কারাগারের রোজনামচা pdf download। ভাষা আন্দোলন বঙ্গবন্ধু শুরু করেন ১৯৪৮ সালে । ১১ই মার্চ বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেয়ার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন এবং গ্রেফতার হন । ১৫ই মার্চ তিনি মুক্তি পান। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে সমগ্ৰ দেশ সফর শুরু করেন। জনমত সৃষ্টি করতে থাকেন। প্রতি জেলায় সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোলেন । ১৯৪৮ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর তৎকালীন সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে ফরিদপুরে গ্রেফতার করে। ১৯৪৯ সালের ২১শে জানুয়ারি মুক্তি পান। মুক্তি পেয়েই আবার দেশব্যাপী জনমত সৃষ্টির জন্য সফর শুরু করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের দাবির প্রতি তিনি সমর্থন জানান এবং তাদের ন্যায্য দাবির পক্ষে আন্দোলনে অংশ নেন । সরকার ১৯৪৯ সালের ১৯শে এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে । জুলাই মাসে তিনি মুক্তি পান । এইভাবে কয়েক দফা গ্রেফতার ও মুক্তির পর ১৯৪৯ সালের ১৪ই অক্টোবর আর্মানিটােলা ময়দানে জনসভা শেষে ভুখা মিছিল বের করেন। দরিদ্র মানুষের খাদ্যের দাবিতে ভুখা মিছিল করতে গেলে আওয়ামী লীগের সভাপতি মওলানা ভাসানী, সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্রেফতার হন ।
বর্তমান বইটার নাম ছোট বোন রেহানা রেখেছে-‘কারাগারের রোজনামচা’ । এতটা বছর বুকে আগলে রেখেছি যে অমূল্য সম্পদ-আজ তা তুলে দিলাম বাংলার জনগণের হাতে । ড. ফকরুল আলমের অনুবাদ করে দেওয়া ইংরেজি সংস্করণের কাজ এখনও চলছে।
তার জীবনের এত কষ্ট ও ত্যাগের ফসল আজ স্বাধীন বাংলাদেশ । এ ডায়েরি পড়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ তাদের স্বাধীনতার উৎস খুঁজে পাবে।
- বই: কারাগারের রোজনামচা (১৯৬৬ থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর জেল-জীবনচিত্র)
- লেখক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
- ক্যাটাগরি: ডায়েরি ও চিঠিপত্র সংকলন
- ভাষা: বাংলা
- ফরম্যাট: Free Download (ফ্রি ডাউনলোড)
- প্রকাশনী: বাংলা একাডেমি
- প্রকাশকাল: ২০১৭
- মোট পেজ: ৩৩৩ টি
- ফাইল সাইজ: ১৫.০১ এম্বি
কারাগারের রোজনামচা pdf বইয়ের প্রথম কিছু অংশ পড়ুন।
‘কারাগারের রোজনামচা’ বইয়ের ভিতরের লেখা:
বইটার নাম ছোট বোন রেহানা রেখেছে-‘কারাগারের রোজনামচা’।
এতটা বছর বুকে আগলে রেখেছি যে অমূল্য সম্পদ-আজ তা তুলে দিলাম বাংলার জনগণের হাতে। ১৯৬৬ সাল থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত বন্দি থাকেন। সেই সময়ে কারাগারে প্রতিদিনের ডায়েরি লেখা শুরু করেন। ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত লেখাগুলি এই বইয়ে প্রকাশ করা হলাে। একই সাথে আর একটি খাতা খুঁজে পাই-তারও ইতিহাস রয়েছে। ১৯৫৮ সালের ৭ই অক্টোবর আইয়ুব খান মার্শাল ল জারি করে ১২ই অক্টোবর আব্বাকে গ্রেফতার এবং তাঁর রাজনীতি নিষিদ্ধ করে দেয়। এরপর ১৯৬০ সালের ডিসেম্বর মাসে যখন কারাগার থেকে মুক্তি পান তখন তাঁর লেখা খাতাগুলির মধ্যে দুইখানা খাতা সরকার বাজেয়াপ্ত করে।
