১০ টি অনুপ্রেরণামূলক নীতি গল্প যা আপনার আত্মবিশ্বাসকে আরো বাড়িয়ে দিবে। কোন কাজ শুরু করতে হলে অবশ্যই আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে আর আত্মবিশ্বাস না থাকলে আপনি কোন কাজই সঠিকভাবে শেষ করতে পারবেন না। এই আত্মবিশ্বাসই মূলত অনুপ্রেরণা দিয়ে শুরু হয়ে থাকে। তাই আজ আপনাদের জন্য অনুপ্রেরণামূলক নীতি গল্প হাজির হয়েছি।
তুমি পারবে, তোমাকে পারতেই হবে
অনেক বড় একটা কোম্পানী হঠাৎ করে ব্যবসায় লোকসান করে বসলো।
এক দুপুরে সেই কোম্পানীর কর্মচারীরা বাইরের ক্যান্টিনে লাঞ্চ করে ফেরার সময় অফিসের প্রবেশমুখে একটি নোটিশ দেখতে পেল।
নোটিশে লেখা ছিল,
‘আমাদের কোম্পানীর লোকসানের জন্য যে ব্যক্তিটি দায়ী, সে গতকাল মারা গেছে।
সেমিনার রুমে একটি কফিনে তার লাশ রাখা হয়েছে। যে কেউ তা দেখতে চাইলে আমন্ত্রিত।’
একজন সহকর্মীর মত্যুর খবর শুনে প্রথমে লোকেরা দুঃখ পেল।
তবে এরপর তারা কৌতুহলী হয়ে উঠলো এই ভেবে যে আসলে কে হতে পারে সেই ব্যক্তি।
তারা সবাই সেমিনার রুমে এসে একত্রিত হল,সবাই ভাবতে লাগলো,’আসলে কে সেই লোক যে আমাদের সাফল্যের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল?
তবে সে যেই হোক, এখন সে আর বেঁচে নেই।
একে একে তারা যখন কফিনের কাছে গেল এবং ভেতরে তাকালো হঠাৎ তারা কেমন যেন বাকশূন্য হয়ে গেল, হতভম্ভ হয়ে গেল। যেন তাদের খুব আপন কারো লাশ সেখানে রাখা ছিল।
কফিনের ভেতর আসলে রাখা ছিল একটা আয়না।
যে ভেতরে তাকিয়েছিলো সে তার নিজের চেহারাই দেখতে পাচ্ছিলো।
আয়নার একপাশে একটা কাগজে লেখা ছিল, তোমার সাফল্যের পথে বাধা দিতে সক্ষম শুধুমাত্র একজনই আছে গোটা পৃথিবীতে, আর সে হচ্ছো ‘তুমি’ নিজে।
তুমিই সেই একমাত্র ব্যক্তি যে তোমার জীবনে পরিবর্তন আনতে পারে, তোমাকে সুখী করতে পারে, তোমাকে সাহায্য করতে পারো,সুখী করতে পারো।
তোমার জীবন তখন বদলে যায় না, যখন তোমার অফিসের বস বদলায়, যখন তোমার অভিভাবক বদলায়, তোমার বন্ধুরা বদলায়, তোমার জীবন তখনই বদলায় যখন তুমি নিজে বদলাও।
তোমার সক্ষমতা সম্পর্কে তোমার নিজের বিশ্বাসের সীমাটা যখন তুমি অতিক্রম করতে পারো, শুধু তখনই তোমার জীবন বদলায়, পূরন হয় জীবনের লক্ষ্য গুলো।
নিজের আলোয় আলোকিত করো চারপাশ।
ধন সম্পদ দারিদ্র্যতা বৃদ্ধি করে
একদিন এক ধনী পিতা তার ৮ বছরের সন্তান কে নিয়ে ঘুরতে বের হলেন। বাবা চেয়েছিলেন তার ছেলেকে বোঝাতে যে একজন মানুষ কি পরিমান দরিদ্র হতে পারে। তারা একটি গরিব পরিবারের বাড়ি তে সময় কাটালেন।
ওখান থেকে বাড়ি ফিরার সময় বাবা ছেলে কে বললেন,
“দেখলে তারা কি গরিব… তাদের কাছ থেকে কি শিখলে??”
