এবং ইনকুইজিশন Pdf Download

এবং ইনকুইজিশন pdf download। অভীক সরকারের লেখা এই প্রথম পড়লাম। অনেক পড়াশোনা করেই তিনি গল্পগুলো লিখেছেন। গল্পের পটভূমি বিচিত্র ও বিস্তৃত। কল্পনার চরিত্রগুলোর সাথে অভীক সরকার মিলিয়ে দিয়েছেন বাস্তবের মানুষদেরও। কখনো ঠগী উৎখাতকারী হেনরী স্লিম্যান, কখনো সোমপুর বিহারের প্রাচীন বৌদ্ধ ভিক্ষুরা এসেছেন গল্পের চরিত্র হয়ে। গল্পের পটভূমি কখনো মধ্যভারত, কখনো পর্তুগাল, কখনো গোয়া, কখনো আফগানিস্তান, মুম্বাই অথবা শহর কলকাতা সময়কাল কখনো পাল আমল, কখনো মধ্যযুগ, কখনো উনিশ আবার কখনো বর্তমান একবিংশ শতাব্দী। তবে একটি চরিত্র ফিরে ফিরে এসেছেন প্রতিটি গল্পে, ইনিও এক ঐতিহাসিক চরিত্র, নবদ্বীপের বিখ্যাত তন্ত্রসাধক কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ। সপ্তদশ শতকের এই সাধককে অভীক সরকার ফিরিয়ে এনেছেন তার গল্পে। গল্পের মূল নায়ক তিনি হয়তো নন, তবে গল্পের নিয়ন্তা তিনিই। স্বল্প উপস্থিতি দিয়ে তিনিই কাহিনীর গতি প্রকৃতি নির্ধারণ করে দিয়েছেন।

  • বই: এবং ইনকুইজিশন
  • লেখক: অভীক সরকার
  • ক্যাটাগরি: পশ্চিমবঙ্গের বই
  • ভাষা: বাংলা
  • ফরম্যাট: Free Download (ফ্রি ডাউনলোড)
  • প্রকাশনী: দ্য ক্যাফে টেবিল
  • প্রকাশকাল:
  • মোট পেজ: টি
  • ফাইল সাইজ: ১৬৪ এম্বি

এবং ইনকুইজিশন pdf বইয়ের প্রথম কিছু অংশ পড়ুন।

একদিকে দেশীয় রাজাদের অকর্মণ্যতা আর একদিকে ক্রমশ ঘনিয়ে আসা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের ছায়া, দুয়ের মাঝে বিস্তীর্ণ মধ্যভারত শাসন করে এক লুটেরা খুনির দল।
এমনই এক লুটেরা দলের সর্দার ভুকোত জমাদারকে অকস্মাৎ সরিয়ে দিয়ে দলের কর্তৃত্ব হাতে নেয় এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্রাহ্মণ। না, লুটের ধনসম্পদ নয়, অলৌকিক শক্তির অধিকারী সেই ব্রাহ্মণ প্রতিটি শিকারের পর চেয়ে নেন শুধুমাত্র একটিই জিনিস, শিকারের মৃতদেহ!
কে এই ব্রাহ্মণ? কী করেন ইনি মৃতদেহ দিয়ে?

মায়ারানি হালদারের বংশে হাজার বছর ধরে পূজিত হয়ে এসেছে একটি অভিশপ্ত পাথুরে ফলক। কিন্তু কেন? হাজার বছর আগে কী ঘটেছিল সোমপুরা মহাবিহারের গর্ভগৃহে? এক জটা দেবীর নামে কাকে অভিশাপ দিলেন মহাস্থবির রত্নাকরশান্তি? টেনিয়া কি পারবে বালুরঘাটের তিনটি মেয়েকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে এনে দালালদের কাছে বিক্রি করে দিতে? মেখলা-কনখলার কাহিনিটাই বা কী? কী হবে অসহায় মেয়ে তিনটির?

অতীনকে যেন তার সমস্ত অস্তিত্বসহ অজগরের মতোই গ্রাস করে নিল মূর্তিটা। রোজ ভোগ বেড়ে দিত সে, এই আশায় যে মা খাবেন, গ্রহণ করবেন ভোগের প্রসাদ। কিন্তু মা সেদিনই ভোগ নিলেন যেদিন ডামরি এসে উপস্থিত হলো এ বাড়িতে। কে এই ডামরি? মূর্তিটাই বা কোন দেবীর? বৌদ্ধতান্ত্রিক সহস্রাক্ষ কেন বানিয়েছিলেন এই মূর্তি? অতীনের পিতৃবন্ধু ভবেশবাবু কি পারবেন অতীনকে বাঁচাতে?