‘কারাগারের রোজনামচা’ বইয়ের ফ্ল্যাপে লেখা কথা
ভাষা আন্দোলন থেকে ধাপে ধাপে স্বাধীনতা অর্জনের সোপানগুলি যে কত বন্ধুর পথ অতিক্রম করে এগুতে হয়েছে তার কিছুটা এই কারাগারের রোজনামচা বই থেকে পাওয়া যাবে। স্বাধীন বাংলাদেশ ও স্বাধীন জাতি হিসেবে মর্যাদা বাঙালি পেয়েছে যে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে, সেই সংগ্রামে অনেক ব্যথা-বেদনা, অশ্রু ও রক্তের ইতিহাস রয়েছে। মহান ত্যাগের মধ্য দিয়ে মহৎ অর্জন করে দিয়ে গেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ।
বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চেয়েছেন; ক্ষুধা, দারিদ্র্য থেকে মুক্তি দিতে চেয়েছেন। বাংলার শোষিত বঞ্চিত মানুষকে শোষণের হাত থেকে মুক্তি দিয়ে উন্নত জীবন দিতে চেয়েছেন।
বাংলার মানুষ যে স্বাধীন হবে এ আত্মবিশ্বাস বারবার তাঁর লেখায় ফুটে উঠেছে। এত আত্মপ্রত্যয় নিয়ে পৃথিবীর আর কোনো নেতা ভবিষ্যদবাণী করতে পেরেছেন কিনা আমি জানি না ।
– শেখ হাসিনা
লেখক পরিচিতি:
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি ও বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু একজন আদর্শ দেশনেতা ও রাজনীতিবিদই নন, তাঁর ছিলো উল্লেখযোগ্য সাহিত্য প্রতিভা। বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে পরিণত করতে যিনি সবচেয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, যার ফলে তাঁকে অভিহিত করা হয়ে থাকে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি হিসেবে। মহান এই ব্যক্তির জন্ম ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে। তাঁর শৈশব কেটেছে গোপালগঞ্জেই, যার ফলে শিক্ষাজীবনের সূত্রপাতও সেখানে। ১৯৪২ সালে গোপালগঞ্জ মিশনারি স্কুল থেকে তিনি ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন। স্কুল-কলেজের লেখাপড়া শেষ করে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন, কিন্তু ছাত্র রাজনীতি ও বিভিন্ন ছাত্র আন্দোলনের সাথে গভীরভাবে জড়িয়ে যাওয়ায় তিনি আর পড়ালেখা শেষ করতে পারেননি। পাকিস্তান আমলে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষার্থে তিনি নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেন, যার ফলে সরকারের রোষানলে পড়েন। রাজনৈতিক কারণে তিনি দিনের পর দিন জেল খেটেছেন। এমনকি স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরুর প্রারম্ভে তাঁকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানে নিয়ে গিয়ে জেলে আটকে রাখা হয়। এরপর দেশ স্বাধীন হলে দেশে ফিরে এসে তিনি দেশের শাসনভার গ্রহণ করেন এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। এতকিছুর পরও বঙ্গবন্ধু সাহিত্যকর্মে অংশ নিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর বই ২টি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর বই সমূহ মূলত আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ। ‘কারাগারের রোজনামচা’ ও ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ এই দুটি বই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর বই সমগ্র এর অন্তর্ভুক্ত। এই দুটি বই-ই প্রকাশিত হয়েছে তাঁর মৃত্যুর পর, তাঁর কন্যা শেখ হাসিনার উদ্যোগে। বঙ্গবন্ধু নিজে তেমন বই রচনা না করলেও তাঁকে নিয়ে রচিত হয়েছে অসংখ্য বই। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা বই এর মধ্যে শেখ হাসিনার লেখা ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’, পীর হাবিবুর রহমানের ‘পোয়েট অব পলিটিক্স’, ফারুক চৌধুরীর ‘স্মরণে বঙ্গবন্ধু’, এম আর আখতার মুকুলের ‘মুজিবের রক্ত লাল’, শেখ শাহাদাতের ‘বিপ্লবী নেতা শেখ মুজিব’ ইত্যাদি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা কতিপয় সেনাসদস্যের হাতে নিজ বাসভবনে সপরিবারে নিহত হন।
কারাগারের রোজনামচা বইটি সম্পর্কে পাঠকদের মন্তব্য।
maruf morshed বলেছেন: অনেকে আজ হাতে মাইক পেলেই বঙ্গবন্ধুকে দেবতার আসনে বসান। অথচ বঙ্গবন্ধু একজন রক্তমাংসের মানুষ ছিলেন। তারও সংসার ছিল-রাসেল তার গলায় ঝুলে পড়ত। ৭ই মার্চের বঙ্গবন্ধু একদিনে তৈরি হন নি। জীবনের অনেকসময় তিনি কাটিয়েছেন জেলে জেলে। থালা বাটি কম্বল যার জেল খানার সম্বল ছিল।
ভূমিকা দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বইতে আছে জেলখানা সম্পর্কে সাধারণ ধারণা, যার অনেকই হয়তো এখন বদলে গিয়েছে। আওয়ামী নেতাদের জেলের দিনগুলি, ছয়দফার জন্য তাদের ত্যাগ, তার পাশের পাগলা গারদ সেলের সুখ দুঃখ। তার একাকীত্বের সঙ্গী হলুদ পাখি, মুরগী গুলো, তার যত্নের বাগান। সযত্নে বলেছেন কাকের বাসার বিরুদ্ধে তার যুদ্ধের কথা-হেহে।
“অসমাপ্ত আত্মজীবনী বাঙ্গালি জাতির অধিকার আদায়ের সংগ্রামের পথপ্রদর্শক, ভাষা আন্দোলন থেকে ধাপে ধাপে স্বাধীনতা অর্জনের সোপানগুলি যে কত বন্ধুর পথ অতিক্রম করে এগিয়ে যেতে হয়েছে এর কিছুটা এই কারাগারের রোজনামচা বইতে পাওয়া যাবে”
সাহিত্যিক বিচারে অসমাপ্ত জীবনী হয়তো অনেক ভালো মনে হবে। সেখানে আছে হাসি কান্না, মজার নানা কাহিনী। তবে ছয় দফার মত ঐতিহাসিক ভিত্তিতে কারাগারের রোজনামচা সংগ্রহে রাখার মত।
জেলখানার আত্মিক বিবরণ আছে বইটিতে। মনের মধ্যে ঢাকা জেলখানা ঘুরে আসার ইচ্ছা জাগতে পারে এই বইটি পড়লে। যে কল্পনার সাথে মিলিয়ে নেই-আরে ওই তো ওইখানে বঙ্গবন্ধু থাকতেন, ঐখানে বসতো হলুদ পাখি, তার সামনের বাগান। বঙ্গবন্ধু বসে বসে খিচুড়ি রান্না করছেন-পরে মুরগীর মাংস দিয়ে বিলিয়ে দিচ্ছেন সবার মাঝে। অথচ তিনিও বন্দী। অদূরে হাসপাতালের দিকে তাকিয়ে তিনি নজর বিনিময় করতেন। জেলখানা কর্তৃপক্ষ কি সেই সুযোগ করে দিবে? জায়গা-মত বঙ্গবন্ধু এর উক্তি গুলো একে দিয়ে খুব সুন্দর ঐতিহাসিক মোহ তৈরি করবার সুযোগ কিন্তু আছে। কারাগারকে আপনি তখন দেখবেন অন্য চোখে। সবার আত্মত্যাগেই যে আজকের এই স্বাধীনতা-তাদের কথা ভাববার সুযোগ মিলবে তখন।
