কত পয়েন্টে কি গ্রেড জিপিএ গ্রেডিং পদ্ধতি। জিপিএ (GPA) এর অর্থ হলো গ্রেড পয়েন্ট এভারেজ Grade Point Average। এর মানে হলো আপনি কোন পরিক্ষা বা কোর্স এ যে ফলাফল অর্জন করেছেন তার একটি গ্রেডিং সিস্টেম। আন্তর্জাতিকভাবে জিপিএ এর কোন স্ট্যান্ডার্ড নেই। এটি এক এক দেশে একএক রকম হয়ে থাকে। আমাদের দেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রেডিং সিস্টেম জিপিএ পদ্ধতিতে হয়না জিপিএ গ্রেডিং শুধুমাত্র মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ফলাফল গুলোতে করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের ফলাফর সিজিপিএ তে প্রকাশ করে থাকেন।
জিপিএ কি এবং এর সুবিধাবলী
বর্তমান দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় আমরা সবাই কমবেশি জিপিএ শব্দটির সাথে পরিচিত। কিন্তু অনেক কম লোকই জানে জিপিএ মানে কি। জিপিএ হলো একজন শিক্ষার্থীর সকল একাডেমিক ফলাফলের এমন একটি সংখ্যা যা নির্দেশ করে যে শিক্ষার্থী কতটা ভালো বা খারাপ ফলাফল করেছে।
কোন দেশে যদি GPA-৫ মানে সর্বোচ্চ নম্বর তাহলে সেখানে GPA- ৫ প্রাপ্ত একজন শিক্ষার্থী চাকরির ক্ষেত্রে আরও ভালো সুযোগ ও সুবিধা পাবে।
ভালো জিপিএ থাকলে একজন শিক্ষার্থী দেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্ষা দেওয়ার সুযোগ পায় এছাড়াও সারা বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে স্কলারশীপও পেয়ে তাকে
বাংলাদেশের জিপিএ গ্রেডিং পদ্ধতি
আমাদের দেশে দুই ধরনের গ্রেডিং পদ্ধতি অনুসরন করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে একটি হলো GPA (Grade Point Average) এবং অন্যটি হলো CGPA (Cumulative Grade Point Average)।মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রেডিং পদ্ধতি পুরোপুরি ভিন্ন হয়ে থাকে।
এই দুই পদ্ধতির মধ্যে প্রধান পার্থক্য হলো জিপিএ (GPA) স্কুল, মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক এ ব্যবহার করা হয় অপরদিকে সিজিপিএ (CGPA) হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রেডিং পদ্ধতি।
স্কুলগুলো সাধারণত জিপিএ (GPA) পদ্ধতি অনুসরণ করে এবং বিশ্ববিদ্যালয় সিজিপিএ (CGPA) পদ্ধতি অনুসরণ করে। এছাড়াও পাবলিক এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলির গ্রেডিং পদ্ধতির মধ্যেও পার্থক্য রয়েছে। অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে একই গ্রেডিং সিস্টেম অনুসরণ করে না।
কত পয়েন্টে কি গ্রেড
বাংলাদেশের স্কুল কলেজ গুলোতে যেভাবে গ্রেডিং পদ্ধতি অনুসরন করা হয় তা তুলনামূলকভাবে বোঝা সহজ। যদি একজন ছাত্র ৮০ থেকে ১০০ নম্বর পায়, তাহলে সে A প্লাস পায়। তারপর A গ্রেড ৭০ থেকে ৭৯ পর্যন্ত। এর পরে A মাইনাস গ্রেডের জন্য ৬০ থেকে ৬৯ এরপর ৫০ থেকে ৫৯ হলো B গ্রেড। নিচে জিপিএ গ্রেডিং পদ্ধতির একটি তালিকা দেওয়া হলো এতে করে সহজেই যেকেউ বুঝতে পারবে কত পয়েন্টে কি গ্রেড হবে।
নম্বর |
গ্রেড | পয়েন্ট |
৮০ থেকে ১০০ | A+ (এ প্লাস) |
৫.০ |
৭০ থেকে ৭৯ |
A (এ) |
৪.০ |
৬০ থেকে ৬৯ | A- (এ মাইনাস) |
৩.৫ |
৫০ থেকে ৫৯ |
B (বি) | ৩.০ |
৪০ থেকে ৪৯ | C (সি) |
২.০ |
৩৩ থেকে ৩৯ |
D (ডি) | ১.০ |
০ থেকে ৩২ | F (এফ বা অকৃতকার্য) |
০.০ |
জিপিএ গ্রেডিং পদ্ধতি কীভাবে কাজ করে এবং জিপিএ সম্পর্কে জানা একজন শিক্ষার্থীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জিপিএ পদ্ধতি বোঝার মাধ্যমে, আপনি এই পদ্ধতির সুবিধাগুলি সম্পর্কেও আরো জানতে পারবেন। আশা করি এই আমাদের এই লেখাটি পড়ার পর আপনি এখন জিপিএ পদ্ধতি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারনা পেয়েছেন। বন্ধুরা লেখাটি ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে আপনার মতামত জানাবেন।
এবছর থেকে নাকি সিজিপিএ হবে দয়া করে জানাবেন ভাইয়া
ধন্যবাদ আপনাকে এই জটিল বিষয়টা জানানোর জন্য❤️