বুয়েটে ভর্তির যোগ্যতা ও বুয়েট ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টন ২০২৪-২৫ বুয়েট কর্তৃপক্ষ তাদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে। যেসকল শিক্ষার্থীরা বুয়েটে আবেদন করতে চান তারা ২৫শে জানুয়ারী ২০২৪ (বৃহস্পতিবার, সকাল ১০.০০ টা ) থেকে ০৫ই ফেব্রুয়ারী ২০২৪ (সোমবার, বিকাল ৩.০০ টা ) পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।
এবার বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা মূলত দুটি ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা ও মূল ভর্তি পরীক্ষা।
প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা ২৪শে ফেব্রুয়ারী ২০২৪ এ দুটি শিফটে অনুষ্ঠিত হবে এবং মূল ভর্তি পরীক্ষা ০৯ই মার্চ ২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে।
বুয়েট ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৪-২৫
বুয়েট ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৪-২৫ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ১৩ই জানুয়ারী ২০২৪ এ তাদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা বুয়েটে আবেদনের পূর্বে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তির গুরুত্বপূর্ণ তারিখ সময়সমূহ দেখে নিবেন।
একনজরে গুরুত্বপূর্ণ তারিখসমূহ:
- ২৫শে জানুয়ারী ২০২৪ সকাল ১০.০০ ঘটিকায় অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণ এবং জমা দেওয়া শুরু হবে।
- ০৫ই ফেব্রয়ারী ২০২৪ বিকাল ৩.০০ ঘটিকায় অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণ এবং জমা দেওয়ার শেষ সময়।
- ০৬ই ফেব্রয়ারী ২০২৪ বিকাল ৩.০০ ঘটিকায় আবেদনের চার্জ পরিশোধের শেষ তারিখ।
- ১৩ই ফেব্রয়ারী ২০২৪ প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহনের জন্য আবেদনকারীদের নামের তালিকা প্রকাশ হবে।
- ২৪শে ফেব্রয়ারী ২০২৪ প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা।
- ২৯শে ফেব্রয়ারী ২০২৪ মূলভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহনের জন্য যোগ্য আবেদনকারীদের নামের তালিকা প্রকাশ।
- ০৯ই মার্চ ২০২৪ মূল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
- ৩১শে মার্চ ২০২৪ ভর্তি পরীক্ষা উত্তীর্ণদের তালিকা এবং অপেক্ষামানদের তালিকা ঘোষণা করা হবে।
- আবেদনের লিংক: buet.ac.bd
বুয়েট ভর্তি যোগ্যতা ২০২৪-২৫
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি যোগ্যতা ২০২৪-২৫ বুয়েট ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ করেছে। নিচে ইউনিট ভিত্তিক বুয়েট ভর্তি যোগ্যতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
প্রার্থীকে বাংলাদেশের যেকোনো মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড /মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড/কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে গ্রেড পদ্ধতিতে বিজ্ঞান বিভাগে (গণিত, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নসহ) ৫.০০ এর স্কেলে ন্যূনতম জিপিএ ৪.০০ পেয়ে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট/দাখিল/সমমানের পরীক্ষায় পাশ করতে হবে।
অথবা বিদেশী শিক্ষা বোর্ড থেকে সমমানের পরীক্ষায় কমপক্ষে সমতুল্য গ্রেড পেয়ে পাশ করতে হবে।
প্রার্থীকে বাংলাদেশের যেকোনো মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড / মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড / কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে উচ্চ মাধ্যমিক/ আলীম/ সমমানের পরীক্ষায় গ্রেড পদ্ধতিতে ৫.০০ এর স্কেলে জিপিএ ৫.০০ এবং উচ্চতর গণিত, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন বিষয়সমূহের প্রতিটিতে ন্যূনতম জিপি ৫.০০ পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক / আলীম/ সমমানের পরীক্ষায় পাশ করতে হবে
অথবা বিদেশী শিক্ষা বোর্ড থেকে সমমানের পরীক্ষায় কমপক্ষে সমতুল্য গ্রেড/ নম্বর পেয়ে পাশ করতে হবে।