ছেলে জবাব দিল… “আমাদের ১ টি কুকুর… তাদের ৪ টি। আমদের ১ টি ছোট Swimming Pool আছে …….. তাদের বিশাল নদী। আমাদের রাতে বিভিন্ন ধরনের বাতি আলো দেয়… তাদের রাতে আলো দেয়ার জন্য আছে অসংখ্য তারা। আমরা খাবার কিনি… তারা খাবার বানায়। আমদেরকে Protect করার জন্য আছে ঘরের দেয়াল… তাদের Protect করার জন্য আছে তাদের অসংখ্য বন্ধু ও প্রতিবেশী। আমদের আছে বিভিন্ন Famous লেখকের বই… তাদের আছে Quran ,Bible,Gita …।”
ধন্যবাদ, আমরা যে খুবই দরিদ্র তা আমাকে দেখানোর জন্য।
প্রতিটা কাজ হতে পারে শেষ কাজ – শিক্ষনীয় গল্প
একজন বয়স্ক রাজমিস্ত্রি তার কাজ থেকে অবসর নিতে চাইলো। তাই সে তার মালিকের কাছে গিয়ে বললো,”স্যার, আমি এই বাড়ি বানানোর কাজ থেকে অবসর নিয়ে আমার স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের সাথে সময় কাটাতে চাই।”
তার মালিক এতে কিছুটা দুঃখ পেল কারণ সে ছিলো সবচেয়ে দক্ষ ও কর্মঠ রাজমিস্ত্রি। সে বললো, “ঠিক আছে কিন্তু তুমি কি চলে যাওয়ার আগে আর একটি মাত্র বাড়ি বানাতে আমাদের সাহায্য করবে ?” বয়স্ক রাজমিস্ত্রি এই প্রস্তাবে সানন্দে রাজী হয়ে গেল।
কিন্তু কাজ শুরু করার পর দেখা গেল তার মন সেখানে ছিল না এবং সে সব সময় তার অবসরের কথা ভেবে অন্যমনস্ক থাকতো। সব সময় সে বাড়ির চিন্তা করতো।
তাই এর আগে যত কাজ সে করেছিলো এই কাজটাই তার করা সবচেয়ে খারাপ কাজ হয়ে গেল।
যখন সে বাড়িটি তৈরী করা শেষ করলো তখন তার মালিক বাড়িটি দেখতে এলো এবং বৃদ্ধের হাতে বাড়ির চাবি দিয়ে বললো, “এটা এখন থেকে তোমার বাড়ি, তোমার প্রতি আমার উপহার।”
এই কথা শুনে বৃ্দ্ধ আফসোস করলো।
সে মনে মনে ভাবলো, “হায় হায় যদি আমি শুধু একবার জানতাম যে আমি আমার নিজের বাড়ি তৈরী করছি তাহলে এটা আমার জীবনে করা সবচেয়ে ভাল কাজ হতো।
শিক্ষাঃ আমরা যদি আমাদের প্রতিটা কাজক শেষ কাজ মনে করে গুরুত্বের-সহিত সম্পন্ন করি তাহলে পুরো জীবনটাই সুন্দর হয়ে উঠে।
[ইন্টারনেট হতে সংগ্রহিত]
বন্ধু তোমার প্রতিদান দিয়ে গেলাম
অনেক দিন আগের কথা। নীল আকাশের নিচে নীল সাগরের নীল পানিতে নীল জেলের বাস ছিল। তার নাম নীল কেন রাখা হয়েছে তা কেউ জানতনা। কিন্তু কাকতলীয় ভাবে নীল জেলের বেঁচে থাকার মাঝে প্রকৃতির কত নীলেরই সমাগম হয়েছিল।
ছোট্ট নীল জেলে প্রতিদিনই তার বাবাকে মাছ ধরতে সাহায্য করতে সাগরে আসত। সে খুব উদার ছিল। বাবার অলক্ষে অনেক বাচ্চা মাছকেই সে পানিতে ছেড়ে দিত। বাবার জালে আটকে থাকা মাছগুলোকে দেখে তার অনেক কষ্ট হত। কেমন ছট্ ফট্ করত ওগুলো।
একদিন হল কি, নীল জেলের বাবার জালে একটা কচ্ছপ আটকা পরল। কচ্ছপরা সব সময় ভান ধরে থাকতে পছন্দ করে। জালে আটকে যাওয়া কচ্ছপটিও মরার মত চুপটি মেরে রইল। নীল জেলের বাবা সেতিকে মরা মনে করে নৌকাতেই ফেলে রাখল। এদিকে কচ্ছপ ছানার যায় যায় অবস্থা। পানি ছাড়া আর কতক্ষণ বেঁচে থাকা যায়। সেদিন নীল আকাশের প্রখর সূর্যটা একটুকুও বিশ্রাম নিচ্ছিলনা। প্রচণ্ড রোদে কচ্ছপ ছানার শরির শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাবার যোগার। কচ্ছপ ছানা দূর্বল হয়ে গেলেও বুদ্ধি লপ পায়নি। সে অনেকক্ষন ধরেই খেয়াল করছিল নীলের কান্ড কারখানা। সে বাবার জাল থেকে চুপ করে মাছ ছেড়ে দিচ্ছে। তাই সে মনে মনে চিন্তা করছিল, কখন সে নীলের চোখে পরবে।
বাবার সাথে মাছ সংগ্রহ করতে করতে নীল জেলে হাপিয়ে উঠেছিল। একটু বিশ্রাম নিবে বলে বসল। কিন্তু ভুল করে কচ্ছপ ছানাটির উপড়েই বসে পড়ল। ছোট্ট কচ্ছপ অনেক কষ্টে নড়ে উঠল। নীল ভয় পেয়ে গেল, তার নিচ থেকে কে নড়ছে? উঠে বসতেই দেখল, সে একটি ছোট্ট কচ্ছপের উপর বসে ছিল। কচ্ছপটির জন্য তার খুব মায়া হল। সে কচ্ছপটিকে আদরের সাথে হাতে নিল। মনে করেছিল কচ্ছপটি মারা গেছে। কিন্তু কচ্ছপটি তার খোলসের ভিতর থেকে মাথা বের করল, তা দেখে নীলের আনন্দ কে দেখে! সে নাচতে লাগল।
নীল হঠাৎ নাচা নাচি বন্ধ করে দিল। কারন কেউ তাকে ডাকছিল কিন্তু কে সে তা বুঝতে পারছিলনা। একসময় বুঝতে পারল তার হাতে থাকা কচ্ছপটি তাকে ডাকছে। কচ্ছপটি মাথা বের করে কাঁদো কাঁদো হয়ে বলল, “ও ভাই ছোট্ট জেলে, আমাকে পানিতে ছেড়ে দেওনা, আমি কচ্ছপদের কাছে ফিরে যাই”। নীলের খুব মায়া হল, সে তাকে পানিতে ছেড়ে দিল।
সন্ধ্যা বেলায় নীল সাগরের মাঝে প্রচণ্ড ঢেউ খেলতে লাগল। ঝড় উঠেছে কিন্তু নীলদের নৌকা তখনও পাড়ে আসতে পারেনি। একসময় নীলদের ছোট্ট নৌকাটা ঝড়ের সাথে পাল্লা দিয়ে ভেসে থাকতে পারলনা। সেটি ডুবে গেল। বাবা নীলের হাত ধরে ছিল, ঢেউয়ের প্রকোপে হাত ছুটে গেল। নীল পানিতে তলিয়ে যেতে লাগল। সে দেখল পানির তলায় পানিগুলো কেমন ভেংচি কাটছে। তার দম বন্ধ হয়ে আসার জোগাড়। ঠিক তখনই কিছু একটা তাকে পানির উপরে তুলে ধরল। নীল চেয়ে দেখল তাকে দুটি কচ্ছপ ভাসিয়ে ডাঙ্গায় নিয়ে যাচ্ছে। আর পাশ থেকে কানের কাছে চুপিচুপি কেউ বলে যাচ্ছে, “বন্ধু তোমায় প্রতিদান দিয়ে গেলাম”
ভালবাসার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি
একটা গল্প , হয়ত আমরা অনেকেই শুনেছেন। ছোট একটা সংসার। বাবা, মা, ছোট ছেলে এবং ছেলেটার দাদা।
দাদার অনেক বয়স হয়ে গেছে। কোন কাজ করার শক্তি। নেই। সারাদিন এক বিছানায় পড়ে থাকে। একদিন ছেলেটার বাবা একটা ঝুড়ির উপর বুড়োকে বসিয়ে জঙ্গলের উদ্যেশ্যে রওনা দিল। যাচ্ছে , যাচ্ছে।
বেশ কিছুদুর যাওয়ার পর ছেলেটা হঠাৎ তার বাবাকে জিজ্ঞেস করলো, “বাবা, তুমি দাদুকে ঝুড়িতে করে কোথায় নিয়ে যাচ্ছ?”
