আদর্শ হিন্দু হোটেল pdf download

আদর্শ হিন্দু হোটেল pdf download করে বইটি আজই পড়ে ফেলুন। এক নিমিষে শেষ করার মত একটা বই। পড়ে অনেক ভাল লাগছে । বিভূতিভূষণ বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়ের যে বইটি ই পড়ি,তাতেই অভিভূত হয়ে যাই। “আদর্শ হিন্দু হোটেল” তেমনি একটি বই। উপন্যাসটির মূল চরিত্র হলেন হাজারি ঠাকুর,যিনি একজন রাঁধুনি বামুন। কাহিনীর শুরুতে তাকে দেখা যায় যে,রানা ঘাটে রেল স্টেশনের নিকটে বেচু চক্কোত্তির হোটেলে মাসিক সাত টাকা বেতনে রাঁধুনির চাকরি করতে।

বই: আদর্শ হিন্দু হোটেল

লেখক: বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়

ক্যাটাগরি: উপন্যাস

ভাষা: বাংলা

ফরম্যাট: Free Download (ফ্রি ডাউনলোড)

প্রকাশনী: মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স প্রাঃ লিঃ (ভারত)

প্রকাশকাল: ১৪ তম, ২০১২

মোট পেজ: ১৫১ টি

ফাইল সাইজ: ৮৩৩ কেবি

 

আদর্শ হিন্দু হোটেল pdf download

 

হাজারি দেবশর্মা, উপাধি চক্রবর্তীরাণাঘাটের বেচু চক্রবর্তীর হোটেলের রাঁধুনি। শুধু তার হাতের রান্না খাবার জন্যই মানুষ দূর দূরান্ত থেকে এসে বেচু চক্রবর্তীর হোটেলে খায়। কিন্তু হাজারির ভাগ্যে জোটে কেবলই গঞ্জনা। তাই তো সে স্বপ্ন দেখে নিজের হোটেলে। কোনরকম সঞ্চয় না থাকা সত্ত্বেও স্বপ্ন দেখার সাহস ছিল তাঁর। স্বপ্ন, সততা, একাগ্রতা আর মানুষের ভালবাসা নিয়ে সে শেষ পর্যন্ত হয়েছিলেন একজন সফল হোটেল মালিক। সামান্য হোটেল রাঁধুনি থেকে হোটেলের মালিক হবার চমকপ্রদ কাহিনী আদর্শ হিন্দু হোটেল যদিও বিভূতিভূষণ উপন্যাসই লিখেছেন কিন্তু তবুও বইটা উদ্যোক্তাদের জন্য হতে পারে টোটকা স্বরূপ। জিরো থেকে হিরো হবার ভ্রমণটা কেমন হতে পারে জানা হয়ে যাবে উপন্যাসের আদলে।

 

আরও পড়ুন:  তুমিও জিতবে Pdf Download এলন মাস্ক সম্পর্কে ১০ টি অজানা তথ্য
 

 

লেখক পরিচিতি:

 

বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম পথিকৃৎ বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ কিছু কালজয়ী উপন্যাস রচনার মাধ্যমে জয় করে নিয়েছেন বাংলা ভাষাভাষী পাঠকদের হৃদয়। শুধু উপন্যাসই নয়, এর পাশাপাশি তিনি রচনা করেছেন বিভিন্ন ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনী, দিনলিপি ইত্যাদি। প্রখ্যাত এই সাহিত্যিক ১৮৯৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগণা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন, তবে তাঁর পৈতৃক নিবাস ছিল যশোর জেলায়। অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র হিসেবে তিনি শিক্ষাজীবন অতিবাহিত করেন, যার প্রমাণ পাওয়া যায় তাঁর প্রথম বিভাগে এনট্রান্স ও আইএ পাশ করার মাধ্যমে। এমনকি তিনি কলকাতার রিপন কলেজ থেকে ডিস্টিংশনসহ বিএ পাশ করেন। সাহিত্য রচনার পাশাপশি তিনি শিক্ষকতার মাধ্যমে কর্মজীবন অতিবাহিত করেন। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় এর বই সমূহ এর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হলো পথের পাঁচালী‘, যা দেশ ছাড়িয়ে বিদেশের মাটিতেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হওয়ার মাধ্যমে। এই উপন্যাস অবলম্বনে চলচ্চিত্র নির্মাণ করে প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায় অর্জন করেছেন অশেষ সম্মাননা। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় এর বই এর মধ্যে আরো উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো আরণ্যক‘, ‘অপরাজিত‘, ‘ইছামতি‘, ‘আদর্শ হিন্দু হোটেল‘, ‘দেবযানইত্যাদি উপন্যাস, এবং মৌরীফুল‘, ‘কিন্নর দল‘, ‘মেঘমল্লারইত্যাদি গল্পসংকলন। ১০ খণ্ডে সমাপ্ত বিভূতি রচনাবলী হলো বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় এর বই সমগ্র, যেখানে প্রায় সাড়ে ছহাজার পৃষ্ঠায় স্থান পেয়েছে তার যাবতীয় রচনাবলী। খ্যাতিমান এই সাহিত্যিক ১৯৫০ সালের নভেম্বর বিহারের ঘাটশিলায় মৃত্যুবরণ করেন। সাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি মরণোত্তর রবীন্দ্র পুরস্কারেভূষিত হন।

 

