পাণিনির ব্যাকরণের নাম ‘অষ্টাধ্যায়ী”।

৩৪। পাণিনি কোন ভাষার ব্যাকরণ রচনা করেন?

উত্তরঃ পাণিনি সংস্কৃত ভাষায় ব্যাকরণ রচনা করেন।

৩৫। ভাষার ইতিহাসে পাণিনি খ্যাতিমান কেন?

উত্তরঃ খ্রিস্টপূর্ব সপ্তম শতকে সংস্কৃত ভাষায় রচিত “অষ্টাধ্যায়ী ব্যাকরণ রচনার জন্য ভাষার ইতিহাসে পাণিনি খ্যাতিমান।

৩৬। পতঞ্জলি রচিত ব্যাকরণ গ্রন্থের নাম লেখ

উত্তরঃ পতঞ্জলি রচিত ব্যাকরণ গ্রন্থের নাম ’মহাভাষ্য’

৩৭। প্রাচীন বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন কোনটি?

উত্তরঃ প্রাচীন বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন চর্যাপদ।

৩৮। আর্যদের প্রাচীনতম সাহিত্য রচনার সংকলন কোনটি?

উত্তরঃ ভারতীয় আর্যভাষার প্রাচীনতম নিদর্শন পাওয়া যায় ঋগ্বেদে।

৩৯. বৈদিক ভাষা কী?

উত্তরঃ আর্যগণ তাদের ধর্মগ্রন্থ বেদ সংহিতা যে ভাষায় রচনা করেছিলেন তার ভাষাকে বৈদিক ভাষা বলে।

৪০। মধ্যভারতীয় আর্যভাষার প্রথম উপস্তরের সময়সীমা লেখ।

উত্তরঃ মধ্যভারতীয় আর্যভাষার প্রথম উপস্তরের সময়সীমা খ্রিস্টপূর্ব ৫০০ অব্দ হতে ১০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত।

৪১। মধ্যভারতীয় আর্যভাষার দ্বিতীয় উপস্তরের নাম কী?

উত্তরঃ মধ্যভারতীয় আর্যভাষার দ্বিতীয় উপন্তরের নাটকীয় প্রাকৃত।

৪২। মধ্যযুগের বাংলা কোন বিদেশি দ্বারা বেশি প্রভাবিত হয়েছে?

উত্তরঃ মধ্যযুগের বাংলা আলাউদ্দিন হুসেন শাহ দ্বারা বেশি প্রভাবিত হয়েছে।

৪৩। গৌড়ীয় প্রাকৃতের পরবর্তী স্তর কোনটি?

উত্তরঃ গৌড়ীয় প্রাকৃতের পরবর্তী স্তর গৌড় অপভ্রংশ।

৪৪। ‘দারোগা’ কোন ভাষার শব্দ?

উত্তরঃ ‘দারোগা’ ফারসি ভাষার শব্দ।

৪৫। পালিচা’ শব্দটি কোন ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় এসেছে?

উত্তরঃ ‘গালিচা’ শব্দটি ফারসি ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় এসেছে।

৪৬। ‘রেস্তোরাঁ’ শব্দটি কোন ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় এসেছে?

উত্তরঃ ‘রেস্তোরাঁ’ শব্দটি ফরাসি ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় এসেছে।

৪৭। ‘জানালা’ শব্দটি কোন ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় এসেছে?

উত্তরঃ ‘জানালা’ শব্দটি পর্তুগিজ ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় এসেছে।

৪৮। ‘উপভাষা’ কাকে বলে?

উত্তরঃ কোনো বিশেষ ভাষা সম্প্রদায়ের মধ্যে চলিত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অঞ্চলের জনগণের ভাষাকে

উপভাষা বলে।

৪৯। শ, ষ, স, স্থানে ‘হ’ উচ্চারিত হয় কোন উপভাষায়?

উত্তরঃ শ, ষ, স, স্থানে ‘হ’ উচ্চারিত হয় প্রাচ্য উপভাষায়।

৫০। মহাপ্রাণ ধ্বনি ঘ, ধ, ভ স্থানে গ, দ, ব উচ্চারিত হয় কোন উপভাষায়?

উত্তরঃ প্রাচ্য উপভাষায়।

৫১। বরেন্দ্রী উপভাষা বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে ব্যবহৃত হয়?

উত্তরঃ বরেন্দ্রী উপভাষা বাংলাদেশের উত্তর অঞ্চলে (রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া) ব্যবহৃত হয়।

৫২। পূর্ববঙ্গ ও দক্ষিণ-পূর্ববঙ্গ নিয়ে যে উপভাষা অঞ্চল তার নাম কী?

উত্তরঃ পূর্ববঙ্গ ও দক্ষিণ-পূর্ববা দিয়ে যে উপভাষা অঞ্চল তার নাম বাঙালি উপভাষা।

৫৩। মৈথিলি, মাহি, ভোজপুরিয়া এই তিনটি কোন ভাষা নামে পরিচিত?

উত্তরঃ মৈথিলি, মগহি ও ভোজপুরিয়া বিহারি ভাষা নামে পরিচিত।

৫৪। মাগধী প্রাকৃতে তিনটি উষ্মবর্ণ স্থানে কোন শ/ষ/স ব্যবহৃত হয়?