“তোমার দাদুকে আমরা এখন জঙ্গলের ভেতর রেখে আসবো”, বাবা উত্তর দেয়।
“কেন?”, ছেলেটা অবাক হয়।
“কারন তোমার দাদুতো বুড়ো হয়ে গেছে, কোন কাজ করতে পারেনা। আমাদের কোন উপকারেও লাগেনা। শুধু খায় আর ঘুমায়। কি লাভ তাকে বাসায় রেখে?
তাই তাকে আমরা জঙ্গলে রেখে আসতে যাচ্ছি। “
“ওহ!”, কিছুক্ষন কি যেন ভাবে ছোট ছেলেটা, তারপর বলল, “ঠিক আছে বাবা, কিন্তু দাদুকে রেখে আসার সময় আমরা কিন্তু অবশ্যই ঝুড়িটা নিয়ে আসবে।
“কেন”, একটু অবাক হয় বাবা।
“কারন, যখন আমি বড় হব, তুমি তো তখন বুড়ো হয়ে যাবে, দাদুর মত। তখন তুমি কোন কাজই করতে পারবানা। শুধু খাবা আর ঘুমাবা। তখন তো তোমাকে বাসায় রেখে আমার কোন লাভই হবে না। শুধু শুধু তখন টাকা খরচ করে নতুন ঝুড়ি কিনতে যাব কেন? এই ঝুড়িতে করেই না হয় তোমাকে জঙ্গলে রেখে যাব।”
ছেলের কথায় চমকে উঠলো বাবা। হঠাৎ করেই নিজের ভূল বুঝতে পারলো। বুঝতে পারলো সে যখন ছোট ছিল, যখন কোন কিছু করারই ক্ষমতা ছিলনা, তখন তার বাবা মা-ই তাকে যত্ন করে বড় করেছে। আজ তার বাবা বুড়ো হয়ে যেন শিশু হয়ে গেছে। ছোটবেলায় যেমন তার বাবা তাকে বুকের মধ্যে আগলে রেখেছিল, এখন তেমনি তার দায়িত্ব হলো তার বাবাকে আগলে রাখা। এই সময়ে তার বাবার প্রতি তার সেবা, হয়ত কিছুটা হলেও তার বাবার প্রতি ঋন শোধ করা হবে।
এক ছোট পাখির কাহিনী
একটি ছোট পাখি আকাশের অনেক উপর দিয়ে উড়তে গিয়ে ঠান্ডায় জমে বরফ হয়ে ধপ করে এসে পড়লো একটা খোলা মাঠে।
পাশেই একটা গরু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঘাস চিবাচ্ছিল। সে কোৎ করে এক দলা গোবর হেগে দিল পাখিটার উপর।
পাখিটা গোবরে ডুবে গেলেও সদ্য পতিত গোবরের গরমে তার শরীরের বরফ সব গলা শুরু করলো।
একটু পরে পাখিটা সুস্থ হয়ে গোবরের ভেতরে বসেই কিচমিচ কিচমিচ ডাক শুরু করলো।
পাশ দিয়ে যাচ্ছিলো এক হুলো বেড়াল। সে পাখির আওয়াজ পেয়ে গোবর ঘেঁটে পাখিটাকে বের করলো। তারপর কপাৎ করে গিলে ফেলল।
মর্মার্থ – ১: কারো শত্রুতা মূলক কাজ সব সময় যে তোমার বিপক্ষে যাবে এমন নাও হতে পারে। কোন কোন বৈরী কাজ হয়তো তোমার উপাকারেই আসবে।
মর্মার্থ – ২: কেউ তোমাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করলো মানেই যে সে তোমার শুভাকাঙ্খি এমন নাও হতে পারে। সে হয়তো তোমার সবচেয়ে বড় শত্রু।
মর্মার্থ – ৩ : যখন তুমি ঘোর বিপদে তখন দয়াকরে মুখটা বন্ধ রাখো / when you are in deep shit please keep your mouth shut!!