আদর্শ হিন্দু হোটেল বইটি সম্পর্কে পাঠকদের মন্তব্য

Aam somik বলেছেন :বিভুতিভুষন বন্দোপাধ্যায় এর আদর্শ হিন্দুহোটেলউপন্যাসটি অসাধারন একটি উপন্যাস হিসেবে বাংলা সাহিত্যে অমর হয়ে আছে।উপন্যাসটির মুল কাহিনী হল,ছেচল্লিশ বছরের এক প্রৌঢ় হাজারি ঠাকুর, যিনি তার রন্ধন বিদ্যাকে নিয়ে গেছিলেন শিল্পের পর্যায়ে। সময়ের প্রয়োজনে জীবনের চাহিদায় রানাঘাটের স্টেশনের নিকটে বেচু চক্রবর্তীর হোটলে মাত্র সাত টাকা মাহিনায় চাকুরী নেয় হাজারী ঠাকুর। শুরু থেকেই হোটেলে চাকরাণী কিন্তু মালিকের বিশেষ পাত্র পদ্মা ঝি হাজারি ঠাকুরের উপর হাজারি ঠাকুরের উপর মিথ্যে রোষের প্রবাহে তার জীবনে শ্রীহীন করে তোলে। হাজারি ঠাকুরের রান্নার গুনেই বেচু চক্রবর্তীর হোটলে সমগ্র রাণাঘাটে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। যে একবার হাজারি বামুনের রান্না খেয়েছে সে আর এই হোটেলে ফিরে না এসে পারেনি। আর হাজারি এই পেশাদার গুনটুকু পদ্মা ঝি কখনো মেনে নিতে পারেনি। বিষবাক্য তার মুখে সর্বদা হাজারির জন্য বরাদ্ধ থাকিত। হাজারি অপদস্থ করার কোন সুযোগ সে ছাড়ত না, এমনকি হোটেলে বাসন চুরি গেলে মালিককে প্রভাবিত করে তাকে জেলে পর্যন্ত পাঠাতে তার এতটুকু বিকেক দংশিত হয় না। কিন্তু হাজারি এমন একজন চরিত্র যে আধারের মাঝের মৃদু কিরণের রেখাকে সমগ্র অন্ধকারের নিকট তুচ্ছ করে দেখে। পদ্ম ঝিকে হাজারি কখনো ঘৃণা করেনি, তার প্রাপ্র সন্মান টুকু তাকে হাসিমুখে দিয়েছে আজীবন। আপাত দৃষ্টিতে পদ্মা ঝি এই উপন্যাসের খল চরিত্র হলেই তার কুট এবং ঈর্ষান্বিত ব্যবহার পরবর্তীতে হাজারির কর্ম জীবনের ক্ষেত্রে বিশেষ প্রভাব রেখেছিল। দীর্ঘসময় হোটেলে কাজ করার দরূন হাজারি একদিন স্বপ্ন দেখতে শুরু করে তার নিজের একখানা হোটেল হবে যেখানে সে সততা, নিষ্ঠা আর রন্ধনগুনে তার গ্রাহকের আগলে রাখবে। তার স্ত্রী কন্যা টেপির আজীবন অভাব কিন্তু অভিযোগহীন মুখে হাসির ছোয়া বুলিয়ে দেবে মেয়েকে তার সাথে কাজ করে বংশীর ভাগ্নের সাথে বিয়ে দিয়ে ওদের হাসিমুখ দুটো দেখবে। হোটেল খুললে বেচু চক্রবর্তীর হোটেলের মত অসৎ উপায় অবলম্বন করবে না কখনো। কোন গ্রাহক কে অভুক্ত অবস্থায় ফিরে যেতে দেবে না। তার অর্থ দেবার সামর্থ্য থকুক আর নাই থাকুক। স্বপ্নগুলোকে ছুতে দেখতে বড় সাধ হয় হাজারির আর হোটেলের নাম দিবে হাজারি চক্রবর্তীর আদর্শ হিন্দু হোটেল কিন্তু হাজারি তো গরীব বামন। হোটেল খোলার এতো অর্থ সে কোথা থেকে পাবে? রানাঘাটের তার এক ধর্মের মেয়ে হাজারিকে নিজের পিতার মত ভক্তি করে তার শেষ অবলম্বন দুই শো টাকা দিতে আগ্রহ করে হোটেল খোলার জন্য ? হাজারি কি গরীবের এই টাকা নিতে পারবে? নিলে বাকী টাকাও বা কোথা থেকে আসবে?জানতে পড়ে ফেলুন এই বইটি।এই উপন্যাসটি সততা থেকে সামর্থ্য আর সামর্থ্য থেকে সাফল্যের গল্প। মানুষ যখন তার সততা, কর্মনিষ্ঠা, অধ্যাবসায় এবং অবশ্যই স্বপ্নকে নিয়ে এগিয়ে চলে তখন তার বিশ্বাস বাস্তবে রূপ নিয়ে সব সাধনার স্বীক্ররতি দেয়। বয়স মানুষকে বৃদ্ধ করে না কর্ম বিমুখতা, অবিশ্বাস আর স্বপ্নের শূন্যতা যেদিন জীবনে ভর করে সেদিন মানুষের জীবনে প্রকৃত অর্থে বার্ধক্য আসে।বইটি পড়ে আমার অসাধারন লাগছে।আশাকরি যারা বইটি পড়বেন তাদের কাছে অবশ্যই ভাল লাগবে।

 