আফগান সন্ত্রাসবাদীদের হাত থেকে একদল শিশুকে বাঁচাবার দিনেই পর্তুগালের কম্যান্ডোবাহিনীর নায়ক মার্টিনেজ তাজ খবর পেলেন তাঁর একমাত্র ছেলে তিয়াগো মৃত্যুশয্যায়। বাড়ি এসে এক আশ্চর্য ইতিহাসের সম্মুখীন হন মার্টিনেজ, শোনেন গোয়াতে পর্তুগালের আধিপত্য বিস্তারের সময় তাঁরই এক পূর্বপুরুষের ইনক্যুইজিশনের নামের কৃত একটি মহাপাপের ইতিবৃত্ত। শোনেন তজ্জনিত এক ভয়াল অভিশাপের কথা, যার জন্যে আজ তাঁর প্রাণাধিক প্রিয় মাতৃহারা সন্তানটি মৃত্যুশয্যায়। কী হলো তারপর? আমোনা গ্রামের বেতালমন্দিরের সামনে কীভাবে মিলে গেল পাঁচশো বছরের ব্যবধানে ঘটে যাওয়া কাহিনির সূত্র?

কীভাবে বাংলার অক্সফোর্ড নবদ্বীপের এক বিস্মৃতপ্রায় মহাপণ্ডিত কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ হয়ে উঠলেন বিভিন্ন কালখণ্ডে ধৃত এই সমগ্র কাহিনিমঞ্জরীটির একমাত্র তন্ত্রধারক?
আসুন পাঠক, প্রবেশ করি সেই গহিন অরণ্যে, শুধু মনে রাখবেন একটি মাত্র মন্ত্র, ভালোবাসাই হল সবচেয়ে বড় তন্ত্র, সবচেয়ে বড় যাদু।

লেখক পরিচিতি:

অভীক সরকার

এবং ইনকুইজিশন বইটি সম্পর্কে পাঠকদের মন্তব্য।

Avishek Bhattacharjee বলেছেন: আমি একটা বই পড়ার উদ্দেশ্যে হিসেবে দেখি চিন্তার রসদ। সাধারণত ভৌতিক কিংবা থ্রিলার গল্পে চিন্তার রসদ কমই পাই আমি। থাকে শুধু এন্টারটেইনমেন্ট।
এসব দিক থেকে বললে এবং ইনকুইজেশন একটা ব্যতিক্রমী বই। বইটা গল্পের। কয়েকটা ভৌতিক অথবা বলা চলে তান্ত্রিক প্লট নিয়ে গল্পগুলা লিখিত। চারটা গল্প আছে বইটিতে।
শোধ
রক্তফলক
ভোগ
এবং ইনকুইজেশন
সবগুলো গল্পই বেশ ভাল। মুলত যাদুবিদ্যা আর অভিশাপ নিয়ে, কিন্তু ভারতীয় দর্শন আর তান্ত্রিকতা নিয়ে গঠন করা হয়েছে গল্পগুলো। বাংলা সাহিত্যে বিভূতিভূষণ যে ধারা তুলে দিয়ে গিয়েছেন সেটা পরবর্তী লেখকরা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন ভাল করেই। আমি শুরুতেই চিন্তার রসদের কথা বলেছিলাম। এই রসদ হল তন্ত্র নিয়ে৷ আগে তন্ত্র সম্পর্কে ভুল ধারনা ছিল আমার৷ সেই সাথে বুদ্ধ ধর্ম নিয়েও। তন্ত্রে বুদ্ধ ধর্মের এত বেশী influence আছে আগে জানতাম নাহ। আর বলতে গেলে তন্ত্রসাধনা বুদ্ধ ধর্মের মহাজান শাখা এবং সেখান থেকে তিব্বতের বজ্রযান হয়ে পরিপূর্ণতা লাভ করছে। এসব তথ্য আমাকে ব্যাপক নাড়া দিয়েছে। আর একটা দিক না বললেই নয়, লেখকের গল্পের গন্ডি শুধু ভারত, হিন্দু/বুদ্ধ ধর্মই নয় বরং ইউরোপ আর খ্রিস্টান ধর্মকেও ছুয়ে গিয়েছে।
এবার মনে হচ্ছে বুদ্ধ ধর্ম নিয়ে পড়ার সময় চলে এসেছে।