একটি জরুরী অপারেশন – শিক্ষনীয় গল্প
একটি জরুরী অপারেশনে তাড়াহুড়ো করে এক ডাক্তারকে হাসপাতালে ডেকে পাঠানো হল… সে তড়িৎ গতিতে হাসপাতালে পৌঁছে গেলো… হাসপাতাল ঢুকেই সে নিজেকে দ্রুত প্রস্তুত করে নিল সার্জারির জন্য..
এরপর সার্জারির ব্লক এ গিয়ে সে দেখল রোগীর(একটিছোট্ট ছেলে) বাবা ওখানে পায়চারি করছে ডাক্তারের অপেক্ষায় , ডাক্তারকে দেখামাত্র লোকটি চেঁচিয়ে উঠল-
আপনার আসতে এত দেরি লাগে? দায়িত্ববোধ বলতে কিছু আছে আপনার? আপনি জানেন আমার ছেলে এখানে কতটা শোচনীয় অবস্থায় আছে ?
ডাক্তার ছোট্ট একটা মুচকি হাসি হেসে বলল- ” আমি দুঃখিত, আমি হাসপাতাল এ ছিলাম না, বাসা থেকে তাড়াহুড়ো করে এলাম, তাই খানিক দেরি হল, এখন আপনি যদি একটু শান্ত হন আর ধৈর্য্য ধারন করেন তবে আমি আমার কাজটা শুরু করি?
লোকটি এবার যেন আরও রেগে গেলো, ঝাঁঝাঁলো স্বরে বলল- ” ঠাণ্ডা হব?
আপনার সন্তান যদি আজ এখানে থাকতো? আপনার সন্তান যদি জীবন মৃত্যুর মাঝে দাঁড়িয়ে থাকতো, তবে আপনি কি করতেন? শান্ত হয়ে বসে থাকতেন??
ডাক্তার আবার হাসলেন আর বললেন “আমি বলব পবিত্র গ্রন্থে বলা হয়েছে মাটি থেকেই আমাদের সৃষ্টি আর মাটিতেই আমরা মিসে যাব! ডাক্তার কাউকে দীর্ঘ জীবন দান করতে পারেন না… আপনি আপনার সন্তান এর জন্য প্রার্থনা করতে থাকুন আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব…
লোকটি পুনরায় রাগত স্বরে বলল- অন্যকে উপদেশ দেয়া খুবই সহজ… আপনার এমন পরিস্থিতি হলে বুঝতেন…
এরপর ডাক্তার সার্জারির রুম এ চলে গেলো, ২ ঘণ্টার মত সময় লাগলো , সব শেষে হাসি মুখে ডাক্তার বের হয়ে এসে আবার হাসি মুখে বের হয়ে রোগীর বাবার কাছে এলেন, আর বললেন “আলহামদুলিল্লাহ অপারেশন সফল হয়েছে ”
এরপর উত্তরের অপেক্ষা না করেই ডাক্তার আবার বলে উঠলেন- আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে নার্স কে জিজ্ঞেস করুন, এই কথা বলেই হাসি মুখে সালাম জানিয়ে তিনি চলে গেলেন…
এরপর লোকটি নার্সকে বললেন- এই ডাক্তার এত নিষ্টুর কেন? তিনি কি আর কিছুক্ষণ এখানে থাকতে পারতেন না…? আমি ওনাকে আমার সন্তান এর ব্যাপারে আরো কিছু জিজ্ঞেস করতাম…!
তখন নার্স জানালেন- ডাক্তার সাহেবের এর ছেলে আজ সকালে মারা গেছেন রোড এক্সিডেন্ট এ, তিনি আপনার ফোন পেয়ে ওনার ছেলের জানাজা থেকে উঠে এসেছেন , এখন আবার দৌড়ে চলে গেলেন-কবর দিতে..!
♦•••একজন মানুষ কে কখনও তার বাইরের আচরন দেখে যাচাই করবেন না, কারন আপনি কখনই জানেন না তিনি কিসের মাঝে আছেন! সমালোচনা আর সন্দেহ না জেনে তাই আমাদের করা উচিত নয় বিপদের মাঝেই ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিতে হয় •••♦
আপনাকে তারা অসম্ভব ভালবাসে
এক মহিলা একটা অজগর সাপ পুষতো।
সাপটা’কে সে অসম্ভব ভালবাসতো।
অজগরটা লম্বায় ৪ মিটার এবং দেখতেও বেশ স্বাস্থ্যবান ছিল।
একদিন হঠাৎ তার আদরের অজগর খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিল।
কয়েক সপ্তাহ চলে গেল, কিন্তু সাপ কিছুই খায় না।
আদরের সাপের এমন অবস্থায় মহিলা দুশ্চিন্তায় পড়ে গেল এবং উপায়-বুদ্ধি না পেয়ে শেষমেশ সাপটাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেল।
ডাক্তার সাহেব মনযোগ দিয়ে সব শুনলেন এবং জিগেস করলেন- সাপটা কি রাতে আপনার সাথে ঘুমায়?
মহিলা উত্তর দিল- হ্যাঁ।
– ঘুমানোর সময় এটা আস্তে আস্তে আপনার কাছে ঘেঁসে?
– হ্যাঁ
– তারপর আস্তে আস্তে আপনাকে চারপাশে মুড়িয়ে ধরে?