Tasfia Promy বলেছেন : আদর্শ হিন্দু হোটেল :”আদর্শ হিন্দু হোটেল, ১৯৪০ সালে তৎকালীন সময়ের পটভূমিতে রচিত বিভূতিভূষণের একটি বিখ্যাত উপন্যাস। এ উপন্যাস তৎকালীন ব্রাহ্মণ সমাজের একজন পয়তাল্লিশার্ধো রাঁধুনি বামুণহাজারির জীবনকাহিনী! রাণাঘাটের রেলবাজারে বেচু চক্কত্তির আদর্শ হিন্দু হোটেল,বিখ্যাত হোটেল।বহুকাল ধরেই এই হোটেলে রাঁধুনি বামুণের কাজ করেন হাজারী ঠাকুর, তাঁর বাড়ি এঁড়োশোলা গ্রামে, যেখানে থাকেন তাঁর স্ত্রী, মেয়ে টেঁপি আর ছেলে খোকা।মাস অন্তে সাত টাকা আর দুইবেলা আহার পেতেন হোটেল থেকে। রাতে হোটেলেই ঘুমাতেন। এঁড়োশোলা থেকে কাজের সন্ধানে ঘুরতে ঘুরতে আসেন রাণাঘাট, এসে বেচু চক্কত্তির হোটেলে কাজ শুরু করছেন পাঁচ বছর ধরে। খুব বেশি না হলেও, বেচু চক্কত্তির আদর্শ হিন্দু হোটেল, এখনকার এই আয়উন্নতির পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান ছিল হাজারী ঠাকুরেরই।তখন তাঁর মত রান্নার বামুণ রাণাঘাটে আর কেউ ছিলনা। যারা একবার তার হাতের রান্না খেয়েছেন, তারা বারবার এসেছে্ন তার রান্না খাওয়ার জন্য। হোটেলের একজনই তাকে দেখতে পারতোনা, পদ্ম ঝি, হাজারী ঠাকুরের পদ্মদিদি। এই পদ্মঝির হোটেলের সর্বেসর্বা।এমনকি বেচু চক্কত্তিও তার কথার ওপরে কথা বলতে পারেননা, অথবা কোন কারণে বলেননা। এই বেচু চক্কত্তির কাছেই হাজারী ঠাকুর সম্পর্কে বহু মিথ্যাচার করে তাকে অপদস্থ করে, পদ্মঝি পদেপদে হাজারী ঠাকুরকে অপমান করেন রোজ, কিন্তু এসব নিয়ে হাজারী ঠাকুরের কোনো মাথাব্যাথা কিংবা অভিযোগ নেই, সব মিথ্যা অপবাদ সে মুখবুজে সহ্য করে নেন, পেটের তাগিদে।কিন্তু শেষ রক্ষা হয় না, একদিন, পদ্মঝির ষড়যন্ত্রে মিথ্যা চুরির অপবাদে হাজারী ঠাকুরকে আদর্শ হিন্দু হোটেলএর চাকরী ছাড়তে হয়। কপর্দকহীন হয়ে রাস্তায় নেমে আসে হাজারী। হাজারী ঠাকুরের বড় ইচ্ছে ছিল সে একটা হোটেল খুলবে, চারশো টাকার মত হলেই সে হোটেল খুলতে পারে। কিন্তু, টাকা কে দেবে,কোথায় পাবে?? হোটেল নিয়ে অনেক বড় আশা, স্বপ্ন। নানা গ্রাম ঘুরে, নানা আঁকাবাঁকা পথ পেরিয়ে অতসী, কুসুম, রতন ঠাকুর, মতি, বংশী ঠাকুর, যদু বাঁড়ুয্যে,নরেন এদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সাহায্যে হাজারী হয়ে যান, এক আদর্শ, হয়ে ওঠেন কয়েকটি হোটেল এর মালিক,এমন কি তাঁর সেই পুরানো হোটেলটিকেও কিনে সেইখানে পদ্মদিদি আর বেচু কে বসান।উনার মহত্যে পদ্মঝিও নিজের ভুল বুঝতে পারেন, সততা আর ইচ্ছা মানুষ কে সফল করবেই।

 

ASIF KAISAR বলেছেন : অসাধারন একটি উপন্যাস।

 