যে সব প্রার্থী ২০২০ সালে মাধ্যমিক বা তার সমমানের পরীক্ষায় এবং ২০২২ সালে উচ্চ মাধ্যমিক বা তার সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন কিন্তু উচ্চ মাধ্যমিক বা তার সমমানের পরীক্ষায় তাদের সংশোধিত ফলাফল ১২ মার্চ, ২০২৩ তারিখের পরে শিক্ষা বোর্ড থেকে ফলাফল প্রাপ্ত হয়েছেন, সেক্ষেত্রে তাদেরকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড / মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড / কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে উচ্চ মাধ্যমিক/ আলীম/ সমমানের পরীক্ষায় গ্রেড পদ্ধতিতে ৫.০০ এর ছেলে জিপিএ ৫.০০ এবং উচ্চতর গণিত, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন বিষয়সমূহের প্রতিটিতে নূন্যতম জিপি ৫.০০ পেয়ে উচ্চমাধ্যমিক / আলীম/ সমমানের পরীক্ষায় পাশ করতে হবে অথবা বিদেশী শিক্ষা বোর্ড থেকে সমমানের পরীক্ষায় কমপক্ষে সমতুল্য গ্রেড / নম্বর পেয়ে পাশ করতে হবে।
সকল সঠিক আবেদনকারীর মধ্য হতে বাছাই করে ১ম থেকে ১৮০০০ তম পর্যন্ত সকল আবেদনকারীকে প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেয়া হবে।
এই বাছাইয়ের জন্য যথাক্রমে আবেদনকারীর উচ্চ মাধ্যমিক / সমমান পরীক্ষায় উচ্চতর গণিত, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন বিষয় তিনটিতে প্রাপ্ত মোট নম্বর এবং উচ্চতর গণিত ও পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বরকে অগ্রাধিকারের ক্রম হিসাবে বিবেচনা করা হবে।
GCE “O” লেভেল এবং GCE “A” লেভেল পাশ করা প্রার্থীদের প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য GCE “O” লেভেল পরীক্ষায় কমপক্ষে পাঁচটি বিষয় (গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন এবং ইংরেজিসহ) এর প্রতিটিতে ন্যূনতম B গ্রেড এবং GCE “A” লেভেল পরীক্ষায় গণিত, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন এই তিন বিষয়ের যেকোনো দুইটিতে ন্যূনতম A গ্রেড এবং একটিতে ন্যূনতম B গ্রেড পেয়ে পাশ করতে হবে।
ন্যূনতম যোগ্যতা পূরণ সাপেক্ষে GCE “O” লেভেল এবং GCE “A” লেভেল পরীক্ষার ফলাফল প্রাপ্ত সকল সঠিক আবেদনকারীর মধ্য হতে উপরে উল্লেখিত নির্ধারিত গ্রেডের ভিত্তিতে বাছাই করে ১ম থেকে ৪০০ তম পর্যন্ত সকল আবেদনকারীকে প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেয়া হবে।
এই বাছাইয়ের জন্য যথাক্রমে আবেদনকারীর GCE “A” লেভেল পরীক্ষায় গণিত ও পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে প্রাপ্ত গ্রেডকে অগ্রাধিকারের ক্রম হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
ন্যূনতম যোগ্যতা পূরণ সাপেক্ষে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীভুক্ত সকল সঠিক আবেদনকারীকে প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হবে।
উপরোল্লেখিত শর্তাবলী পূরণ সাপেক্ষে প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য প্রার্থীদের দুইটি শিফটে বিভক্ত করে প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা নেয়া হবে।
পরিসংখ্যান ভিত্তিক পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতিটি শিফটে প্রার্থীদের মেধার বিন্যাসের সমতুল্যতা নিশ্চিত করা হবে।
প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য বিবেচিত আবেদনকারীদের তালিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (buet.ac.bd) প্রকাশ করা হবে।
প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষার ফলাফলের মেধাক্রম অনুসারে প্রতি শিফটের ১ম থেকে ৩০০০ তম শিক্ষার্থীকে মূল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচিত করা হবে। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীভুক্ত ন্যূনতম ১২ জন পরীক্ষার্থী (পর্যাপ্ত আবেদন গ্রহণ সাপেক্ষে) মূল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে।
মূল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য বিবেচিত আবেদনকারীদের তালিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (buet.ac.bd) প্রকাশ করা হবে।