উত্তরঃ মাগধী প্রাকৃতে তিনটি উষ্মবর্ণ শ/ষ/স স্থানে শ ব্যবহৃত হয়।

৫৫। ‘হ্য’ যুক্তবর্ণটির বিশ্লিষ্ট রূপ লেখ।

উত্তরঃ ‘হা’ যুক্তবর্ণটির বিশ্লিষ্ট রূপ ‘হ্ + য’।

৫৬। ‘ষ্ণ’ যুক্তবর্ণটি কী কী বর্ণের সমন্বয়ে গঠিত?

উত্তরঃ যুক্তবর্ণটির বিশ্লিষ্ট রূপ ‘ষ্+ণ’।

৫৭। ‘সূক্ষ্ম’ শব্দের যুক্তবর্ণটিতে কোন কোন বর্ণ রয়েছে?

উত্তরঃ ‘সূক্ষ্ম’ শব্দের যুক্তবর্ণটিতে ক্ + ষ্ =ম রয়েছে।

৫৮। ‘ক্ষ্ম’ যুক্তবর্ণটির বিশ্লিষ্ট রূপ লেখ।

উত্তরঃ ‘ক্ষ্ম’ যুক্তবর্ণটির বিশ্লিষ্ট রূপ হলো = ক্ + ষ্ + ম।

৫৯। প্রমিত বাংলা বানানরীতি কী?

উত্তরঃ বাংলা বানানের জটিলতা পরিহার করে বাংলাদেশের সর্বস্তরে এক বানান রক্ষার্থে বাংলা একাডেমি প্রণীত বানানের নিয়মকে প্রমিত বাংলা বানানরীতি বলে।

৬০। বাংলা একাডেমি কত সালে প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম প্রবর্তন করে?

অথবা, প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম কখন প্রবর্তিত

অথবা, বাংলা একাডেমি কত সালে বাংলা বানানের নিয়ম প্রবর্তন করে?

উত্তরঃ ১৯৯২ সালে বাংলা একাডেমি প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম প্রর্বতন করে।

৬১। প্রাণিবাচক অতৎসম শব্দে কোন ‘ই’/ঈ’-কার বসে?

উত্তরঃ প্রাণিবাচক অতৎসম শব্দে ই-কার বসে।

৬২। বাংলা বর্ণমালায় মৌলিক স্বরধ্বনি লেখ।

উত্তরঃ বাংলা বর্ণমালায় মৌলিক স্বরধ্বনি অ, আ, অ্যা, ই, উ, এ, ও।

৬৩। উচ্চারণ রীতি অনুযায়ী ‘ঙ’ কোন ধরনের বর্ণ?

উত্তরঃ উচ্চারণ রীতি অনুযায়ী ‘ঙ’ নাসিক্য বর্ণ।

৬৪। ধ্বনি নির্দেশক প্রতীক বা চিহ্নকে কী বলা হয়?

উত্তরঃ ধ্বনি নির্দেশক প্রতীক বা চিহ্নকে বর্ণ বলা হয়।

৬৫। উচ্চারণ অনুযায়ী ‘ঞ’ কোন ধরনের বর্ণ?

উত্তরঃ উচ্চারণ অনুযায়ী ‘ঞ’ নাসিক্য বর্ণ।

৬৬। ‘অঘোষ ধ্বনি’ কী?

উত্তরঃ যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় স্বরতন্ত্রী অনুরণিত হয় না, তাকে অঘোষ ধ্বনি বলে।

৬৭। দুটি অঘোষ ধ্বনির উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ অঘোষ ধ্বনির উদাহরণ হলো- ক, খ, চ, ছ, ট, ঠ, ড, খ ইত্যাদি।

৬৮। দুটি ঘোষ ধ্বনির উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ ঘোষ ধ্বনির উদাহরণ গ, ঘ, ঙ, জ, ঝ ইতাদি।

৬৯। কোন বাংলা স্বরধ্বনি বর্ণমালায় নেই, কিন্তু স্বরধ্বনি হিসেবে ব্যবহৃত হয়?

উত্তরঃ অ্যা (এ্যা) স্বরধ্বনিটি বাংলা স্বরধ্বনির বর্ণমালায় না থাকলেও স্বরধ্বনি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

৭০। বাংলা বর্ণমালায় দ্বিঘর বা যুগ্ম স্বরধ্বনি কয়টি ও কী কী?

উত্তরঃ বাংলা বর্ণমালায় দ্বিম্বর বা যুগ্ম স্বরধ্বনি ২টি। যথাঃ ঐ, ঔ।

৭১। ‘কর্ণ’ শব্দটি কোন নিয়মে হয়েছে?

উত্তরঃ নত্ব বিধানের নিয়মানুসারে কর্ণ শব্দটি গঠিত হয়েছে। যেমন- ঋ, র, ষ এর পরে ‘ণ’ হয়। যেমনঃ কর্ণ, বর্ণ

৭২। ‘রেণু’ শব্দটিতে ‘ণ’ কেন ব্যবহৃত হয়েছে?