Aishu Rehman বলেছেন: পাক্কা কয়েকটা ঘন্টা পর মর্ত্যে ফিরে আসলাম।

Farhana Sultana বলেছেন: “সবসময় মনে রাখবেন, ভালোবাসাই হলো সবচেয়ে বড় তন্ত্র, সবচেয়ে বড় যাদু…”
______________________
এই একটা লাইনই বোধহয় যথেষ্ট এই বইটাকে পছন্দ করার জন্য। অসংখ্য পজিটিভ রিভিউ দেখে দেখে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলাম কবে এই বইটা পড়ার সুযোগ পাবো।
যখন সুযোগ পেলাম আর দেরী করিনি পড়া শুরু করতে। কিন্তু দ্বিতীয় গল্পে গিয়ে থেমে যেতে হয় নানা ঝামেলার কারণে। এর মধ্যে আরও অনেক হালকা ধাঁচের বই পড়ে শেষ করেছি। কিন্তু এটা আর ধরা হচ্ছিলো না। একটাই কারণে, এই বইটাকে আমি শান্ত, ধীরস্থিরভাবে, সময় নিয়ে পড়তে চেয়েছিলাম। সেই সময়টা করে ওঠা যাচ্ছিলো না।
তবে যাইহোক, এইবার সেই সময়টা মিলে গেলো। কাল থেকে একটানা পড়ে আজ শেষ করলাম।
এবং আমি অভিভূত…

Mahrufa Mery বলেছেন: ভালোই লেগেছে। বৌদ্ধ ও হিন্দু ধর্মমতের তন্ত্র সাধনা নিয়ে লেখা মোট ৪ টা গল্প আছে। শেষ গল্পে আবার ক্রিশ্চিয়ান মতের তন্ত্রসাধনার ব্যাপারে উল্লেখ আছে। বেশ পড়াশোনা করে খেটে গল্পগুলো বানানো হয়েছে, শেষে আবার তথ্যসূত্র দেয়া রয়েছে, সেটা বেশ ভাল ব্যাপার যার কারনে নতুন তথ্য জানা যায়৷ প্রতি গল্পের একজন কমন ত্রানকর্তা রয়েছেন, এভাবে আরো লিখে গেলে সিরিজ হিসেবে দাড় করানো সম্ভব। আহামরি আনকমন গল্পের প্লট নয় তবুও পড়তে খারাপ লাগেনা। আসল রেটিং সাড়ে তিন তারা। কেউ জিগেশ করলে বলব পড়তে পারো/পারেন।

Ahmed Aziz বলেছেন: তন্তসাধণা নিয়ে ফিকশনে যেকোনো বিচারেই এই বই একটা মাইলফলক। এরসাথে ভাষা, কাহিনি, বর্ণনা, ঠগী, কমান্ডো অপারেশন, তন্ত্রের ইতিহাস আর দুর্ধর্ষ সব ইলাস্ট্রেশন মিলে একদম বাঁধিয়ে রাখার মত পড়ার অভিজ্ঞতা। পিশাচসিদ্ধ তান্ত্রিক ঠগীর শবসাধনা, বৌদ্ধ বজ্রযানের দেবী বজ্রবারাহী, ছিন্নমস্তা, তিব্বতি দেবী মাতঙ্গী, পিশাচী ডামরী আর ভয়ানক মহাবেতালের এই মানের দুর্ধর্ষ কাহিনি আর গ্রাফিক বর্ণনা বাংলা সুপারন্যাচারাল ফিকশনে আর নেই বললেই চলে।

এবং ইনকুইজিশন বইটি pdf download করুন নিচের লিংক থেকে

download 2Bbutton

প্রিয় পাঠক এবং ইনকুইজিশন বইটি pdf download করতে আমরা কখনোই আপনাদের উৎসাহীত করছি না। আমাদের অনুরোধ থাকবে এবং ইনকুইজিশন বইটি আপনার নিকটস্থ লাইব্রেরী অথবা অনলাইন বইয়ের দোকান থেকে হার্ডকপি ক্রয় করুন এতে করে সম্মানিত লেখকগন তাদের লেখার প্রতি আরো উৎসাহিত হবেন।

আর হ্যা বন্ধুরা আপনারা চাইলেই বইটি এই অনলাইন শপ গুলো থেকে খুব সহজেই ক্রয় করতে পারবেন।

রকমারি: 

Leave a Comment