মহিলা বিস্মিত হলেন এবং জবাব দিলেন-
এইবার চিকিৎসক খুবই ভয়ানক এবং অপ্রত্যশিত কিছু বললেন।
– ম্যাডাম, সাপটি আপনাকে জড়িয়ে ধরে, চারপাশ থেকে মুড়িয়ে ধরে, কারণ এটা আপনার মাপ নিচ্ছে। নিজেকে প্রস্তুত করছে আপনাকে আক্রমণ করার জন্য। এবং হ্যাঁ, সে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করেছে যথেষ্ট জায়গা খালি করতে, যাতে সহজেই আপনাকে হজম করতে পারে।
নীতিকথাঃ আপনার চারপাশে হয়ত এমন অনেকেই আছে যাদের আপনি কাছের মানুষ ভাবেন, যাদের দেখে মনে হয় আপনাকে তারা অসম্ভব ভালবাসে। হয়ত আপনার ক্ষতিই তাদের প্রধান উদ্দেশ্য।
ভালো কাজের ফল – শিক্ষণীয় গল্প
স্কটল্যান্ডের এক গরিব কৃষক। তার নাম ফ্লেমিং। একদিন তিনি জমিতে কাজ করছিলেন। হঠাৎ কাছের পুকুর থেকে চিৎকার ভেসে এলো, ‘বাঁচাও। বাঁ-চা-ও!’
তিনি কাজ ফেলে ছুটে গেলেন। সেখানে একটি ছোট ছেলে পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছে। পানিতে হাত নাড়ছে আর আতঙ্কে চিৎকার করছে। কৃষক ফ্লেমিং ছেলেটাকে উদ্ধার করলেন। নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে ছেলেটা রেহাই পেল।
পরদিন সকালে একটা চমৎকার গাড়ি এসে থামল কৃষকের বাড়ির সামনে। মার্জিত পোশাক পরা এক ভদ্রলোক গাড়ি থেকে নেমে এলেন। কৃষক ফ্লেমিং যে ছেলেটিকে বাঁচিয়েছেন, ভদ্রলোক নিজেকে সেই ছেলেটির বাবা হিসেবে পরিচয় দিলেন।
‘আমি আপনাকে প্রতিদান দিতে চাই। আপনি আমার ছেলের জীবন বাঁচিয়েছেন।’ ভদ্রলোক বললেন।
‘না, আমি যা করেছি তার প্রতিদান নিতে পারব না। ক্ষমা করবেন।’ জবাব দিলেন সেই কৃষক। এমন সময় ঘর থেকে বেরিয়ে এলো তার ছেলে।
‘এটা কি আপনার ছেলে?’ ভদ্রলোক জানতে চাইলেন।
কৃষক গর্বের সঙ্গে জবাব দিলেন, ‘হ্যাঁ, এ আমার ছেলে।’
‘আমি আপনাকে একটি প্রস্তাব দিতে চাই। আমার ছেলের মতো আপনার ছেলেকেও পড়ালেখা করানোর সুযোগ আমায় দিন। যদি আপনার সামান্য গুণও ওর মধ্যে থাকে
তাহলে নিশ্চয় একদিন এমন বড় মানুষ হবে- আমরা সবাই তাকে নিয়ে গর্ব করব।’
বাস্তবে সেটিই হল। কৃষক ফ্লেমিংয়ের ছেলেকে ভর্তি করানো হল সেরা স্কুলে। যথাসময়ে সেই ছেলেটি স্নাতক পাস করলেন লন্ডনের সেন্ট মেরিজ হসপিটাল মেডিকেল স্কুল থেকে। আর পেনিসিলিন আবিষ্কার করে সারা দুনিয়ায় তিনি পরিচিতি লাভ করলেন স্যার আলেকজান্ডার ফ্লেমিং হিসেবে।
কয়েক বছর পরের কথা। পুকুর থেকে বাঁচানো ভদ্রলোকের সেই ছেলেটি নিউমোনিয়ায় মারাত্মকভাবে ভুগছিলেন। মর মর অবস্থা।
সে সময়ে তার প্রাণ বাঁচল কিসে? সেই পেনিসিলিনে।
সেই ভদ্রলোকের নাম কী? লর্ড রানডলফ চার্চিল।
তার ছেলের নাম? স্যার উইস্টন চার্চিল।
নীতিকথা : ভালো কাজের ফল অবশ্যই ভালো হয়।
মূল গল্প : হোয়াট গোজ অ্যারাউন্ড কামস অ্যারাউন্ড
মূর্খ যখন বিত্তবান হয়
একটি ইঁদুর খাবার খুঁজতে খুঁজতে রাজার ঘরে প্রবেশ করে । কোন খাবার না পেয়ে একটি হীরের টুকরো গিলে ফেলে। হীরের চুরি যাওয়ার কারণে রাজ-প্রাসাদে সবার ঘুম হারাম হয়ে যায়। রাজা মশাই জ্যোতিষীকে ডেকে পাঠায় । জ্যোতিষী বলে হীরের টুকরো ইদুরে খেয়ে ফেলেছে।
.
সেনাপতি রাজার হীরে উদ্ধারের জন্য রাজ্যময় পুরস্কার ঘোষণা করে। একজন শিকারীকে খোঁজ করে ইঁদুর মেরে হীরে উদ্ধারের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
.
শিকারি যখন ইঁদুর মারতে ইঁদুরদের বাসস্থানে পৌঁছোয় তখন সে দেখে শত শত ইঁদুর একে অন্যের সংগে দলবেঁধে শুয়ে আছে, আর একটা ইঁদুর সবার থেকে আলাদা এক জায়গায় একটি ইটের ওপর রঙিন কাপড়ের বিছানা করে চিৎপটাং হয়ে শুয়ে আছে। শিকারি তখন ওই ইঁদুরটাকে ধরে, আর তার পেট চিরে হীরে বের করে, রাজার হাতে সেটা তুলে দিলেন ।
.
রাজামশাই অনেক খুশি হয়ে শিকারীকে তার প্রাপ্য পুরস্কার দিয়ে দিলেন এবং তাকে জিজ্ঞেস করেন, “হাজারো ইঁদুরের মধ্যে তুমি কিভাবে বুঝলে যে, ওই ইঁদুরটাই হীরে চুরি করেছে..??”
.