উত্তরঃ ণত্ব- বিধানে ঋ, র, ষ-এর পরে ‘প’ হয়। তৎসম শব্দের বানানে স্বরবর্ণ ‘এ’ থাকায় বেলু শব্দটিতে প হয়েছে।

৭৩। ‘ধরন’ শব্দে ‘ন’ হয়েছে কেন?

উত্তরঃ ‘ধরন’ তৎসম শব্দ। তাই ধরন বানানে ‘ন’ হয়েছে।

৭৪। নিপাতনে সিদ্ধ কী?

উত্তরঃ যা ব্যাকরণের নিয়মের অন্তর্ভুক্ত নয়, তাকে নিপাতনে সিদ্ধ বলে।

৭৫। ‘ক্ষুধার্ত’ শব্দটির সন্ধি বিচ্ছেদ কর।

উত্তরঃ ‘ক্ষুধার্ত’ শব্দটির সন্ধি বিচ্ছেন ’ক্ষুধা + ঋত’।

৭৬। ‘উপর্যুক্ত’ শব্দটির সন্ধি বিচ্ছেদ কর।

উত্তরঃ উপর্যুক্ত = উপরি + উক্ত।

৭৭। ‘রত্নাকর’ শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ কী?

উত্তরঃ রত্ন + আকর = রত্নাকর।

৭৮। ‘শশাঙ্ক’ শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ কর।

উত্তরঃ শশাঙ্ক = শশ + অঙ্ক।

৭৮। ‘মনীষা’ শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ লেখ।

উত্তরঃ মনস + ঈষা = মনীষা।

৭৯। চ-বর্গের পর ‘ন’ থাকলে ‘ন’ স্থলে কী হয়?

উত্তরঃ চ-বর্গের পর ‘ন’ থাকলে ‘ন’ স্থলে ঞ হয়।

৮০। “ণিজন্ত” শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?

উত্তরঃ ণিজন্ত = ণিচ্ + অন্ত

৮১। বিসর্গ সন্ধির নিয়মগুলো কোন ভাষার নিয়মে হয়ে থাকে?

উত্তরঃ বিসর্গ সন্ধির নিয়মগুলো তৎসম বা সংস্কৃত শব্দের নিয়মে হয়ে থাকে।

৮২। ‘সর্বস্বান্ত শব্দটির সন্ধি বিচ্ছেন কর।

উত্তরঃ ‘সর্বস্বান্ত’ শব্দটির সন্ধি বিচ্ছেদ হলো সর্ব + অন্ত = সর্বস্বান্ত।

৮৩। বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত বিরামচিহ্নের সংখ্যা কতটি?

উত্তরঃ বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত বিরামচিকের সংখ্যা ১৬টি।

৮৪। দুই বা ততোধিক শব্দ যুক্ত করার ক্ষেত্রে কোন বিরামচিহ্ন ব্যবহৃত হয়?

উত্তরঃ দুই বা ততোধিক শব্দ যুক্ত করার ক্ষেত্রে হাইফেন ব্যবহৃত হয়।

৮৫। বিস্ময় (!) চিহ্নের বিরতিকাল কত?

উত্তরঃ বিস্ময় (!) চিহ্নের বিরতিকাল এক সেকেন্ড

৮৬। প্রশ্নবোধক চিহ্নের বিরতিকাল কত?

উত্তরঃ প্রশ্নবোধক চিহ্নের বিরতিকাল এক সেকেন্ড

৮৭। বিরামচিহ্নের প্রথম সার্থক প্রয়োগ করেন কে?

উত্তরঃ বিরামচিহ্নের প্রথম সার্থক প্রয়োগ করেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।

৮৮। কমা (,) এর বিরতিকাল কত?

উত্তরঃ কমা (,) এর বিরতিকাল এক বলতে যে সময় লাগে ততক্ষণ।

৮৯। ‘অহোরাত্রি’ শব্দটির অপপ্রয়োগজনিত ভুলের শুদ্ধরূপ লেখ।

উত্তরঃ ‘অহোরাত্রি’ শব্দটির অপপ্রয়োগজনিত ভুলের শুদ্ধরূপ অহোরাত্র।

৯০। উৎকর্ষতা’ শব্দটির অপপ্রয়োগজনিত ভুলের শুদ্ধরূপ লেখ ।

উত্তরঃ ‘উৎকর্ষতা’ শব্দটির শুদ্ধরূপ ‘উৎকর্ষ’।

৯১। ‘অধীনস্থ’ শব্দটির অপপ্রয়োগজনিত ভুলের শুদ্ধরূপ লেখ।

উত্তরঃ অধীনস্থ শব্দের শুদ্ধরূপ অধীন।

৯২।’দৈন্যতা সবসময় ভালো নয়।’-এ বাক্যের অপপ্রয়োগজনিত ভুলের শুদ্ধরূপ লেখ।

উত্তরঃ ’দৈন্য সবসময় ভালো নয়।’

৯৩। ’ইতিপূর্বে’ শব্দটির অপপ্রয়োগজনিত ভুলের শুদ্ধৰূপ লেখ।

উত্তরঃ ‘ইতিপূর্বে’ শব্দটির অপপ্রয়োগজনিত ভুলের শুদ্ধরূপ হলো ইতঃপূর্বে।

৯৪। অপপ্রয়োগ ‘সংবাদ সম্মেলন’ এর যথার্থ রূপ কী?