বুয়েট ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টন ২০২৪-২৫
বুয়েট ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টন মূলত দুই ভাবে ভাগ করা হয়েছে ১) প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা ২) মূল ভর্তি পরীক্ষা।
এই লেখায় আমরা বুয়েট এর ভর্তি পরীক্ষার সকল মানবন্টন নিয়ে আলোচনা করবো যাতে শিক্ষার্থীদের বুঝতে সুবিধা হয়ে।
বুয়েট প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষার মানবন্টন
প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় “ক” ও “খ” গ্রুপের জন্য মোট ১০০ নম্বরের MCQ Type পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার বিষয় এবং বিষয়সমূহের পূর্ণমান নীচে দেয়া হলো:
গ্রুপ “ক” এবং গ্রুপ “খ” | প্রশ্নসংখ্যা | পূর্ণমান | সময় |
উচ্চতর গণিত | ৩৪ | ১০০ | ৬০ মিনিট |
পদার্থবিজ্ঞান | ৩৩ | ||
রসায়ন | ৩৩ |
পরীক্ষার্থীদের যা মনে রাখা অতীব জরুরী:
- প্রতিটি প্রশ্নের মান ১
- প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় নেগেটিভ মার্কিং করা হবে এবং প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য প্রাপ্ত নম্বর থেকে প্রশ্নের মানের ২৫% কেটে নেয়া হবে ।
- OMR Sheet-এ শুধুমাত্র কালো কালির বলপয়েন্ট কলমের মাধ্যমে বৃত্ত ভরাট করা যাবে। জেল পেন, ফাউন্টেন পেন অথবা পেন্সিল ব্যবহার করা যাবে না।
- পরিশিষ্ট-ক অনুসারে অনুমোদিত ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে।
- মোবাইল ফোন ও স্মার্ট ওয়াচসহ যেকোনো প্রকার ইলেক্ট্রনিক বা টেলিযোগাযোগ যন্ত্র, জ্যামিতি বক্স, পেন্সিল বক্স, স্কেল, সেট-স্কয়ার, কম্পাস ও কোন প্রকার ব্যাগ পরীক্ষা কক্ষে নিয়ে আসা যাবে না।
- উত্তরপত্রে Admission Test Roll No এবং Application Serial No. না লিখলে বা ঘষামাজা করলে উত্তরপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে।
বুয়েট মূল ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টন
মূলভর্তি পরীক্ষায় “ক” গ্রুপের জন্য মোট ৪০০ নম্বরের এবং “খ” গ্রুপের জন্য মোট ৮০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যেক গ্রুপের পরীক্ষার বিষয় এবং বিষয়সমূহের পূর্ণমান নীচে দেয়া হলো।
মডিউল “A”
গ্রুপ “ক” | প্রশ্নসংখ্যা | পূর্ণমান | সময় |
উচ্চতর গণিত | ১৪ | ৪০০ | ১২০ মিনিট |
পদার্থবিজ্ঞান | ১৩ | ||
রসায়ন | ১৩ |
গ্রুপ “খ” | প্রশ্নসংখ্যা | পূর্ণমান | সময় |
উচ্চতর গণিত | ১৪ | ৪০০ | ১২০ মিনিট |
পদার্থবিজ্ঞান | ১৩ | ||
রসায়ন | ১৩ |
মডিউল “B”
প্রশ্নসংখ্যা | পূর্ণমান | সময় | |
মুক্তহস্ত অংকন
(Free-hand Drawing) |
০৩ | ৪০০ | ৯০ মিনিট |
ধীশক্তি
(Visual-Spatial Intelligence) |
০৪ |
পরীক্ষার্থীদের যা মনে রাখা অতীব জরুরী:
- মূল ভর্তি পরীক্ষায় মডিউল A এবং মডিউল B এর প্রতিটি বিষয়ের সকল প্রশ্ন ও মূল্যায়ন প্রচলিত পদ্ধতিতে করা হবে।
- কোন বিষয়ে MCQ Type প্রশ্ন থাকবে না ।
- মডিউল A এর প্রতিটি প্রশ্নের মান ১০।
- মডিউল B এর মুক্তহস্ত অংকন সংক্রান্ত প্রতিটি প্রশ্নের মান ১১২, দৃষ্টিগত ও স্থানিক ধীশক্তি সংক্রান্ত প্রতিটি প্রশ্নের মান ১৬।
- মুক্তহস্ত অংকনে 2B পেন্সিল ব্যবহার করতে হবে।
- ভর্তি পরীক্ষার সময় কেবল কলম, পেন্সিল, ইরেজার, শার্পনার ও পরিশিষ্ট-ক অনুসারে অনুমোদিত ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে।
- মোবাইল ফোন ও স্মার্ট ওয়াচসহ যেকোনো প্রকার ইলেক্ট্রনিক বা টেলিযোগাযোগ যন্ত্র, জ্যামিতি বক্স, পেন্সিল বক্স, স্কেল, সেট-স্কয়ার, কম্পাস ও কোন প্রকার ব্যাগ পরীক্ষা কক্ষে নিয়ে আসা যাবে না।
বুয়েট ভর্তি বিজ্ঞপ্তি, ভর্তি যোগ্যতা ও ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টন নিয়ে কোন ধরনের প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
এসএসসি ২০২০ এবং এইচএসসি ২০২৩ হলে কি আবেদন করা যাবে?
মানে ইয়ার গ্যাপ দেওয়া স্টুডেন্টরা কি ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে???
না