শিকারি জবাবে বলে,
“খুবই সহজ ! মূর্খ যখন হঠাৎ বিত্তবান হয়ে যায়, তখন নিজেকে অন্যের থেকে আলাদা মনে করে, নিজের জাতীর সঙ্গে মেলামেশা বন্ধ করে দেয়।
.
মূর্খ ইঁদুরটা ঠিক তাই করেছিল, হীরা চুরি করে নিজেকে সবচেয়ে ধনী এবং ইঁদুরদের রাজা ঘোষণা দিয়েছিল।”
.
বর্তমান সমাজে কিছু কিছু ব্যক্তিদের মাঝে এমন আচরন পরিলক্ষিত হয়!
.
বড় বড় নেতাদের সাথে সেলফি কিংবা ছবি তোলার যোগ্যতা থাকলেই মানুষ কখনো বড় মনের হয় না..
হৃদয়ের মাঝে দূরত্ব বৃ্দ্ধি
একজন টিচার তার ছাত্র- ছাত্রীদের নিয়ে শিক্ষা সফরে গিয়েছিল। তারা যখন ঘুরতে বের হল তখন এমন একটা পরিবার দেখতে পেল যার সদস্যরা একে অপরের সাথে চিৎকার করে ঝগড়া করছিল। শিক্ষক তার ছাত্র- ছাত্রীদের দিকে তাকিয়ে স্মিত হাসলেন এবং জিজ্ঞেস করলেন…
‘‘তোমাদের কি ধারনা? মানুষ যখন রেগে যায় তখন একে অপরের সাথে চিৎকার করে কথা বলে কেন?’’
শিক্ষার্থীরা কিছুক্ষন চুপ করে ভাবলো, তারপর একজন উত্তর দিল,’কারন আমরা তখন মনের শান্তি হারিয়ে ফেলি এবং চিৎকার করি।’’
শিক্ষক প্রশ্ন করলো,‘‘কিন্তু আমরা চিৎকারই বা করি কেন? যাকে আমরা রাগ দেখাই সে তো আমাদের সামনেই আছে, তাকে যা বলার তাতো আমরা শান্ত ভাবেও বলতে পারি।’’
ছাত্রছাত্রীরা অনেকেই উত্তর দিল, কিন্তু তারা কেউই তাদের নিজেদের উত্তরেই সন্তুষ্ট হতে পারলো না। শেষে শিক্ষক তাদের ব্যাখ্যা করলো, ‘‘যখন দুইজন মানুষ একজন আরেক জনের সাথে রাগারাগি করে তখন তাদের হৃদয়ের মধ্যকার দূরত্ব বেড়ে যায়। এই দূরত্বের জন্য তারা চিৎকার করে কথা বলে, যাতে একে অপরের কথা বুঝতে পারে।
তারা যত বেশি রেগে যায় এই দূরত্ব তত বেশি বেড়ে যায়, আর তখন তারাও তত বেশি চেঁচামেচি করে ঝগড়া করে।’’ শিক্ষকের সাথে তার ছাত্র ছাত্রীদের সম্পর্ক ছিল খুব খোলামেলা, তাই সে ভালভাবে তাদের ব্যাপারটা বোঝাতে পারছিল।
‘‘কি ঘটে যখন দুইজন মানুষ একে অপরকে ভালবাসে? তারা কিন্তু নিজেদের সাথে চিৎকার করে কথা বলে না বরং মোলায়েম স্বরে কথা বলে। কারন তাদের ভালবাসা দুইজনের হৃদয়কে খুব কাছে নিয়ে আসে।”
শিক্ষক আবার বললো,‘‘ যখন দুইজন মানষের ভালবাসা আরও গভীর হয় তখন কি হয়? তখন তারা একে অপরের
সাথে চাপাস্বরে কথা বলেও সব কিছু বুঝতে পারে। এবং এক পর্যায়ে নিজেদের দিকে তাকিয়েই তারা সবকিছু বুঝতে পারে।’’
সে তার শিক্ষার্থীদের দিকে তাকালো এবং বললো, ‘‘তোমরা যখন একে অপরের সাথে তর্ক করো,ঝগড়া করো তখন এমন কোন শব্দ ব্যবহার কোরো না যা তোমাদের হৃদয়ের মাঝে দূরত্ব বৃ্দ্ধি করে। যদি এভাবে চলতেই থাকে তবে হয়তো এমন একদিন আসবে যখন এ দূরত্ব এত বেশি হয়ে যাবে যে আর কোন শব্দই সেখানে পৌছুবে না, সেখান থেকে ফিরে আসারও হয়তো আর কোন পথ থাকবে না।
বদলে যাও, বদলে দাও
“আমি সেবার এসএসসি দিয়েছি। প্রথম পাবলিক পরীক্ষা, মনে তাই অনেক টেনশন- কী হয় কী হয় কে জানে! তো এরকমই একটা সময়ে, সেদিন এসএসসির রেজাল্ট দেবে-এইরকম একটা দিনে আমি আর আমার বন্ধু রাস্তা দিয়ে হাঁঁটছিলাম।
আমার কোক খেতে অনেক ভালো লাগে। যথারীতি প্রচণ্ড টেনশনে আমার সাথে ছিল একটা কোকের বোতল। রাস্তা দিয়ে হাঁটছি- নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করছি, কিন্তু আমার মাথা থেকে ওই রেজাল্টের বিষয়টা আর যাচ্ছেই না! টেনশনে হাঁটতে হাঁটতে এক টান দিয়ে পুরো কোকটা শেষ করে বোতলটা ছুঁড়ে মারলাম রাস্তার আরেক কোণায়।
আমার বন্ধুটি কিছুই বললো না। ওকে দেখলাম একটু পরে সেই কোণায় যেতে। রাস্তা পার হলো, আমারই ফেলে দেয়া বোতলটা তুলে নিলো, তারপর আমাকে বললো, “এবার চল, এগোই।”
আমি মনে মনে ভাবলাম, বন্ধুটির বাসায় মনে হয় খালি প্লাস্টিকের বোতল লাগবে, ওর আম্মু বোতল এনে দিতে বলেছে, এইজন্যেই বেচারা কষ্ট করে বোতল কুড়িয়ে নিয়ে আসলো। আমার ধারণা ভুল ছিল।
আমার বন্ধুটি একটু পরে দূরে রাস্তার উল্টোদিকে একটা ডাস্টবিন দেখলো। সে আবারো রাস্তা পার হলো, ডাস্টবিনে বোতলটা ফেললো, তারপর নির্বিকার ভঙ্গিতে আমার দিকে তাকিয়ে বললো, “চল!”