উত্তরঃ অপপ্রয়োগ ‘সংবাদ সম্মেলন’ এর যথার্থ রুপ — সাংবাদিক সম্মেলন।

৯৫। ‘আবশ্যকীয় বায়ে কার্পণ্য অনুচিত+ বাক্যটির শুদ্ধ প্রয়োগ দেখাও।

উত্তরঃ “আবশ্যকীয় করে কার্পণ্য অনুচিত’- বাক্যটির শুখ প্রয়োগ হলো ‘আবশ্যক ব্যয়ে কার্পণ্য অনুচিত।

৯৬। ‘শিরশ্ছেদ’ এর শুদ্ধরূপ কোনটি?

উত্তরঃ ‘শিরচ্ছেদ’ এর শুদ্ধরূপ ‘শিরশ্ছেদ’।

৯৭। পরিভাষা কোন ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়?

উত্তরঃ মূল ভাষার প্রতিশব্দ না থাকলে পরিভাষা প্রয়োগ করা হয়। যেমন- অক্সিজেন ও ইউনিয়ন।

৯৮। ‘Aesthetics’ শব্দের বাংলা পরিভাষা কী?

উত্তরঃ ‘Aesthetics’ শব্দের বাংলা পরিভাষা নন্দনতত্ত্ব।

৯৯। ’Campus’ শব্দের পারিভাষিক অর্থ কী?

উত্তরঃ ‘Campus’ শব্দের পারিভাষিক অর্থ ‘অঙ্গন’।

১০০। ’Faculty’ শব্দটির পারিভাষিক অর্থ লেখ।

উত্তরঃ Faculty’ শব্দটির পারিভাষিক অর্থ ‘অনুষদ’।

১০১। ’IDIOM’ শব্দটির পরিভাষিক রূপ লেখ।

উত্তরঃ ‘IDIOM শব্দটির পারিভাষিক রূপ ‘ধারা’।

১০২। ‘Resolution’ শব্দের অর্থ কী?

উত্তরঃ ‘Resolution’ শব্দটির অর্থ “সিদ্ধান্ত’।

১০৩। ‘Cultured’ শব্দটির পারিভাষিক রূপ লেখ।

উত্তরঃ ‘Cultured’ শব্দটির পারিভাষিক রূপ হলো ‘সভ্য বা মার্জিত’

১০৪। বাংলা ভাষার গদ্যে চলিত রীতির প্রবর্তক কে?

উত্তরঃ বাংলা গদ্যে চলিত রীতির প্রবর্তক প্রমথ চৌধুরী।

১০৫। কোন কোন ভাষার মিশ্রণকে ‘গুরুচণ্ডালী’ দোষ বলা হয়?

অথবা, ‘গুরুচণ্ডালী’ দোষ কী?

উত্তরঃ সাধু ও চলিত ভাষার মিশ্রণকে গুরুচণ্ডালী দোষ বলে।

১০৬। বাংলা সাধুরীতির জনক কে?

উত্তরঃ বাংলা সাধুরীতির জনক হলেন সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।

১০৭। সাধুভাষা পরিভাষাটি সর্বপ্রথম কে ব্যবহার করেন?

উত্তরঃ সাধুভাষা পরিভাষাটি সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন রাজা রামমোহন রায় ।

১০৮। ‘প্রতিবর্ণীকরণ’ কী?

উত্তরঃ বিদেশি শব্দ বাংলা বানানে শুদ্ধ করে লেখা ও শুদ্ধ উচ্চারণের জন্য যেসব নিয়ম বা রীতি অনুসরণ করা হয় তাকে প্রতিবর্ণীকরণ বলা হয়।

১০৯। ‘IPA’ বলতে কী বুঝায়?

অথবা, ‘IPA’ এর পূর্ণরূপ কী?

উত্তরঃ ‘IPA’ বলতে International Phonetics Alphabet -কে বুঝায় ৷

১১০। প্রতিবেদনের একটি উদ্দেশ্য লেখ।

উত্তরঃ প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য হলো নিরপেক্ষতা বজায় রাখা।

১১১। ‘প্রতিবেদন’ শব্দের অর্থ কী?

উত্তরঃ ‘প্রতিবেদন’ শব্দের অর্থ বিবরণী।

১১২। প্রতিবেদনে সাধারণত কয়টি অংশ থাকে এবং কী কী?

উত্তরঃ প্রতিবেদনে সাধারণত তিনটি অংশ থাকে। যথা: ১. প্রারম্ভিক অংশ, ২. প্রধান অংশ ও ৩. পরিশিষ্ট ।

১১৩। কার্যবিবরণীতে কয়টি ধাপ আছে?

উত্তরঃ কার্যবিবরণীতে ২টি ধাপ আছে।

বাংলা ভাষার ইতিহাস ও ব্যবহারিক বাংলা সাজেশন খ বিভাগ (সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন)

০১। ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীর শাখাগুলোর নাম লেখ।

অথবা, ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাবংশের শাখাগুলোর নাম কী?