Mahbub Zaman বলেছেন: মাটি ও মানুষের প্রতি নির্ভেজাল ভালোবাসার দলিল কারাগারের রোজনামচা। তাঁর কন্যা শেখ হাসিনার তত্ত্বাবধায়নে শেষ পর্যন্ত যে বইটি বাংলা একাডেমি প্রকাশ করেছে তার ঐতিহাসিক মূল্য অপরিসীম। যুগে যুগে তাঁর এই ত্যাগের কথা, মানুষের প্রতি ভালোবাসার কথা আমাদের দেশে এবং সারাবিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের অনুপ্রেরণার উত্স হয়ে থাকবে। সংযোজনীতে ছয়-দফা, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ, টীকা, নির্ঘণ্ট বইটির সম্পাদনায় পেশাদারিত্ব ও আধুনিকতা স্পষ্টতই ফুটে উঠেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের দিন বলেছেন যে, এই বইয়ের পাতায় পাতায় সাধারণ মানুষের দুঃখ ও গ্লানি ঘোচানোর যে আকুতি রয়েছে তার আলোকেই তিনি স্বদেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। গরিব, দুঃখী মানুষের মঙ্গল চিন্তাই হবে তাঁর সকল নীতির মূল কথা। সেটাই স্বাভাবিক। মানুষকে যে বঙ্গবন্ধু কতোটা ভালোবাসতেন তা এই বই পড়ে যেমন বোঝা যায়, তেমনি তাঁর ভাষণগুলো পড়লেও অনুভব করা যায়।
Shariful Alam বলেছেন: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের একটি বড় অংশ কেটেছে কারাগারে। ছয় দফা দাবি তোলার আগে ও পরে যখন বঙ্গবন্ধুকে বারবার কারাগারে যেতে হচ্ছে, তখন তাঁর ছোট ছেলে শেখ রাসেল দুধের শিশু। বঙ্গবন্ধুর কারাজীবন পরিবারের অন্যদের কাছে স্বাভাবিকের মতো হলেও রাসেলের জন্য এটি ছিল একেবারেই নতুন অভিজ্ঞতা। ১৮ মাসের অবুঝ শিশুটি ধরেই নিয়েছিল যে কারাগারই ‘আব্বার বাড়ি’। বাবা থেকেও নেই, তাই মাকেই আব্বা ডাকা শুরু করেছিল ছেলেটি।
বঙ্গবন্ধুর কারাজীবনের একটি অধ্যায় প্রকাশিত হয়েছে তাঁর নতুন বই কারাগারের রোজনামচায়, যে সময়টাতে রাসেলের বয়স ১-২ বছর। ১৯৬৬ সালে ঐতিহাসিক ছয় দফা উত্থাপনের পর ওই বছরের প্রথম তিন মাসে ঢাকা, চট্টগ্রাম, যশোর, ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা, পাবনা, ফরিদপুর থেকে আটবার গ্রেপ্তার হন ও জামিন পান তিনি। এরপর মে মাসে আবার গ্রেপ্তার হন। তাঁর ওই সময়ের বন্দিজীবনের দিনলিপি হচ্ছে কারাগারের রোজনামচা। বইটির নাম দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ রেহানা।
বইটির ভূমিকায় বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লিখেছেন, ভাষা আন্দোলন থেকে ধাপে ধাপে স্বাধীনতা অর্জনের সোপানগুলো যে কত বন্ধুর পথ অতিক্রম করে এগোতে হয়েছে, তার কিছুটা এই বই থেকে পাওয়া যাবে। তিনি লিখেছেন, ‘বাংলার মানুষ যে স্বাধীন হবে এ আত্মবিশ্বাস বারবার তাঁর (বঙ্গবন্ধু) লেখায় ফুটে উঠেছে। এত আত্মপ্রত্যয় নিয়ে পৃথিবীর আর কোনো নেতা ভবিষ্যদ্বাণী করতে পেরেছেন কি না আমি জানি না।’