পুরো ঘটনাটা বলতে গেলে আমার বুকের মাঝখানটায় এসে লাগলো। একেবারেই নীরবে আমার বন্ধুটি প্রচ্ছন্ন চপেটাঘাত করলো আমাকে, বিষয়টা বেশ গায়ে লেগেছিলো সেদিন। আম্মু-আব্বু থেকে শুরু করে অনেকেই অনেকবার বলেছে আমাকে, ময়লাগুলো জায়গামতো ফেলতে- কিন্তু সেগুলো এক কান দিয়ে ঢুকিয়ে আরেক কান দিয়ে বের করে দিয়েছি, যথারীতি।
কিন্তু আমার এই বন্ধুটি, একেবারেই নীরবে দারুণ একটা কাজ করে ফেলে আমার মধ্যে আমূল একটা পরিবর্তন নিয়ে এলো। সারাজীবন আম্মু বকা দিয়ে যেটা আনতে পারে নি, বন্ধুর এই নীরব প্রতিবাদ দেখে সেই আমি প্রতিজ্ঞা করলাম, যেখানে সেখানে আর ময়লা ফেলবো না। কোনদিন না।
সেই থেকে শুরু। ডাস্টবিন ব্যবহার করতে ভুলি নি আর কোনদিন। আমার এই বন্ধুটির এক নীরব প্রতিবাদই আমার পরিবর্তনের সূতিকাগার হয়ে পড়লো। আমিও আশেপাশের কেউ কোন ময়লা যেখানে সেখানে ফেলে রাখলেই চুপচাপ সেটা তুলে ডাস্টবিনে ফেলে দিতাম।”
লিখেছেন – Ayman Sadiq
রেগে গেলেন, তো হেরে গেলেন…
এক লোক তার Brand New গাড়ি পরিষ্কার করছিলেন। এই সময় তার ছয় বছরের মেয়ে পাথর হাতে গাড়িটির কাছে যায় এবং গাড়ির একপাশে পাথর দিয়ে আঁচড়িয়ে কিছু লেখে। লোকটি যখন দেখতে পায় তার মেয়ে গাড়ির গায়ে আঁচড় কাট ছে তখন সে রাগে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়ে এবং মেয়েটির হাতে আঘাত করে। পরে মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তিনি জানতে পারেন যে তার মেয়ের হাতে একধিক ফ্র্যাকচার হয়েছে।
১০ টি অসাধারন শিক্ষনীয় ছোট গল্প
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে মেয়েটি যখন প্রচণ্ড ব্যথায় তার বাবাকে জিজ্ঞেস করে, “বাবা, আমার হাত কবে ঠিক হবে?”, তখন লোকটি নির্বাক হয়ে পড়ে। সে তার গাড়িটির কাছে ফিরে যায় এবং রাগে গাড়িটিকে অসংখ্যবার লাথি মারে। সে তার মেয়েকে কতটা নিষ্ঠুরভাবে আঘাত করেছে তা ভেবে সে অত্যন্ত কষ্ট পায় এবং গাড়িটির সামনেই মাটিতে বসে পড়ে। এসময় তার চোখ যায় গাড়িটির যেখানে তার মেয়ে পাথর দিয়ে আঁচড় কেটেছিল সেখানে। সেখানে লেখা ছিল, “বাবা, আমি তোমাকে ভালবাসি”।
** ক্রোধ এবং ভালবাসার কোন সীমা নেই। রাগের মাথায় কিছু করবেন না কখনও, অনুরোধ রইলো। **
৫ মিনিটে মাত্র ৫টি গল্প যা আপনার দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে দেবে!
ছোট হয়ে আসছে পৃথিবী, সেই সঙ্গে বাড়ছে সময়ের মূল্য। মানুষ চায় অল্প সময়ে বেশি পেতে। আর এসব কথা ভেবেই eআরকি খুবই অল্প সময়ে প্রশিক্ষণ কোর্সের আয়োজন করেছে। আমাদের আজকের বিষয় ম্যানেজমেন্ট বা ব্যবস্থাপনা। এ কোর্সে আপনাকে মাত্র পাঁচ মিনিটে বাস্তব উদাহরণের মাধ্যমে ম্যানেজমেন্টের মূল বিষয় সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়া হবে।
গল্প–১
বাবা গোসলে, মা রান্না ঘরে আর ছেলে টিভি দেখছিল। এমন সময় দরজায় ঘণ্টা বাজল। ছেলে দৌড়ে গিয়ে দরজা খুলে দেখল, পাশের বাসার করিম সাহেব দাঁড়িয়ে। ছেলে কিছু বলার আগেই করিম সাহেব বললেন, ‘আমি তোমাকে ৫০০ টাকা দেব, যদি তুমি ১০ বার কান ধরে উঠবস কর।’ বুদ্ধিমান ছেলে অল্প কিছুক্ষণ চিন্তা করেই কান ধরে উঠবস শুরু করল, প্রতিবার উঠবসে ৫০ টাকা বলে কথা। শেষ হতেই করিম সাহেব ৫০০ টাকার নোট ছেলের হাতে ধরিয়ে দিয়ে চলে গেলেন। বাবা বাথরুম থেকে বের হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কে ছিল দরজায়?’ ‘পাশের বাসার করিম সাহেব’, উত্তর দিল ছেলে। ‘ও’, বললেন বাবা, ‘আমার ৫০০ টাকা কি দিয়ে গেছেন?’