০২। শতম ভাষার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।

০৩। মাগধী প্রাকৃতের সাথে বাংলা ভাষার সম্পর্ক বিচার কর।

০৪। মাগধী প্রাকৃতের বিবর্তন লিপিবন্ধ করা।

০৫। অপ্রভংশ কী? গৌড় অপভ্রংশের ভাষাতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যসমূহ লেখ।

অথবা, গৌড় অপভ্রংশের ভাষাতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যগুলো লেখ।

০৬। প্রাকৃত কী? প্রাকৃত ভাষাগুলোর সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।

অথবা, প্রাকৃত ভাষাগুলোর নাম লেখ।

০৭। প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষার সংক্ষিপ্ত পরিচর দাও।

০৮। প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষার চারটি ভাষাতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য উদাহরণসহ লেখ।

০৯। মধ্যভারতীয় আর্যভাষার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।

১০। প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষার স্বরধ্বনিগুলো আধুনিক বাংলায় বিবর্তনের চারটি সূত্র লেখ।

১১। মধ্য ভারতীয় আর্যভাষার প্রথম স্তরের বৈশিষ্ট্যসমূহ লেখ।

১২। নব্য ভারতীয় আর্যভাষার প্রাচ্য শাখার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।

১৩। নব্য ভারতীয় আর্যভাষা কাকে বলে? .. ২০১২) উত্তর সংকেত Clur বেচ

১৪। নব্য ভারতীয় আর্যভাষার লক্ষণগুলো সংক্ষেপে আলোচন কর।

অথবা, নব্য ভারতীয় আর্যভাষার ভাষাতাত্ত্বিক লক্ষণসমূহ উল্লেখ কর।

১৫। প্রাচীন বাংলা ভাষার চারটি বৈশিষ্ট্য উদাহরণসহ দেখ ।

১৬। অন্ত্য-মধ্য বাংলা ভাষার পরিচায় তুলে ধর।

১৭। আদি-মধ্য বাংলা ভাষা এবং অন্ত্য-মধ্য বাংলা ভাষার ভাষাতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যের তুলনামূলক আলোচনা কর।

১৮। বাংলা ভাষায় অনার্য প্রভাব সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখ।

অথবা, বাংলা ভাষার অনাৰ্য প্ৰচাৰ সম্পৰ্কে সংক্ষেপে দেখ।

অথবা, বাংলা ভাষায় অনার্য প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা কর।

১৯। বাংলা ভাষায় বৈদেশিক প্রভাব সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা কর।

(জা.বি. ২০২০, ২২২ উত্তর সংকেত Clar বেচারি (-) পৃ. ৮. ৩১।

২০। বাংলা ভাষায় আরবি-ফারসির প্রভাব সংক্ষেপে আলোচনা কর।

২১। উপভাষা কী? আধুনিক বাংলা উপভাষাগুলোর সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।

২২। উপভাষা বা উপাভাষার প্রাচ্য শাখার রূপতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যগুলো লেখ।

২৩। উপভাষা কী? বরেন্দ্রী উপভায়ার চারটি ভাষাতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য লেখ।

অথবা, বরেন্দ্রী উপভাগ সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা কর।

২৪। উপভাষা কী? উপভাষার তিনটি ভাষাতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য দাও।

২৫। ‘বাঙালি’ উপভাষার চারটি বৈশিষ্ট্য লেখ।

২৬। যুক্তাক্ষর কী? যুক্তাক্ষরের গুরুত্ব আলোচনা কর।

২৭। যুক্তাক্ষর গঠনের নিয়মগুলো উদাহরণসহ লেখ।

অথবা, যুক্তাক্ষর কীভাবে গঠিত হয়? আলোচনা কর।

২৮। প্রমিত বাংলা উচ্চারণের প্রয়োজনীয়তা কী?

২৯। বিদেশি শব্দে প্রমিত বাংলা বানানের চারটি নিয়ম আলোচনা কর।

৩০। উদাহরণসহ প্রমিত বাংলা বানানের চারটি নিয়ম লেখ

৩১। ‘কি’ এবং ‘কী’ এর পার্থক্য উদাহরণসহ লেখ।

৩২। ণত্ববিধানের চারটি সূত্র উদাহরণসহ লেখ।

অথবা, ণত্ববিধান কী? ণত্ববিধানের চারটি নিয়ম লেখ।

৩৩। ষত্নবিধানের চারটি নিয়ম উদাহরণসহ লেখ।

অথবা, যত্ত্ববিধান কী? যত্ত্ববিধানের তিনটি সূত্র উদাহরণসহ লেখ।

৩৪। ভাষা ব্যবহারে সন্ধির প্রয়োজনীয়তা সংক্ষেপে উল্লেখ কর।..্দিরবিধানেরা

অথবা, বাংলা ভাষায় সন্ধির প্রয়োজনীয়তা সংক্ষেপে উল্লেখ কর।

৩৫। স্বরসন্ধি গঠনের চারটি নিয়ম উদাহরণসহ লেখ।

অথবা, স্বরসন্ধির চারটি নিয়ম উদাহরণসহ লেখ।

৩৬। ব্যঞ্জনসন্ধি গঠনের চারটি সূত্র উদাহরণসহ লেখ।

৩৭। যেকোনো চারটি শব্দের শুদ্ধরূপ লেখঃ শ্রদ্ধাঞ্জলী, অধীনস্থ, মনযোগ, ষ্টেশন, উপরোক্ত, দৈন্যতা।