Sagar Mallick বলেছেন : আদর্শ হিন্দু হোটেল বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় সাহিত্যকে ধ্বংস করে আজকাল বাজারে দেখা যায় নানা ধরনের মোটিভেশন বই। হতাশার যুগে বাস করা যুব সমাজকে নাকি এরা আশার আলো দেখিয়ে টিকিয়ে রেখেছে। আর নিজেদের নামের পাশে লাগিয়েছে লেখক তকমা। আমি বলি কি ওগো বলিহারি তোমরা কি আদর্শ হিন্দু হোটেল পড়োনি? সাহিত্যের চরম শেখরে অবগাহন করা সেরা মোটিভেশনাল বই, যার প্রতি পরতে পরতে আছে এক হার না মানা জীবনের গল্প। এই উপন্যাস মানুষকে অনুপ্রেরণা দেবে, শেখাবে হাল না ছাড়ার মানসিকতাপ্রতিভা থাকলে তা প্রকাশিত হবেই। সামান্য পরিচর্চা পেলে যে কেও সফলতার সর্বোচ্চ ধাপে যেতে পারে, ঘুরে দাঁড়াতে পারে কোণঠাসা অবস্থা থেকে। এসবের জ্বলন্ত উদাহরণ আদর্শ হিন্দু হোটেল। শুধু বিষয়গত দিক থেকে নয় ভাষাগত, গঠনগত এমনকি বৈচিত্রের দিক থেকেও স্বকীয় বৈশিষ্ট্যের একটি উপন্যাস। বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কীর্তি বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শ হিন্দু হোটেল। যার প্রতি পরতে পরতে আছে হাসি, কান্না, হতাশা, দুঃখ, ভয়, রোমাঞ্চ, ক্ষোভ, ক্রোধ আর এক হার না মানা সাহসী মানুষের জীবনের যুদ্ধ। এ এক সফল মানুষের গল্প মশায়েরা। এ হাজরা ঠাকুরের শূন্য থেকে শেখরে উঠার গল্প। গল্পটি বই আকারে প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৪০ সালে। উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র হাজারি দেবশর্মা, তার উত্থান পতনের সুচারু বর্ণনাই লেখক দক্ষ হাতে বইয়ের পাতায় তুলে ধরেছেন। কে এই হাজারি ঠাকুর? মামুলি একজন হোটেলের রাঁধুনী বামুন। তার হাতের রান্নায় প্রচুর স্বাদ। তবু যেন নীরবেনিভৃতেই তার যাপন। প্রাপ্য প্রশংসার আশায় চাতকের মত চেয়ে থাকে, কেউ ফিরেও চায় না। তাই দিনশেষে একটু দয়া পেয়েই নিজেকে ধন্য মনে করতে হয় তাকে। হাজারির কাছে তার পেশা অনেকটা নেশার মতোই। রান্না তার কাছে তেমনই, যেমন একজন শিল্পীর শিল্প। বয়সের রেখা তাকে ক্রমশ গ্রাস করছিলো, সাথে অস্বীকৃতির দায়। তার গুণেই যে হোটেলের খদ্দের বারবার ফিরে আসে, সে কথা কেউ মানেনি। না মানার দলে সর্বাগ্রে থাকে পদ্মঝি। হোটেলের মালিকের সাথে যার বড় ভাব, আর তাই অন্যদের উপর ছড়ি ঘোরাতে সে সিদ্ধহস্ত। সাত টাকা মাইনের চাকরি থেকে নিজের হোটেল, স্বপ্নটা একজন রাঁধুনী বামুনের জন্য অনেক বেশিই। সততার পথ থেকে একটুও না সরে, তিল তিল করে টাকা জমিয়ে এবং কিছু অনাত্মীয় আপনজনদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে সে তার হোটেলের স্বপ্নের পথে একটু একটু করে পা বাড়ায়। কথায় আছে অর্থ অনার্থের মূল। কিন্তু জীবন ধারনের জন্য অর্থ যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বিভূতি তার কলমের যাদুতে তুলে এনেছেন। অনাত্মীয় মানুষও যে সম্পর্কে কতটা প্রিয় হয়ে উঠে তার বর্ণনা যে এত মাধুর্যপূর্ণ হয় তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ এই উপন্যাস। পরোপকার কিংবা মানব মনের বিভিন্ন অধ্যায় খুব চমৎকার ভাবে ফুটে উঠেছে বইয়ে। মনস্তত্ত্বের ভিন্ন ভিন্ন মাত্রার ব্যাখ্যাও পাওয়া যায় এই উপন্যাসে। বিভূতিভূষণের বৈচিত্র্যময় বর্ণনা, ভাষার কারুকাজ, আর বর্ণনার নৈপুণ্যে গড়া উপন্যাস আদর্শ হিন্দু হোটেল। বিভূতির প্রায় প্রতিটি লেখাতে তিনি মানব জীবনের সাথে প্রকৃতির একটা অদ্ভুত মেলবন্ধন ঘটিয়ে থাকেন। কোথায় যেন অদৃশ্য হয়ে যায় মানুষ আর প্রকৃতির মধ্যবর্তী সূক্ষ্ম প্রাচীরখানি। মানব মনের সাথে প্রকৃতির সেতুবন্ধন বা সংযোগের বিষয়টা লেখকের এ বইয়ে স্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত।