শিক্ষণীয় বিষয়
আপনার ধারদেনার তথ্য শেয়ারহোল্ডারদের থেকে গোপন করবেন না। এতে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা থেকে রক্ষা পাবেন।
গল্প–২
সেলসম্যান, অফিস ক্লার্ক ও ম্যানেজার দুপুরে খেতে যাচ্ছিলেন। পথে তাঁরা একটি পুরোনো প্রদীপ পেলেন। তাঁরা ওটাতে ঘষা দিতেই দৈত্য বের হয়ে এল। দৈত্য বলল, ‘আমি তোমাদের একটি করে ইচ্ছা পূরণ করব।’ ‘আমি আগে! আমি আগে!’ বললেন অফিস ক্লার্ক, ‘আমি বাহামা সমুদ্রপারে যেতে চাই, যেখানে অন্য কোনো ভাবনা থাকবে না, কাজ থাকবে না।’ ‘ফুঃ…!!’ তিনি চলে গেলেন। ‘এরপর আমি! এরপর আমি!’ বললেন সেলসম্যান, ‘আমি মায়ামি বিচে যেতে চাই যেখানে শুধু আরাম করব।’ ‘ফুঃ…!!’ তিনিও চলে গেলেন। ‘এখন তোমার পালা’, দৈত্য ম্যানেজারকে বলল। ম্যানেজার বললেন, ‘আমি ওই দুজনকে আমার অফিসে দেখতে চাই।’
শিক্ষণীয় বিষয়
সব সময় বসকে আগে কথা বলতে দেবেন। তা না হলে নিজের কথার কোন মূল্য থাকবে না।
গল্প–৩
একটি ইগল গাছের ডালে বসে আরাম করছিল। এমন সময় একটি ছোট খরগোশ ইগলটিকে দেখে জিজ্ঞেস করল, ‘আমিও কি তোমার মতো কিছু না করে এভাবে বসে আরাম করতে পারি?’ ইগল উত্তর দিল, ‘অবশ্যই, কেন পারবে না।’ তারপর খরগোশটি মাটিতে এক জায়গায় বসে আরাম করতে থাকল। হঠাত্ একটি শিয়াল এসে হাজির, আর লাফ দিয়ে খরগোশকে ধরে খেয়ে ফেলল।
শিক্ষণীয় বিষয়
যদি কোনো কাজ না করে বসে বসে আরাম করতে চান, তাহলে আপনাকে অনেক ওপরে থাকতে হবে।
গল্প–৪
একটি মুরগি ও একটি ষাঁড় আলাপ করছিল। ‘আমার খুব শখ ওই গাছের আগায় উঠব, কিন্তু আমার এত শক্তি নেই’, মুরগিটি আফসোস করল। ‘উত্তরে ষাঁড়টি বলল, ‘আচ্ছা, তুমি আমার গোবর খেয়ে দেখতে পার, এতে অনেক পুষ্টি আছে।’ কথামতো মুরগি পেট পুরে গোবর খেয়ে নিল এবং আসলেই দেখল সে বেশ শক্তি পাচ্ছে। চেষ্টা করে সে গাছের নিচের শাখায় উঠে পড়ল।।দ্বিতীয় দিন আবার খেল, সে তখন এর ওপরের শাখায় উঠে গেল। অবশেষে চার দিন পর মুরগিটি গাছের আগায় উঠতে সক্ষম হলো। কিন্তু খামারের মালিক যখন দেখলেন মুরগি গাছের আগায়, সঙ্গে সঙ্গে তিনি গুলি করে তাকে গাছ থেকে নামালেন।
শিক্ষণীয় বিষয়
ফাঁকা বুলি (বুল শিট) হয়তো আপনাকে অনেক ওপরে নিয়ে যেতে পারে, কিন্তু আপনি বেশিক্ষণ ওখানে টিকে থাকতে পারবেন না।
গল্প–৫
একটি পাখি শীতের জন্য দক্ষিণ দিকে যাচ্ছিল। কিন্তু এত ঠান্ডা ছিল যে পাখিটি শীতে জমে যাচ্ছিল এবং সে একটি বড় মাঠে এসে পড়ল। যখন সে মাঠে পড়ে ছিল, একটি গরু তার অবস্থা দেখে তাকে গোবর দিয়ে ঢেকে দিল। কিছুক্ষণ পর পাখিটি বেশ উষ্ণ অনুভব করল। যখন গোবরের গরমে সে খুব ঝরঝরে হয়ে উঠল, আনন্দে গান গেয়ে উঠল। এমন সময় একটি বিড়াল পাশ দিয়ে যাচ্ছিল, পাখির গান শুনে খুঁজতে লাগল কোথা থেকে শব্দ আসে। একটু পরই সে গোবরের কাছে আসে এবং সঙ্গে সঙ্গে গোবর খুঁড়ে পাখিটিকে বের করে তার আহার সারে।
শিক্ষণীয় বিষয়
১. যারা আপনার ওপর কাদা ছোড়ে, তারা সবাই-ই আপনার শত্রু নয়।
২. যারা আপনাকে পঙ্কিলতা থেকে বের করে আনে, তারা সবাই-ই আপনার বন্ধু নয়।
৩. এবং যখন আপনি গভীর পঙ্কিলতায় নিমজ্জিত, তখন মুখ বেশি না খোলাই শ্রেয়।
1 thought on “১০ টি অনুপ্রেরণামূলক নীতি গল্প”