৩৮। বিসর্গসন্ধির ফলে গঠিত যুক্তব্যঞ্জনের চারটি নিয়ম উদাহরণসহ লেখ।

৩৯। ‘কমা’ ব্যবহারের নিয়মগুলো উদাহরণসহ লিখ।

৪০। সেমিকোলন ব্যবহারের ক্ষেত্রগুলো উল্লেখ কর।

৪১। সেমিকোলন (;) ও ড্যাশ (-) ব্যবহারের নিয়মগুলে লেখ।

৪২। ‘হাইফেন’ ও ’ ড্যাশ’ ব্যবহারের নিয়ম উদাহরণসহ লেখ।

৪৩। উদাহরণসহ কোলনের ব্যবহারগুলো আলোচনা কর।

৪৪। যেকোনো চারটি শব্দের শুদ্ধরূপ লেখঃ বহিঃষ্কার, কুপমন্ডুক, ফটোস্ট্যট, জেষ্ঠা, সৌজন্যতা, উশৃংখল। ৪৫। নিচের শব্দগুলোর শুদ্ধরূপ লেখ (যেকোনো চারটি):

সুস্বাগত, মাধুর্যতা, অহরাত্রি, নিরহংকারী, এতদ্বারা, ঐক্যতান।

৪৬। নিচের শব্দগুলোর শুদ্ধরূপ লেখ (যেকোনো চারটি):

অদ্যপি, সদ্যজাত, মহিমাময়, সুষ্ঠ, ইতিপূর্ব, প্রতিদ্বন্দ্বি

৪৭। যেকোনো চারটি শব্দের শুদ্ধরূপ লেখ: বৈচিত্র, দুরাবস্থা, ইতিপূর্বে, অধীনস্থ, উপরোক্ত, অর্ধাঙ্গিনী।

৪৮। ‘ও’, ‘এবং’ এ দুটো সংযোজক অব্যয়ের পার্থক্য ও ব্যবহার উদাহরণসহ লেখ।

৪৯। সাধু ও চলিত রীতির পার্থক্য লেখ।

৫০। গুরুচণ্ডালী দোষ বলতে কী বুঝায়? এ ধরনের রীতি দূষণীয় কেন?

৫১। বিদেশি ভাষা থেকে বাংলায় প্রতিবর্ণীকরণের চারটি নিয়ম উদাহরণসহ লিপিবদ্ধ কর।

অথবা, বিদেশি শব্দের বর্ণ থেকে বাংলা শব্দের বর্ণের প্রতিবর্ণীকরণের চারটি নিয়ম লেখ।

অথবা, বিদেশি বর্ণ থেকে বাংলায় প্রতিবর্ণীকরণের চারটি নিয়ম লেখ।

বাংলা ভাষার ইতিহাস ও ব্যবহারিক বাংলা সাজেশন গ বিভাগ (রচনামূলক প্রশ্ন)

০১। ইন্দো-ইউরোপীয় মূলভাষা থেকে আধুনিক বাংলা পর্যন্ত ভাষা বিবর্তনের ক্রমধারা আলোচনা কর।

অথবা, ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীতে বাংলার অবস্থান নির্ণয় কর।

০২। কালসীমা উল্লেখপূর্বক প্রাচীন বাংলার ভাষাতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যসমূহ নির্দেশ কর।

অথবা, প্রাচীন বাংলা ভাষার সাহিত্যিক নিদর্শন উল্লেখপূর্বক এর ভাষাতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য নিরূপণ কর।

০৩। নব্য ভারতীয় আর্যভাষাসমূহের প্রাচ্য শাখা সম্পর্কে আলোচনা কর।

০৪। বাংলা ভাষার উদ্ভব সম্পর্কে পণ্ডিতদের মতামত বিশ্লেষণ কর।

অথবা, বাংলা ভাষার উদ্ভব সম্পর্কে পণ্ডিতদের অভিমত বর্ণনা কর।

অথবা, বাংলা ভাষার উদ্ভব সম্পর্কে পণ্ডিতদের অভিমত বিচার করে তোমার মতের সপক্ষে যুক্তি দেখাও।

০৫। নব্যভারতীয় আর্যভাষাসমূহের প্রাম ভাষাগুলোর পরিচয় ও সাধারণ বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা কর।

অথবা, নব্যভারতীয় আর্যভাষাসমূহের প্রাচ্য শাখার অন্তর্ভুক্ত ভাষাগুলোর সাধারণ লক্ষণ কর।

০৬। প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষার ধ্বনিতাত্ত্বিক ও ৰূপতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর।

০৭। মধ্যভারতীয় আর্যভাষার ভাষাতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য বর্ণনা কর।

অথবা, মধ্যভারতীয় আর্যভাষা ও এর স্থিতিকাল উল্লেখ করে এই স্তরের ভাষায় ভাষাতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যগুলো বর্ণনা কর।