 

chanchol kumar বলেছেন : এক নিমিষে শেষ করার মত একটা বই। পড়ে অনেক ভাল লাগছে ।

 

Saiyen Azad বলেছেন : বইয়ের নামটা দেখে আমি একটু বিপাকে পড়েছি। কী আছে এই বইয়ে? কেন এধরণের নাম? এটাতে কি আমি প্রবেশ করতে পারব? এইসব সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে বইটা কিনেই ফেললাম। এরপর একদিন সময় করে প্রবেশ করলাম আদর্শ হিন্দু হোটেলে। আদর্শ হিন্দু হোটেল আমার কাছে একটা অন্যমাত্রার মোটিভেশনাল বই মনে হয়েছে। তবে পার্থক্য হচ্ছে বর্তকমানে মোটিভেশনাল বই হচ্ছে উপদেশমূলক আর এই বইটি হচ্ছে উপলব্ধিমূলক। আপনাকে বইটি পড়ে সেখানের মেসেজগুলো বুঝে নিতে হবে এরপর নিজের জীবনে সেগুলোর প্রতিফলন ঘটাতে হবে। বইটি পড়ে আমি যে পয়েন্টগুলো নোট করেছিলাম সেগুলো হচ্ছে সবসময় সৎ থাকতে হবে, নিজের কাজকে ভালোবাসতে হবে, সবাইকে শ্রদ্ধা করতে হবে, নিজের লক্ষ্য স্থির করে সেটার দিকে এগোতে হবে, মানুষকে ভালোবাসতে হবে এবং বিশ্বাস করতে হবে। এই জিনিসগুলো আমাদের মধ্যে থেকে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। আমার পছন্দের একটা হাদিস যেটা বুখারী শরীফে আছে সেখানে বলা হয়েছে, “ইন্নামা আমাল বিন নিয়্যাতযার অর্থ হচ্ছে, “প্রকৃতপক্ষে সকল কাজের ফলাফল নিয়্যাতের উপর নির্ভরশীলএই হাদিসের সাথে এই বইয়ের মূল চরিত্রের সম্পূর্ণ মিল আছে। তার একটা স্বপ্ন ছিল হোটেল করার এবং সে সেটা ধীরে ধীরে পূরণ করার জন্য এগিয়ে গিয়েছে। তার পথটা মোটেও সুগম ছিলো না। অনেক চড়াইউতরাই পার করে সে তার লক্ষ্যে পৌঁছেছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে সবাইকে বলি এবং বুঝাতে চেষ্টা করি নিজের লক্ষ্যটাকে বড় কর। তবে সেটাকে পূরণ করো ছোট ছোট গোল সেট করে বা ছোট ছোট লক্ষ্যমাত্রা দিয়ে। কখনো হাল ছেড়ো না। স্বপ্ন দেখ আর সেটা বাস্তবায়নে নেমে পড়। তোমরা যারা বইটা এখন পর্যন্ত পড় নি তারা বইটা সংগ্রহ করে পড়ে নাও আর যারা পড়েছ তোমাদের কেমন লেগেছে এবং তোমরা কী শিখলে সেটা জানাতে পারো। আমি এখানে আমার ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশ করেছি। যদি কারো কাছে কোনো কিছু ভুল মনে হয় তাহলে অনুগ্রহ করে জানালে আমি আমার ভুল শুধরে নিব।

আদর্শ হিন্দু হোটেল বইটি pdf download করুন নিচের লিংক থেকে

download 2Bbutton

প্রিয় পাঠক  আদর্শ হিন্দু হোটেল বইটি pdf download করতে আমরা কখনোই আপনাদের উৎসাহীত করছি না আমাদের অনুরোধ থাকবে আদর্শ হিন্দু হোটেল বইটি আপনার নিকটস্থ লাইব্রেরী অথবা অনলাইন বইয়ের দোকান থেকে হার্ডকপি ক্রয় করুন এতে করে সম্মানিত লেখকগন তাদের লেখার প্রতি আরো উৎসাহিত হবেন