শুক্রবার আসরের পরের আমল শুক্রবারের আমল সমূহ। বন্ধুরা আজকে শুক্রবার পবিত্র জুম্মার দিন আজকের শুক্রবার আসরের নামাজের পরে এমন কিছু আমল রয়েছে যা কোন মুসলিম ব্যক্তি করতে পারেন তাহলে তার ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হবে এবং এর সাথে সাথে ৮০ বছরের ইবাদতের ছাওয়াব পেয়ে যাবেন।
শুক্রবারের আমল সমূহ
শুক্রবারের আমল সমূহ অনেকেই করে থাকেন সওয়াব এবং দোয়া লাভের আশায়। প্রিয় বন্ধুরা আমরা কম-বেশি সকলেই কোন না কোন গুনাহ করে থাকি। গুনাহ আমাদের কম বেশি আছেই। আমরা কবিরা গুনাহ সহ অনেক ধরনের গুনাহ করে থাকি। যদি আমরা আল্লাহ তালার দরবারে খাছ দিলে তওবা করতে পারি তাহলে এই গুনাহ গুলো আল্লাহতালা মাফ করে দিতে পারেন।
শুক্রবার আসরের পরের আমল
শুক্রবার আসরের পরের আমল সম্পর্কে আমরা জানবো যা শুক্রবার আসরের নামাজের পর পালন করলে ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হবে এবং এর সাথে সাথে ৮০ বছরের ইবাদত করার সমতূল্য ছওয়াব তাকে দান করা হবে।
শুক্রবার জুমার দিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল সম্পর্কে হাদিসে এসেছে যে হজরত আবু হুরাইরা (রা.) হতে বর্ণিত হয়েছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন আসরের নামাজের পর না উঠে ওই স্থানে বসা অবস্থায় আশি বার নিম্নে উল্লেখিত দরুদ শরীফ পাঠ করবে তাহলে তার ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হবে এবং সেই সাথে ৮০ বছরের নফল ইবাদতের সওয়াব তার আমল নামায় লেখা হবে।
দোয়াটি হলো:-
اَللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ النَّبِيِّ الْأُمِّيِّ وَعَلَى آلِهِ وَسَلِّم تَسْلِيْمَا
উচ্চারণ:
‘আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিনিন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া আলা আলিহি ওয়াসাল্লিম তাসলিমা’।
জুমার দিনের আরো কিছু আমলের মধ্যে রয়েছে, সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করা। হাদিসে এসেছে, জুমার দিনে সুরা কাহফ তিলাওয়াত করলে কিয়ামতের দিন আকাশতুল্য একটি নূর প্রকাশ পাবে। আর বেশি বেশি দরুদ শরীফ পাঠ করা এবং বেশি বেশি জিকির করা। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে আমল করার তাওফিক দান করুক। আমিন।
শুক্রবার আসরের পরের আমল
শুক্রবার আসরের পরের আমল বলে শেষ করা যাবে না। তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল রয়েছে যা একজন মুসলিম হিসেবে আপনাকে পালন করা উচিত।
সূর্য ডোবার কিছুক্ষণ আগ থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত গুরুত্বের সাথে জিকির, তাসবীহ ও দোয়ায় লিপ্ত থাকা।
কারণ এটি শুক্রবার দোয়া কবুলের সময়। এ দিন প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, জুমার দিন দিবসসমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এবং তা আল্লাহর নিকট অধিক সম্মানিত।
(ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১০৮৪)। এ দিনে বেশি বেশি দোওয়া পড়ার কথা রাসূল সা. নিজেই বলেছেন।
জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, জুমার দিনের বারো ঘণ্টার মধ্যে একটি বিশেষ মুহূর্ত এমন আছে যে,
তখন কোনো মুসলমান আল্লাহর নিকট যে দোয়া করবে আল্লাহ তা কবুল করেন।
(আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৮) এছাড়াও জুমার দিনের ফজিলতের হাদিস সমূহ বিখ্যাত হাদিস গ্রন্থ গুলো দ্বারা স্বীকৃত।
সবমিলে পবিত্র জুমার ফজিলত অপরিসীম। উপরে বর্ণিত জুম্মার দিনে করণীয় আমল সমূহ যথাযথভাবে পালন করলে কামিয়াবি আসবে ইনশাআল্লাহ।
হযরত আবু হুরাইরা (রা.) হতে বর্ণিত রাসূল পাক (সা.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন আসর নামাজের পর না উঠে ওই স্থানে বসা অবস্থায় ৮০ বার নিম্নে উল্লেখিত দরুদ শরিফ পাঠ করবে, তার ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হবে। এবং ৮০ বছরের নফল ইবাদতের সওয়াব তার আমল নামায় লেখা হবে। (সুবনহান আল্লাহ) দোয়াটি হলো: ‘আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিনিন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া আলা আলিহী ওয়াসাল্লিম তাসলীমা’।
আরো পড়ুন: জুম্মা মোবারক স্ট্যাটাস
শুক্রবার আসরের পরের আমল শুক্রবারের আমল সমূহ তাই একজন মুসলিম হিসেবে আপনাকে আমল করা উচিত। বন্ধুরা কোন ধরনের ভুল ভ্রান্তি থাকলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে আপনার মতামত প্রকাশ করবেন।