০৮। মধ্য বাংলার ভাষাতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য লেখ।

অথবা, আদি ও অন্ত্য-মধ্য বাংলার ভাষাতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য লেখ।

০৯। প্রাচীন বাংলা থেকে আধুনিক বাংলা পর্যন্ত বিভিন্ন স্তর আলোচনা কর।

১০। প্রাচীন বাংলা ভাষার সাহিত্যিক নিদর্শন উল্লেখপূর্বক এর ভাষাতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য নিরূপণ কর।

১১। “বাংলা ভাষায় বৈদেশিক প্রভাবঃ অতীত ও বর্তমান শীর্ষক একটি নীতিদীর্ঘ প্রবন্ধ লেখ।

অথবা, বাংলা ভাষায় বৈদেশিক বিস্তারিত আলোচনা করা।

১২। বাংলা ভাষায় অনার্য ভাষার প্রভাব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা কর।

১৩। বাংলা ভাষায় আর্যভাষার প্রভাব বিষয়ে একটি নীতিদীর্ঘ নিবন্ধ তৈরি কর।

১৪। বাংলা উপভাষাসমূহের শ্রেণিবিভাগ কর এবং প্রত্যেক উপভাষার প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো চিহ্নিত কর।

অথবা, উপভাষা বলতে কী বুঝ? বাংলা উপভাষাসমূহের শ্রেণিবিন্যাস কর এবং প্রতিটি উপভাষার প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো উল্লেখ কর।

অথবা, বাংলা উপভাষাসমূহের পরিচয় দাও

১৫। যুক্তাক্ষর গঠনের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ কর এবং ম-ফলা, ব-ফলা ও য-ফলার ব্যবহার ও উচ্চারণ লেখ।

১৬। বাংলা বানান সংস্কারের উদ্যোগসমূহ বর্ণনা কর।

অথবা, বাংলা বানান সংস্কারের উদ্যোগসমূহ ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা কর ।

১৭। প্রমিত বাংলা বানান কী? প্রমিত বাংলা বানানের দশটি নিয়ম উদাহরণসহ আলোচনা কর।

অথবা, প্রমিত বাংলা বানানের দশটি নিয়ম উদাহরণসহ লেখ।

১৮। উচ্চারণস্থান অনুযায়ী বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণসমূহের অবস্থান ও বিভাজন আলোচনা কর।

১৯। ই-কার ব্যবহারের দশটি নিয়াম দেখ।

২০। ণত্ববিধান বলতে কী বুঝ? ণত্ববিধানের নিয়ম বা সূত্রগুলো উল্লেখ কর।

২১। স্বরসন্ধি গঠনের দশটি নিয়ম উদাহরণসহ লেখ।

২২। বিরামচিহ্ন ব্যবহারে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান আলোচনা কর।

২৩। বাংলা ভাষায় প্রচলিত বিরাম চিহ্নসমূহের পরিচয় ও ব্যবহারবিধি লেখ।

অথবা, বাংলা ভাষায় বিরামচিহ্নের ব্যবহার ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা কর।

২৪। বাংলা ভাষার প্রয়োগ ও অপপ্রয়োগ সম্বন্ধে একটি নাতিদীর্ঘ প্রবন্ধ রচনা কর।

২৫। পরিভাষা কী? বাংলা পারিভাষিক শব্দের প্রয়োগে অনুসরণীয় রীতিসমূহ নির্দেশ কর।

২৬। সাধু ও চলিত ভাষারীতির পার্থক্য উদাহরণসহ লিপিবদ্ধ কর।

অথবা, সাধু ও চলিত রীতির বৈশিষ্ট্যের আলোকে পার্থক্য দেখাও।

২৭। আন্তর্জাতিক ধ্বনিমূলক বর্ণমালা বলতে কী বুঝ? এর প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে বাংলা বর্ণমালাকে অন্তর্জাতিক ধ্বনিমূলক বর্ণমালায় রূপান্তর কর।

অথবা, আন্তর্জাতিক ধ্বনিমূলক বর্ণমালা বলতে কী বুঝ? বাংলা বর্ণমালাকে আন্তর্জাতিক ধ্বনিমূলক বর্ণমালায় রূপান্তর কর।

প্রতিবেদন রচনা

২৮. তোমার কলেজে সম্প্রতি উদ্‌যাপিত ‘নজরুলজয়ন্তী’ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন রচনা কর।

২৯. ‘খাদ্যদ্রব্যে ভেজালের কারণ ও প্রতিকার’ সম্পর্কিত সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য একটি প্রতিবেদন রচনা কর।

অথবা, ‘খাদ্যদ্রব্যে ভেজালের কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য রচনা কর।

৩০. দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনের পূর্বশর্ত সামাজিক সচেতনতা এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন রচনা কর।

৩১. নিত্যপ্রয়োজনীয় মব্যের মূল্য বৃদ্ধি সম্পর্কে পত্রিকায় প্রকাশের জন্য একটা প্রতিবেদন লেখ।

৩২. তোমার কলেজে অনুষ্ঠিত ‘সাহিত্য ও সংস্কৃতি সপ্তাহ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন রচনা কর।