বঙ্গবন্ধুর এই বইয়ে শুধু কারাগারের চিত্রই নয়, ফুটে উঠেছে সমসাময়িক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আওয়ামী লীগের অবস্থা, পাকিস্তান সরকারের একনায়কোচিত মনোভাব ও অত্যাচার-নির্যাতনের নানা চিত্র। ফুটে উঠেছে একজন বন্দী বাবার আকুতি, অবুঝ সন্তানের ভালোবাসা। দেশ ও মানুষের জন্য বঙ্গবন্ধুর ভাবনা, রাজনৈতিক দর্শন। বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত বইটি গতকাল শুক্রবার থেকে পাওয়া যাচ্ছে।
jifat hossen babu বলেছেন: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা দুটি বই এখন পর্যন্ত বেরিয়েছে। এগুলো তো বই হিসেবে লেখা নয়, তাঁর ডায়েরি, তাঁর মনের কথা। কারাগারে বসে লেখা, তাই সব কথা যে তিনি খোলাখুলি লিখতে পেরেছিলেন, তাও মনে হয় না। মনে রাখতে হবে, তিনি পাকিস্তানি শাসকদের কারাগারে বসে এই ডায়েরি লিখেছেন। তারপরেও তিনি যেসব কথা লিখেছেন, তা যেকোনো স্বৈরশাসকের হৃৎপিণ্ড স্তব্ধ করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
আমি বারবার করে বলব, আমাদের সবার বঙ্গবন্ধুর বই দুটো পড়া উচিত। এ ছাড়া তিনি যেসব কথা বলতেন, যে বক্তৃতা দিয়েছেন, যে জীবন যাপন করেছেন, তা থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। আজকের বহু সমস্যার সমাধান বঙ্গবন্ধুর লেখায়, কথায়, আদর্শের মধ্যে নিহিত রয়েছে। আমাদের শুধু বঙ্গবন্ধুর দিকনির্দেশনাটা গ্রহণ করতে পারতে হবে।
A MAHMUD বলেছেন: মাঝে মাঝেই বইটা স্টক আউট হয়ে যায়। প্রকাশনী থেকেও ছাপা কপি শেষ হয়ে যায় প্রায়ই। তারপর আবার রিপ্রিন্ট দিতে হয়। এভাবেই চলছে ২০১৭ সাল থেকে।
খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রিয় নেতার লেখা বইটি সবসময়ই বেস্টসেলার লিস্টের প্রথমদিকে থাকে। কারণ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে আগ্রহ তাঁর জীবন নিয়ে জানার আগ্রহ বাঙালীর সারাজীবন থাকবে।
আর সেই জায়গা থেকেই আপনার আমার আমাদের সবার পড়া উচিত কারাগারের রোজনামচা বইটি। যেখানে শুধু নেতা শেখ মুজিব নয় আছেন ব্যক্তি শেখ মুজিবের কথা, আছে জেল জীবনের কথা, জীবন সংগ্রামের কথা…
বইটি আজই কিনে পড়ে ফেলুন,অন্যদের গিফট করুন।
কারাগারের রোজনামচা বইটি pdf download করুন নিচের লিংক থেকে।
প্রিয় পাঠক কারাগারের রোজনামচা বইটি pdf download করতে আমরা কখনোই আপনাদের উৎসাহীত করছি না। আমাদের অনুরোধ থাকবে কারাগারের রোজনামচা বইটি আপনার নিকটস্থ লাইব্রেরী অথবা অনলাইন বইয়ের দোকান থেকে হার্ডকপি ক্রয় করুন এতে করে সম্মানিত লেখকগন তাদের লেখার প্রতি আরো উৎসাহিত হবেন।
আর হ্যা বন্ধুরা আপনারা চাইলেই বইটি এই অনলাইন শপ গুলো থেকে খুব সহজেই ক্রয় করতে পারবেন।
রকমারি: https://www.rokomari.com/book/133377/karagarer-rojnamcha