৩৩. তোমার কলেজে বাংলা বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত “বর্ষবরণ ১৪২৬’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন রচনা কর।

৩৪. ‘দুর্নীতি ও তার প্রতিকার’ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন রচনা কর।

৩৫. তোমার দেখা একটি বইমেল সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন তৈরী কর।

৩৬। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ‘সহকারী ব্যবস্থাপক’ পদে নিয়োগ লাভের জন্যে উক্ত পদের উপযোগী | একটি জীবনবৃত্তান্ত প্রস্তুত কর।

৩৭. একটি স্কুলের সহকারী শিক্ষকের শূন্য পদে চাকরির জন্য নিজের জীবনবৃত্তান্ত জানিয়ে প্রধান শিক্ষকের নিকট একটি দরখাস্ত লেখ।

অথবা, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ‘সহকারী শিক্ষক’ পদে নিয়োগলাভের জন্য একটি আবেদনপত্র লেখ।

জীবনবৃত্তান্ত লিখন

৩৮। শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা উল্লেখসহ চাকরির নিমিত্ত একটি জীবনবৃত্তান্ত তৈরি কর।

অথবা, কোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে/শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার/ হিসাবরক্ষক/ অফিস সহকারী/ কম্পিউটার প্রোগ্রামার/ ব্যবস্থাপক পদের জন্য তোমার জীবনবৃত্তান্তের বিবরণ দিয়ে একটি দরখাস্ত লেখ।

সারসংক্ষেপ

৩৯। সারসংক্ষেপ কী? কোন কোন কারণে সারসংক্ষেপ নিম্নমানের হয়?

৪০। দৃষ্টান্তসহ সারসংক্ষেপ, সারাংশ এবং সারমর্মের রূপগত পরিচয় উপস্থাপন কর।

অথবা, দৃষ্টান্তসহ সারসংক্ষেপ, সারাংশ এবং সারমর্মের রূপগত পরিচয় নির্দেশ কর।

৪১। তোমার কলেজের অধ্যক্ষ কলেজের অধ্যক্ষ মহোদয়ের নিকট উপস্থাপনের জন্য কলেজ ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি হিসেবে বাৎসরিক কার্যক্রমের প্রস্তাবসংবলিত একটি সারসংক্ষেপ তৈরি কর।

কার্যবিবরণী লিখন

৪২। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মজয়ন্তী উদ্‌যাপনের জন্য প্রস্তুতিমূলক সভার কার্যবিবরণী

লেখ।

৪৩। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্‌যাপনের জন্য প্রস্তুতিমূলক সভার কার্যবিবরণী লেখ।

৪৪। তোমার কলেজে ১ বৈশাখ বাংলা নববর্ষ উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত সভার কার্যবিবরণী লেখ।

৪৫। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপনের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত সভার কার্যবিবরণী প্রস্তুত কর।

৪৬। কলেজ পরিচালনা পর্ষদের ত্রৈমাসিক সভার কার্যবিবরণী উপস্থাপন কর।

৪৭। তোমার কলেজের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে গৃহীত কার্যবিবরণীর বর্ণনা দাও।

পরীক্ষার প্রস্তুতির কার্যকর টিপস

  • সময় ব্যবস্থাপনা: প্রতিটি প্রশ্নের জন্য সময় ভাগ করে উত্তর অনুশীলন করুন।
  • সাল ও তারিখ মুখস্থ রাখুন: গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাসমূহের সাল ও প্রাসঙ্গিক তথ্য মনে রাখুন।
  • অধ্যায়ের মূল ধারণা পরিষ্কার রাখুন: শুধু মুখস্থ নয়, বুঝে পড়ুন।
  • বাংলা বানান শুদ্ধ রাখুন: উত্তরপত্রে ভুল বানান নম্বর কেটে নিতে পারে।
  • বিগত বছরের প্রশ্ন দেখুন: পরীক্ষার প্রশ্ন ধরন সম্পর্কে বাস্তব ধারণা পাবেন।
  • সংক্ষিপ্ত ও রচনামূলক প্রশ্ন আলাদা ভাবে প্রস্তুত করুন: দুই ধরনের প্রশ্নের জন্য ভিন্নভাবে প্রস্তুতি নিন, যেমন সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের জন্য পয়েন্ট আকারে এবং রচনামূলক প্রশ্নের জন্য বিস্তারিতভাবে অনুশীলন।

উপসংহার

বাংলা ভাষার ইতিহাস ও ব্যবহারিক বাংলা অনার্স ১ম বর্ষ সাজেশন (বিষয় কোড: ২১১০০৩) পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য একটি পরিপূর্ণ গাইড হিসেবে কাজ করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। প্রতিটি প্রশ্ন ভালোভাবে অনুশীলন করলে পরীক্ষায় ভালো ফল করা সম্ভব। শিক্ষার্থী বন্ধুরা অনার্স ১ম বর্ষ বাংলা সাজেশন বাংলা ভাষার ইতিহাস ও ব্যবহারিক বাংলা নিয়ে কোন ধরনের প্রশ্ন বা জিজ্ঞাসা থাকলে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবে না।

Leave a Comment